স্বামী-স্ত্রীর চেহারা দেখতে কেন একই রকম হয়
Published: 3rd, August 2025 GMT
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীর চেহারার মধ্যে মিল রয়েছে। দুই জনের চেহারায় এতো মিল থাকে যে অনেক সময় ভাই-বোনের মতো মনে হয়। একবারও কি ভেবেছেন, কেন হয় এমন?
১৯৮৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণায় দেখেছেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকার সময় তারা নিজেদের আবেগ ভাগাভাগি করে নেয়। যার ফলে তাদের মুখের দাগ থেকে শুরু করে অভিব্যক্তি প্রকাশেও সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।’’
মনোবিদ রবার্ট জানজঙ্ক বিভিন্ন দম্পতির বিয়ের দিনের ছবি এবং ২৫ বছর একসাথে কাটানোর পরের ছবি তুলনা করে দেখেন, আশ্চর্যজনকভাবে তাদের মুখে মিল ফুটে উঠেছে।
আরো পড়ুন:
এআই দিয়ে বানানো ভিডিও সত্য মনে করে যা করলেন প্রবীণ দম্পতি
স্ত্রীর শোকে দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী, তাতে শান্তি কী মিললো?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘একটি দম্পতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক যত বেশি দৃঢ়, মধুর ও সুখের হয়, তাদের মধ্যকার সাদৃশ্যের সম্ভাবনাও তত বেশি বেড়ে যায়।’’
এমপ্যাথেটিক মিমিক্রি
একে অপরকে ভালোবাসার করণে এমপ্যাথেটিক মিমিক্রি বা ভালোবাসার অনুকরণ তৈরি হয়। গভীর ভালোবাসা আর তীব্র মায়া থেকেই মানুষ সঙ্গীকে অনেক দিক দিয়ে অনুসরণ করতে শুরু করে। দেখা যায় যে তাদের মুখের ভঙ্গি পর্যন্ত এক হয়ে যায়।
একইরকম খাওয়া-দাওয়ার প্রভাব
একইসঙ্গে বসবাস করার জন্য খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, ঘুমানোর রুটিন সবকিছুতে মিল থাকে। এই সবকিছুর সম্মিলিত প্রভাবে চেহারাই শুধু নয় শারীরিক গঠনেও সাদৃশ্য তৈরি হয়।
জীবনাচরণে মিল
স্বামী-স্ত্রীর চলাফেরা এবং জীবনাচরণসহ অনেক কিছুতেই অনেক মিল থাকে ফরে চেহারায় তার সরাসরি প্রভাব পরে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ২ মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম
রাজশাহীতে দুই মাথা নিয়ে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়।
শিশুটির মায়ের নাম সুমাইয়া খাতুন, আর বাবা গোলাম আযম। তাদের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল্লি বাজার এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রসব ব্যথা উঠলে সুমাইয়াকে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তিনি একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন। শিশুটির দেহ একটি হলেও মাথা রয়েছে দুটি।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুকুরে ভাসছিল শিশুর নিথর দেহ
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে শিশুর মুত্যু
শিশুটিকে দেখার পর চিকিৎসকেরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে শিশুটি রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে রায় বলেন, ‘‘এটি যমজ শিশু নয়, এটি জন্মগত ত্রুটি। শিশুটির দেহ ও যৌনাঙ্গ একটি হলেও মাথা দুটি। দুই মুখমণ্ডল থাকায় চারটি চোখ, চারটি কান, দুটি নাক এবং দুটি মুখ রয়েছে। শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ধরনের শিশুর জন্ম খুবই বিরল ঘটনা।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব