বলিউড অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ লিঙ্গ সমতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন। তার মতে, এই সমাজে শুধু নারীরাই নন, অনেক পুরুষও প্রতিনিয়ত পুরুষতন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা প্রসঙ্গে ফাতিমা  বলেন, ‘‘ বিষাক্ত সম্পর্কে অনেক পুরুষও থাকেন। তবে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, কোনো বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরে তারা নিজেদের কথা বলতে পারেন না। যদি বলেন তাহলে তাদের নিয়ে হাসাহাসি করা হয়। এই রীতিও পুরুষতন্ত্রের একটা দিক। পুরুষ কাঁদতে পারেন না। এর কারণ, পুরুষতন্ত্রই শিখিয়ে দিয়েছে, পুরুষদের কাঁদতে নেই।’’ 

ফাতিমা মনে করেন সম্পর্কে সমতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বোঝাপড়াটা জরুরি।

আরো পড়ুন:

বাবা হারালেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত

২৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার: ৫ হাজার টাকার জন্য দরকষাকষি করেন শিখা

এই নায়িকা বলেন, ‘‘ যেকোনো সম্পর্কে সমতা বজায় রাখা খুব জরুরি। এর জন্য আমাকে পুরুষ হয়ে উঠতে হবে না। আমি আমার নারী সত্ত্বা ধরে রাখতে চাই। আমি চাই আমার সঙ্গে যে পুরুষ থাকবেন, তিনিও যেন তার মতোই থাকেন।’’

ফাতিমা তার জীবন সঙ্গীকে বদলে দিতে চান না। বরং সঙ্গীর  বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভালোবাসতে চান। আর তিনি মনে করেন সঙ্গীর প্রতি সম্মান থাকলে সব কিছুই ঠিক থাকে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘মেট্রো ইন দিনো’ এবং ‘আপ য্যায়সা কোই’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফাতিমা। ‘আপ য্যায়সা কোই’ সিনেমাতে তাকে একজন প্রগতিশীল বাঙালি নারীর চরিত্রে দেখা গেছে। ফাতিমা এই সিনেমাতে অভিনয় করেছেন মাধবন-এর বিপরীতে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ