যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে পাঁচটি চালানে মোট ১ হাজার ৪৬০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সপ্তাহের শেষ দিনে ১২টি ট্রাকে ৪২০ টন চাল বন্দরে প্রবেশ করে। দুপুরে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিজিবির উদ্বেগ, বিএসএফের আশ্বাস

অপহরণের অভিযোগে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

তিনি বলেন, “গত শনিবার নয়টি ট্রাকে ৩১৫ টন, রবিবার তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন, সোমবার দুইটি চালানে ৬২০ টন এবং বৃহস্পতিবার সকালে ১২টি ট্রাকে ৪২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।”

আমদানিকারকরা জানায়, দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

গণি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন, “আমরা গত শনিবার ৩১৫ টন, রবিবার ১০৫ টন, সোমবার ৬২০ টন এবং বৃহস্পতিবার ৪২০ টন চাল আমদানি করেছি।”

পণ্যচালান ছাড়ের কাজ করছেন ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ ও কাবেরী এন্টারপ্রাইজ নামে দুই সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী।

সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি বাবলুর রহমান জানান, চাল ছাড়করণের জন্য কাস্টমসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের মাধ্যমে চাল খালাস সম্পন্ন হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “৪ মাস বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে চাল আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে। এতে বন্দরে কর্মচঞ্চলতা ফিরে এসেছে।”

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, “আমদানি করা চাল দ্রুত ছাড়ের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল।”

ঢাকা/রিটন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন চ ল আমদ ন টন চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ