ভারতের ওপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল চীন
Published: 19th, August 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে ভারতকে স্বস্তি দিল প্রতিবেশী দেশ চীন। বেইজিং জনিয়েছে, তারা ভারতে সার, রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট ও টানেল বোরিং মেশিন রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি-এর সঙ্গে বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
আরো পড়ুন:
পরিযায়ী শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফেরাতে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা মমতার
এনডিএর উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণা
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াং য়ি বর্তমানে দুই দিনের সফরে নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। সোমবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনায় য়ি আশ্বস্ত করেছেন জয়শঙ্করকে। তিনি জানান, ভারতের অনুরোধ অনুযায়ী বেইজিং কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পদক্ষেপ শুরু করেছে।
এর আগে, ভারত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল। বিশেষত সার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞায় রবি শস্যের মৌসুমে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের সরবরাহে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এমনকি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার টানেল বোরিং মেশিন আসা বন্ধ করে দেওয়াতেও ভারতের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে যেসব বিদেশি কোম্পানি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার মেশিন তৈরি করতে চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে।
আরেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হলো রেয়ার আর্থ মিনারেল। এর ফলে অটো ও ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্রে উৎপাদনের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছিল চীনা নিষেধাজ্ঞায়। ২০১৯ সালে সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাঁটল ধরেছিল।
চীন ভারতে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করলেও, কঠোর রপ্তানি বিধিনিষেধ ও জটিল লাইসেন্সিং ব্যবস্থা জারি করেছিল, যার ফলে আমদানিকারকদের বিশেষ পারমিট নিতে হতো। এই প্রক্রিয়াটি ভারতের অটো ও ইলেকট্রনিক্স খাতের উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতির মুখে ফেলেছিল।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন