যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে ভারতকে স্বস্তি দিল প্রতিবেশী দেশ চীন। বেইজিং জনিয়েছে, তারা ভারতে সার, রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট ও টানেল বোরিং মেশিন রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি-এর সঙ্গে বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। 

আরো পড়ুন:

পরিযায়ী শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফেরাতে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা মমতার

এনডিএর উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণা

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াং য়ি বর্তমানে দুই দিনের সফরে নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। সোমবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনায় য়ি আশ্বস্ত করেছেন জয়শঙ্করকে। তিনি জানান, ভারতের অনুরোধ অনুযায়ী বেইজিং কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পদক্ষেপ শুরু করেছে।

এর আগে, ভারত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল। বিশেষত সার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞায় রবি শস্যের মৌসুমে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের সরবরাহে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এমনকি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার টানেল বোরিং মেশিন আসা বন্ধ করে দেওয়াতেও ভারতের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে যেসব বিদেশি কোম্পানি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার মেশিন তৈরি করতে চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে।

আরেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হলো রেয়ার আর্থ মিনারেল। এর ফলে অটো ও ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্রে উৎপাদনের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছিল চীনা নিষেধাজ্ঞায়। ২০১৯ সালে সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাঁটল ধরেছিল।

চীন ভারতে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করলেও, কঠোর রপ্তানি বিধিনিষেধ ও জটিল লাইসেন্সিং ব্যবস্থা জারি করেছিল, যার ফলে আমদানিকারকদের বিশেষ পারমিট নিতে হতো। এই প্রক্রিয়াটি ভারতের অটো ও ইলেকট্রনিক্স খাতের উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতির মুখে ফেলেছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ