মঙ্গোল যাযাবর পরিবারের সঙ্গে এক রাত
Published: 2nd, August 2025 GMT
সকাল ৭টা। উলনবাটোরের হোটেল নাইন–এর রেস্তোরাঁয় জানালার কাচ গলে সকালের রোদ এসে পড়েছে আমাদের খাবার টেবিলে। সড়কের দিকে তাকিয়ে দেখি একেবারে জনশূন্য। বেলা বাড়তেই সড়কের চেহারা পাল্টে যাবে। রেস্তোরাঁও খালি। আমরা দুজন প্রথম অতিথি। সকাল ৮টায় আমাদের যাত্রা শুরু হবে।
গন্তব্য গুরভানবুলাগ। উলনবাটোর থেকে ২৮০ কিলোমিটার। একটি যাযাবর পরিবারের সঙ্গে কাটাব। ছেলেবেলা থেকে মঙ্গোলিয়াকে জেনেছি চেঙ্গিস খানের মাধ্যমে। এই ভূখণ্ডবাসী সম্পর্কে একটি বিষয় সমাদৃত, তা হলো মঙ্গোলরা যাযাবরের জাতি। সেই যাযাবরদের সঙ্গে, তাদের আবাসনে রাত্রিযাপন করব। অবশ্যই রোমাঞ্চ অনুভব করছি। গুরভানবুলাগ উত্তর মঙ্গোলিয়ার বুলগান প্রদেশের একটি জেলা। মঙ্গোলিয়াতে প্রদেশ রয়েছে ২১টি। ২১টি প্রদেশে মোট জেলার সংখ্যা ৩৩০। জেলাকে মঙ্গোলরা বলে ‘সাম’।
আমরা সকালের নাশতা করছি, ৮টা বাজার ১০ মিনিট আগেই তুসিনতুর এসে হাজির রেস্তোরাঁয়। আমরা আগেই হোটেল চেক আউট করেছি। বাক্সপেটরা জমা করেছি রিসিপশনে। ৮টা ১০ মিনিটে রওনা হলাম। আজই প্রথম উলনবাটোরের বাইরে যাচ্ছি।
মঙ্গোল যাযাবরদের তাঁবু.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম