পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল বর্জন করতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা
Published: 28th, August 2025 GMT
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “আপনারা যদি পলিথিন ও প্লাস্টিক পানির বোতল বর্জন করতে পারেন, তবে সবাই পাট জাত পণ্য ব্যবহার করতে পারবেন। পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
বুধবার (২৭ আগস্ট) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মেদুলিয়া এলাকায় ফারমার্স মিনি কোল্ড স্টোরজ হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
পারকি পর্যটন কমপ্লেক্সের নির্মাণ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে: উপদেষ্টা
বিমানের চেয়ারম্যান হলেন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আগে দেখেছেন, চটের ব্যাগ ব্যবহার করতেন আমাদের বাপ-দাদারা। ওইরকম আপনারাও করবেন। দেখবেন, আমাদের কৃষির উন্নতি হবে এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন সম্ভব হবে।”
তিনি বলেন, ‘দেশে অঞ্চলভিত্তিক একেক ধরনের ফসল বেশি উৎপাদন হয়। আপনাদের এখানে (মানিকগঞ্জ) গাজরের চাষ বেশি হয়। আমরা এই প্রকল্পের আওতায় প্রথমে ১০০টি ফারমারস মিনি কোল্ড স্টোরেজ বিতরণ করব। পর্যায়ক্রমে যেসব অঞ্চলে বেশি ফসল ও সবজি উৎপাদন হয় সেখানে এই কোল্ড স্টোরেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, ‘এই কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ই উপকৃত হবেন। যখন সবজির দাম বাজারে কম থাকবে তখন কৃষক উৎপাদিত সবজি এখানে কোল্ড স্টোরেজ করে রাখতে পারবেন। বাজারে যখন সবজির দাম বেড়ে যাবে, তখন ওই কৃষক পাঁচ টাকার ফুলকপি ৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। ওই সময় ভোক্তা কিন্তু ৫০ টাকার সেই ফুলকপি ২০ টাকা কমে কিনতে পারবেন। এজন্য এটি অবশ্যই কৃষক ও ভোক্তার সুবিধা বয়ে আনবে।”
অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ড.
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।