চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু অংশ প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

গতকাল দলের বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজি, যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। দলের ভেতরে সংঘাত ও হানাহানি সৃষ্টি করে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কারের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.

আলমগীর। তিনি বলেন, রাউজানে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরসরাই উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার হওয়া নেতারা দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলেন। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনীতি করা ব্যক্তিদের ভুল তথ্যে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রসর ই উপজ ল ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

পুরুষ জলহস্তী কেন নিজের ছেলেশিশুকে মেরে ফেলে?

মানুষের মতো পশুদেরও সমাজ আছে। তাদেরও সামাজিক, পারিবারিক এবং দলগত আলাদা আলাদা রীতি আছে। দলে বা সমাজে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হওয়ার জন্য পশুরাও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয়। এমনকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। বিশেষ করে জলহস্তী সমাজে এই রীতি রয়েছে। জলহস্তীদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। অর্থাৎ বাবার পরে ছেলে পরিবারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। তবে পরম্পরায় নয় বরং একজন আরেকজনকে মেরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে থাকে।

জলহস্তী মা যদি ছেলেশিশুকে অনেক কষ্টে লুকিয়ে বড় করে তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এরপর বাবা আর ছেলের রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়। যার শেষ হয় হয় বাবার মৃত্যু অথবা ছেলের মৃত্যুর মাধ্যমে।

অথবা যে পরাজিত হয় সে দল ত্যাগ করে, পরিবার ত্যাগ করে। পশু সমাজে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।

আরো পড়ুন:

বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু

জার্মানিতে বর্বরতার শিকার বাচ্চা মোরগ

ছেলে সন্তান জন্মের পরেই জলহস্তী পরিবারে নেমে আসে অজানা আতঙ্ক। বাবা জলহস্তী নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।

জলহস্তীরা সাধারণত এক একটি দলে ভাগ হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে। প্রত্যেক দলে মাত্র একজনই পুরুষ থাকে, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের ওপর শাসন ক্ষমতা বিস্তার করে। একক শাসক হিসেবে টিকে থাকার জন্যেই ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলে। 

একটি ছেলেশিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মা জলহস্তীকে অনেক কষ্ট করতে হয়। 

gorillatrailsafaris.com – এর তথ্য, ‘‘স্ত্রী জলহস্তীর গর্ভধারণ ৮ মাস স্থায়ী হয়। সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলেই মা জলহস্তী দল থেকে দূরে সরে যায়। সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত দূরে থাকে। যেকোনো ধরণের হুমকি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিশু জলহস্তী যখন দৌড়াতে শেখে, আত্মরক্ষা করতে শেখে তখন সেই সন্তানকে নিয়ে দলে ফেরে মা জলহস্তী। ’’

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ