বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীর চেহারার মধ্যে মিল রয়েছে। দুই জনের চেহারায় এতো মিল থাকে যে অনেক সময় ভাই-বোনের মতো মনে হয়। একবারও কি ভেবেছেন, কেন হয় এমন?

১৯৮৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণায় দেখেছেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকার সময় তারা নিজেদের আবেগ ভাগাভাগি করে নেয়। যার ফলে তাদের মুখের দাগ থেকে শুরু করে অভিব্যক্তি প্রকাশেও সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।’’

মনোবিদ রবার্ট জানজঙ্ক বিভিন্ন দম্পতির বিয়ের দিনের ছবি এবং ২৫ বছর একসাথে কাটানোর পরের ছবি তুলনা করে দেখেন,  আশ্চর্যজনকভাবে তাদের মুখে মিল ফুটে উঠেছে। 

আরো পড়ুন:

এআই দিয়ে বানানো ভিডিও সত্য মনে করে যা করলেন প্রবীণ দম্পতি

স্ত্রীর শোকে দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী, তাতে শান্তি কী মিললো?

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘একটি দম্পতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক যত বেশি দৃঢ়, মধুর ও সুখের হয়, তাদের মধ্যকার সাদৃশ্যের সম্ভাবনাও তত বেশি বেড়ে যায়।’’

এমপ্যাথেটিক মিমিক্রি
একে অপরকে ভালোবাসার করণে এমপ্যাথেটিক মিমিক্রি বা ভালোবাসার অনুকরণ তৈরি হয়। গভীর ভালোবাসা আর তীব্র মায়া থেকেই মানুষ সঙ্গীকে অনেক দিক দিয়ে অনুসরণ করতে শুরু করে। দেখা যায় যে তাদের মুখের ভঙ্গি পর্যন্ত এক হয়ে যায়।
 
একইরকম খাওয়া-দাওয়ার প্রভাব
একইসঙ্গে বসবাস করার জন্য খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, ঘুমানোর রুটিন সবকিছুতে মিল থাকে। এই সবকিছুর সম্মিলিত প্রভাবে চেহারাই শুধু নয় শারীরিক গঠনেও সাদৃশ্য তৈরি হয়। 

জীবনাচরণে মিল
স্বামী-স্ত্রীর চলাফেরা এবং জীবনাচরণসহ অনেক কিছুতেই অনেক মিল থাকে ফরে চেহারায় তার সরাসরি প্রভাব পরে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ