বাবার মৃত্যুর ২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন ছেলেও, পাশাপাশি দাফন
Published: 3rd, August 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবার মৃত্যুর দুই ঘণ্টা পর মারা গেছেন ছেলেও। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায় নেমে এসেছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন, হাসমত আলী (৮৫) ও তার ছেলে বাবুল মিয়া (৫০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন হাসমত আলী। রবিবার সকালে মারা যান তিনি। বাবার মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার একমাত্র ছেলে বাবুল মিয়া। স্বজনেরা তাকে হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। কিন্তু, পথেই তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় পৃথক ঘটনায় নিহত ২
শ্বাসরোধে ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: ভিসেরা রিপোর্ট
ধামলই গ্রামের বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন বলেন, “এটি স্বাভাবিক নয় মৃত্যু। বরং এক হৃদয়স্পর্শী করুণ বাস্তবতা। বাবার মৃত্যুর দুই ঘণ্টা পর ছেলেও মারা গেছেন।”
আরেক বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, “এমন মৃত্যু সহজে মেনে নেওয়া যায় না। একজন বাবা ও তার সন্তানের একসঙ্গে বিদায় আমাদের মর্মাহত করেছে। আল্লাহ তাদের জান্নাত নসিব করুন।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.
ঢাকা/রফিক/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫