ভালো বন্ধু হতে পারে ভালো অভিভাবক: যবিপ্রবি উপাচার্য
Published: 25th, August 2025 GMT
নবীন শিক্ষার্থীদের ভালো বন্ধু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
তিনি বলেছেন, “সঠিক বন্ধু নির্বাচন জীবনে সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো বন্ধু হতে পারে ভালো অভিভাবক। একজন অভিভাবক যেমন তার সন্তানের জীবনের পথ সহজ করতে পারে, তেমনিভাবে একজন ভালো বন্ধু জীবনের পথকে সহজ করতে পারে। আর খারাপ বন্ধু বিপথগামী করতে পারে।”
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: বাতিল হতে পারে জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা
৩ দাবিতে গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সোমবার (২৫ আগস্ট) যবিপ্রবির জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপাচার্য বলেন, “যবিপ্রবি বর্তমানে টাইমস হায়ার র্যাংকিং এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে আছে। এ অবস্থান ধরে রাখতে এবং এখান থেকে বিশ্ব দরবারে আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে তোমাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। তোমাদের মানবিক মানুষ হতে হবে। ভালো আচরণের মাধ্যমে তোমরা একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ এই জাতিকে উপহার দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি যোগাযোগ দক্ষতা তোমাদের বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ক্লাব রয়েছে, যেখান থেকে তোমরা যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নেতৃত্ব গুণাবলী শিখতে পারবে।”
পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ওরিয়েন্টেশনের শুরু হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ নেওয়া হয়। সোমবার জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদ এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ওরিয়েন্টেশন দুইটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, প্রভোস্ট, প্রক্টর ও দপ্তরপ্রধানবৃন্দ যবিপ্রবির একাডেমিক ও প্রশাসনিক নানা দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। নবীন অনেক শিক্ষার্থীও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে তাদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং একটি মসৃণ ‘ক্যাম্পাস লাইফ’ প্রাপ্তির জন্য শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে