গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবার মৃত্যুর দুই ঘণ্টা পর মারা গেছেন ছেলেও। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায় নেমে এসেছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন, হাসমত আলী (৮৫) ও তার ছেলে বাবুল মিয়া (৫০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন হাসমত আলী। রবিবার সকালে মারা যান তিনি। বাবার মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার একমাত্র ছেলে বাবুল মিয়া। স্বজনেরা তাকে হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। কিন্তু, পথেই তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় পৃথক ঘটনায় নিহত ২

শ্বাসরোধে ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: ভিসেরা রিপোর্ট

ধামলই গ্রামের বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন বলেন, “এটি স্বাভাবিক নয় মৃত্যু। বরং এক হৃদয়স্পর্শী করুণ বাস্তবতা। বাবার মৃত্যুর দুই ঘণ্টা পর ছেলেও মারা গেছেন।”

আরেক বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, “এমন মৃত্যু সহজে মেনে নেওয়া যায় না। একজন বাবা ও তার সন্তানের একসঙ্গে বিদায় আমাদের মর্মাহত করেছে। আল্লাহ তাদের জান্নাত নসিব করুন।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.

আলম খান বলেন, ‘‘রবিবার বাদ মাগরিব পাশাপাশি কবরে বাবা-ছেলের দাফন করা হয়েছে।’’

ঢাকা/রফিক/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ার খানাবাড়ি এলাকায় আল আমিন (৪০) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ৯টার দিকে তাঁকে গলা কেটে রাস্তার ওপর ফেলে যায় তারা।

নিহত আল আমিনের বাড়ি দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা দিঘির পূর্বপাড় এলাকায়। তিনি ইজারা নিয়ে মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া খানাবাড়ি সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন আল আমিন। পথিমধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আল আমিনের মরদের পাশে মোটরসাইকেল পড়ে ছিল।

দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রাতেই খুলনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ