পুরুষ সম্পর্কে যে মন্তব্য করলেন ফাতিমা
Published: 31st, July 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ লিঙ্গ সমতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন। তার মতে, এই সমাজে শুধু নারীরাই নন, অনেক পুরুষও প্রতিনিয়ত পুরুষতন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা প্রসঙ্গে ফাতিমা বলেন, ‘‘ বিষাক্ত সম্পর্কে অনেক পুরুষও থাকেন। তবে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, কোনো বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরে তারা নিজেদের কথা বলতে পারেন না। যদি বলেন তাহলে তাদের নিয়ে হাসাহাসি করা হয়। এই রীতিও পুরুষতন্ত্রের একটা দিক। পুরুষ কাঁদতে পারেন না। এর কারণ, পুরুষতন্ত্রই শিখিয়ে দিয়েছে, পুরুষদের কাঁদতে নেই।’’
ফাতিমা মনে করেন সম্পর্কে সমতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বোঝাপড়াটা জরুরি।
আরো পড়ুন:
বাবা হারালেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত
২৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার: ৫ হাজার টাকার জন্য দরকষাকষি করেন শিখা
এই নায়িকা বলেন, ‘‘ যেকোনো সম্পর্কে সমতা বজায় রাখা খুব জরুরি। এর জন্য আমাকে পুরুষ হয়ে উঠতে হবে না। আমি আমার নারী সত্ত্বা ধরে রাখতে চাই। আমি চাই আমার সঙ্গে যে পুরুষ থাকবেন, তিনিও যেন তার মতোই থাকেন।’’
ফাতিমা তার জীবন সঙ্গীকে বদলে দিতে চান না। বরং সঙ্গীর বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভালোবাসতে চান। আর তিনি মনে করেন সঙ্গীর প্রতি সম্মান থাকলে সব কিছুই ঠিক থাকে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘মেট্রো ইন দিনো’ এবং ‘আপ য্যায়সা কোই’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফাতিমা। ‘আপ য্যায়সা কোই’ সিনেমাতে তাকে একজন প্রগতিশীল বাঙালি নারীর চরিত্রে দেখা গেছে। ফাতিমা এই সিনেমাতে অভিনয় করেছেন মাধবন-এর বিপরীতে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী