দেশি-বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্তে ডিবিএ’র সাধুবাদ
Published: 3rd, September 2025 GMT
দেশি-বিদেশি কোম্পানির পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর গৃহীত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তারিখে ডিবিএ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম দেশি-বিদেশি কোম্পানির পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গৃহীত বিএসইসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
আরো পড়ুন:
সূচকের উত্থান, লেনদেন ১৩০০ কোটি টাকা ছাড়াল
কারণ ছাড়াই বাড়ছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের শেয়ারদর
সেই সঙ্গে গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে গৃহীত এইরূপ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সেক্রেটারি) খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তার কমিশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বিৃবতিতে ডিবিএ প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আসেনি। ভালো কোম্পানির অভাবে আমাদের বাজারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ঘটেনি এবং এর ফলে বাজার স্থিতিশীল ও টেকসই হয়নি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রয়োজন উপলব্ধি করে এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিএসইসি, ডিএসইসহ বাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পত্র যোগাযোগসহ বৈঠক করি। আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে অসংখ্য সেমিনার ও ডায়ালগ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বাজার উন্নয়ন বিষয়ক আমাদের দাবির পক্ষে বক্তব্য ও যুক্তি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, ডিএসইসহ অন্যান্য অংশীজনদের কাছে তুলে ধরি এবং বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘‘গত ১১ মে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আমাদের দাবির প্রতিফলন দেখতে পেয়ে আমরা আশান্বিত হই। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে এর বাস্তবায়নে বিএসইসির কার্যকর পদক্ষেপ বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার প্রতিফলন ইতিমধ্যে বাজারে ফুটে উঠেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘গত ২ সেপ্টেম্বর দেশি-বিদেশি বৃহৎ কোম্পানিকে দেশের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গৃহীত বিএসইসির সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীসহ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মাঝে দৃঢ় আস্থার সৃষ্টি করে। আমরা আশা করি, দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে দেশের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করতে কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপ ও আশু বাস্তবায়ন বাজারে পণ্যের আধিক্য সৃষ্টি করবে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর চাহিদা পূরণের মাধ্যমে আমাদের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী বাজারে পরিণত করবে।
‘‘পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে বিএসইসি কর্তৃক গৃহীত সকল ইতিবাচক উদ্যোগ, কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে আমরা ডিবিএর পক্ষ থেকে সর্বদা সচেষ্ট থাকার আশ্বাস প্রদান করছি।’’
ঢাকা/এনটি/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল