পুঁজিবাজারে আসছে দুটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি
Published: 26th, August 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পিএলসি। ইতোমধ্যে ২০টি কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএসই আশা করছে, এ বছরের শেষ নাগাদ নতুন দুইটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। আর আগামী এক বছরের মধ্যে ১০টি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তালিকাভুক্তির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে। রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলে পুঁজিবাজারের গভীরতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়বে বলে মনে করে ডিএসই।
আরো পড়ুন:
ওয়ালটন হাই-টেকের পর্ষদ সভা ৩ সেপ্টেম্বর
স্থানীয় বাজারে পণ্য বিক্রি করবে খান ব্রাদার্স
ডিএসই কর্তৃপক্ষ রাইজিংবিডি ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছে।
তথ্যমতে, চলতি বছরের মে মাসে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাগুলোর প্রথম শর্তই হলো- সরকারি শেয়ার আছে এমন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ও পুরোপুরি সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা। এই নির্দেশনা পালনের লক্ষ্যে ডিএসই ইতোমধ্যে প্রায় ২০টি কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের শেষ নাগাদ নতুন দুইটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে বলে মনে করছে ডিএসই। একইসঙ্গে আগামী নির্বাচনের পরে এবং এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে ১০টি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি তালিকাভুক্তি হবে বলে মনে করে ডিএসই।
দীর্ঘদিন ধরেই পুঁজিবাজারে সরকারি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে নিয়ন্ত্রক বিএসইসি নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে ডিএসই। মূলত সরকারি কোম্পানিগুলোর অনাগ্রহের কারণেই দীর্ঘদিন ধরে দফা দফায় চেষ্টা করেও তাদের পুঁজিবাজারে আনা সম্ভব হয়নি। অবশেষে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি গতিশীল করতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে চলতি বছরের ১১ মে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্তির নির্দেশ দেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড.
জানা গেছে, ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় লাভজনক বেশ কিছু কোম্পানির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন বা সরকারি শেয়ার রয়েছে কোম্পানিগুলো হলো- ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), সাইনোভিয়া (সাবেক স্যানোফি) বাংলাদেশ লিমিটেড, নোভার্টিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড, সিনজেন্টা (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন লিমিটেড ও জীবন বীমা কর্পোরেশন লিমিটেড ইত্যাদি।
এছাড়া ওষুধ প্রস্তুতকারক একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগসকে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে গত ২৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সেই সাথে কোম্পানিটি ও মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছে তারা। এর আগে গত ২৪ জুলাই লাভজনক সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ডিএসইর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে আস্থা ফেরাতে, ভালো নীতি গ্রহণ এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন জরুরী। এতে বাজারে সুশাসন নিশ্চিত হলে অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ নিয়ে তালিকাভুক্ত হবে। এবং বাজারের গভীরতা বাড়বে। কারণ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শুধু অর্থ সংগ্রহের জন্য নয়। এতে কোম্পানির সুনাম ও স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি পায়। এটা তাদের বুঝাতে হবে। যখন বাজার ভালো থাকবে। অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ভালো করবে তখন যারা তালিকাভুক্ত না তাদের আগ্রহ দেখা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আশুগঞ্জ পাওয়ার বর্তমানে বাজারে বন্ডের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত রয়েছে। তবে কোম্পানিকে আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্তির কথা ভাবা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। যদি নভেম্বর মাসে তারা আবেদন করে তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারির আগেই তাদের বাজারে লেনদেন করতে দেখা যাবে। এছাড়া এসেনসিয়াল ড্রাগসকে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে গত ২৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কোম্পানিটিরে সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তারাও এ বিষয়ে আগ্রহী। আশা করছি পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি নিয়ে কোম্পানিটি এ বছরের মধ্যেই পুঁজিবাজারে আসবে।”
চেয়ারম্যান আরো জানান, “যাদের সাথে এ পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে দুই-তিনটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ নিয়ে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। কিন্তু বিগত সময়ের অভিজ্ঞতার কারণে পুঁজিবাজারে আসতে একধরনের অনিহা দেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে সুশাসন ঘাটতি, নানা ধরনের হয়রানি ও কমপ্লায়েন্স পালন সহ যে সমস্যার কথা তারা জানিয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
চলমান উদ্যোগ এগিয়ে নিতে পারলে আগামী এক বছরে ১০টি বড় কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন ডিএসই চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা আগামী নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারকে চলমান রাখতে হবে। এবং সংস্কার করা হচ্ছে সেগুলো ধরে রাখতে না পারলে কোনো লাভ হবে না। আমরা দেখেছি বিগত সময়ে বাজারকে নানাভাবে কারসাজি ও অনিয়মের মাধ্যমে অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। এখন সংস্কারের মাধ্যমে বাজারকে গতিশীল করার কাজ চলছে। তাই যে সরকারই আসুক না কেন তাদের উচিত হবে মানুষের আস্থা ধরে রাখতে পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতে সংস্কার ভালোভাবে শেষ করা। আর এতে আগামী এক বছরে ১০টি বড় কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে।”
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে মাত্র ২০টি সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলোর বাজার মূলধন ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকারি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানিগুলো হলো- এটলাস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিডি সার্ভিস), বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি (বিএসসিসিএল), বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ইস্টার্ন কেবলস, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইবিসি), যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল টিউবস, পদ্মা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রূপালী ব্যাংক, শ্যামপুর সুগার মিলস, তিতাস গ্যাস, উসমানিয়া গ্লাস সিট ফ্যাক্টরি, লিন্ডে বাংলাদেশ ও জিলবাংলা সুগার মিলস।
ঢাকা/এনটি/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ল ক ভ ক ত কর র লক ষ য উদ য গ ন বছর র ম এক বছর ড এসই সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, এসএমই কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, নতুন আর্থিক পণ্য উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে অর্থায়ন বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) যৌথ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গুলশানে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এবং ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ও পরিচালনা পর্ষদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
বিআইএফএফএলের সঙ্গে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণ চুক্তি
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম চালু করবে গোল্ডেন হার্ভেস্ট
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ডিএসই’র প্রতিনিধিবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি রয়েছে। যে সকল কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করেছে তাদের সাথে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের মতো দেশগুলোর অথবা আমাদের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সাথে তুলনা করে আগামীর কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি রেশিও এখনও ২০% নিচে। আমাদের মতো অর্থনীতির অনেক দেশে এটি ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশের অধিক। পুঁজিবাজারে এসএমই-এর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দ্বৈত কর ব্যবস্থার প্রত্যাহার ও এর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পণ্যের বৈচিত্রকরণ করা। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এসএমই কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। এসএমই কোম্পানিগুলোর ফাইন্যান্সের উপর বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমানে আরজেএসসি-তে দুই লাখের উপর কোম্পানি রয়েছে এর মধ্যে মাত্র ৩৬০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও সরকারি কোম্পানি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত হতে পারেনি। কিন্তু আশার বিষয় হলো এই সরকার প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজারের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামানকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- টার্নওভারের উপর এআইটি কমানো, মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্যাক্স কমানো ও তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স এর ব্যবধান বৃদ্ধি করা। বিএসইসি কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো হলো- সিসি একাউন্টের ইন্টারেস্ট বিষয়ে সমাধান ও বিও একাউন্টের নবায়ন ফি কমানো। বিএসইসি মার্কেটে শৃঙ্খলা আনার জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে। একটি দক্ষ, স্বচ্ছ এবং ন্যায় ভিওিক পুঁজিবাজারের বিকাশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং ডিএসই পুঁজিবাজারের কেন্দ্রীয় শক্তি হিসেবে, এই উন্নয়নের রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বিগত দিনে মার্কেটে রেগুলেটর অনেক সময় অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ করেছে। এখন পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। বিনিয়োগকারীগণ বাজারে ফিরে আসছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীগন সক্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে ইক্যুইটি মার্কেটের সাথে বন্ড মার্কেটেকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় এই বিষয়ে ডিসিসিআই-এর সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিসিসিআই ক্যাপিটাল মার্কেটের একটি বড় স্টেকহোল্ডার।
তিনি বলেন, আইপিও প্রসেস এর ডিজিটালাইজেশন এর প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও ভালো কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে নিয়ে আসার জন্য গ্রিণ চ্যানেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএসইসি এই বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করছে। ডিএসই ও ডিসিসিআই উভয় প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী ও টেকসই করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রাখতে পারে। এরই লক্ষ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে এসএমই উদ্যোক্তাদের এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তির প্রসেস এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)’র সুবিধা ও তালিকাভুক্তির প্রসেস নিয়ে চেম্বার সদস্যদের সাথে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি সহজ করা সম্ভব। এছাড়াও এসএমই একটি বিশাল খাত। বেসরকারি খাতের প্রায় ৭৫% এসএমই। তাদের এক্সপোজার আছে, সংযোগ আছে, উন্নয়নের জায়গা আছে। তাই সরকার এ ব্যাপারে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কী ব্যবস্থা নিতে পারে তা বিবেচনায় আনতে পারে। ২০০৯ সালে, একটি সমীক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যে, সরকারের ৭.৫ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। আমরা মনে করি যে, এই অর্থনৈতিক ইউনিট থেকে অধিক পরিমানে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাজিব এইচ চৌধুরী, ভাই প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম সোলাইমান, সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) এ. কে. এম আসুদুজ্জামান পাটুয়ারি, ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অব.), সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মো. শাকিল রিজভী, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ