‘বাকৃবির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন জেলা প্রশাসক’
Published: 3rd, September 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেছেন, “বাকৃবির চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি এখন জেলা প্রশাসকের হাতে চলে যাবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আর আমাদের হাতে থাকবে না।”
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
চবি শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া না দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি ভুয়া, আটক ১
রাবির আবাসিক হলের ৯১ ছাত্রীকে ‘যৌনকর্মী’ বললেন ছাত্রদল নেতা
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো.
তিনি আরো বলেন, “তারা কেবল কালক্ষেপণ করেছে এবং ১ ঘণ্টা যাবৎ তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার পরেও তারা আসেননি। এই পরিস্থিতে আমরা উপাচার্যের কাছে যৌথ বিবৃতি দিতে পারিনি। এখন যদি শিক্ষার্থীরা কোনো কর্মসূচিতে যান এবং ভাংচুর বা এরকম কিছু করেন, সেক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন তদারকি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বন্ধ তাই স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবেন।”
এ বিষয়ে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, “গতকাল আমরা ৬১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এরপরেও আজ তারা আমাদের মাত্র পাঁচজনকে যৌথ বিবৃতির জন্য যেতে বলেছেন। গতকালের দীর্ঘ আলোচনায় আমাদের দাবি ও সিদ্ধান্ত সবই আমরা উল্লেখ করেছি এবং আমাদের স্বাক্ষরও দিয়েছি। এতকিছুর পরও কেন আবার পাঁচজনকে লিখিত দিতে হবে, এটা বোধগম্য নয়।”
তিনি বলেন, “গতকালের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, আজকে দুপুর ১২টার মধ্যে উপাচার্য হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করবেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক এবং শিক্ষাগত কোনো হয়রানি করা হবে না- এই মর্মে তিনি লিখিত নথি প্রকাশ করবেন। কিন্তু এর কিছুই হয়নি। শিক্ষকবৃন্দ আমাদের কোনোরকম সহযোগিতা করছেন না। আমাদের একক ডিগ্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাইনি। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে, সেটা নিয়ে অনুষদের সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম