কাদের-আনোয়ারুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 28th, August 2025 GMT
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৬৮৬ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদক ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
ওবায়দুল কাদের-শেখ হেলালকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন যুবদল সেক্রেটারি
অন্য আসামিরা হলেন সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ ও সাবেক যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদ।
বিকেলে সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে নেগোসিয়েশন কমিটির নেগোসিয়েশন মূল্য উপেক্ষা করে এবং নিজেদের নিয়োজিত বিদেশি বিশেষজ্ঞের সুপারিশবিহীন অতিগুরুত্বপূর্ণ নয় এমন তিনটি কাজ পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়ার এবং একটি ট্যাগ বোর্ড অন্তর্ভুক্তি করে সরকারের ৫৯.৮০ মিলিয়ন ডলার বা ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “অবৈধভাবে পিপিএ ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট বিধান লঙ্ঘন করে ৫৫ লাখ ২১ হাজার ১৮৬ টাকা ব্যয়ে পরামর্শক নিয়োগ করেও সরকারের ক্ষতি করেছেন।”
মামলার এজাহারে বলা হয়, নেগোসিয়েশন কমিটি মূল্যে ৬৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করলেও অতিরিক্ত তিনটি খাত (পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়ার ও ট্যাগ বোট) অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে অপ্রয়োজনীয়। বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও উল্লিখিত তিনটি কাজ অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সুপারিশ করেননি। এসব খাতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের প্রায় ৫৮৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার
আবারও বাজার থেকে সাইবারট্রাক ফিরিয়ে নিচ্ছে টেসলা। এবার এর কারণ সফটওয়্যার নয়, সরাসরি যান্ত্রিক ত্রুটি। যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ১৯৭টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহারের বা রিকলের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, এসব গাড়ির সামনের লাইটবার খুলে পড়ে সড়কে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ মডেলের কিছু সাইবারট্রাকে লাইটবার বসানোর সময় ভুল ধরনের ‘সারফেস প্রাইমার’ ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে আঠালো সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সহজভাবে বললে, টেসলা কিছু গাড়িতে লাইটবার লাগাতে ভুল আঠা ব্যবহার করেছিল। যেসব গাড়িতে এই ত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর লাইটবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রয়োজনে নতুনভাবে লাইটবার বসানো হবে। সবই গ্রাহকদের জন্য বিনা খরচে। প্রায় ৬ হাজার ২০০টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার মানে টেসলার বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির প্রায় ১০ শতাংশই সমস্যাগ্রস্ত।
এর এক সপ্তাহ আগেই আরও একটি বড় ত্রুটির কারণে ৬৩ হাজার ৬১৯টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তখন দেখা যায়, গাড়ির সামনের পার্কিং লাইট অতিরিক্ত উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় তা সামনের দিক থেকে আসা গাড়ির চালকদের দৃষ্টিকে ব্যাহত করতে পারে। তবে সেই সমস্যা সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। টেসলার সাইবারট্রাক নিয়ে একের পর এক প্রত্যাহার এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর অনেক সমস্যাই হার্ডওয়্যার–সংক্রান্ত, যেগুলো দূর থেকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।
সূত্র: ম্যাশেবল