অপ্রত্যাশিত সুযোগ পেয়ে সেটিকে দারুণভাবে কাজে লাগাল লাল-সবুজের হকি দল। ভারতের রাজগীর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে আগামী বছরের হকি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের দখলে। প্রথম কোয়ার্টারে আশরাফুল ইসলামের গোলেই লিড নেয় দল। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে রোমান সরকার জ্বলে ওঠেন। ফিল্ড গোলের পর পেনাল্টি কর্নার থেকে আরেকটি গোল করে ব্যবধান বাড়ান তিনি। ফলে বিরতিতে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে।

আরো পড়ুন:

এএইচএফ কাপে ব্রোঞ্জ জিতল বাংলাদেশ

সব ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

তৃতীয় কোয়ার্টারে আবারও গোল করেন রোমান, হ্যাটট্রিকের কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত থামেন দুটি গোলেই। তবে দলীয় চতুর্থ গোলের পর জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তায়েব আলী স্কোরলাইন দাঁড় করান ৫-০ তে।

এরপর কাজাখস্তান ৩৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করলেও বাংলাদেশের জয় নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। শেষ কোয়ার্টারে আর গোল হয়নি, জয় ছিনিয়ে নেয় জহিরুল ইসলাম রাজনের শিষ্যরা।

এই জয়ের মাধ্যমে এশিয়া কাপে পঞ্চম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টিকিট পেল বাংলাদেশ। অথচ টুর্নামেন্টের শুরুতে অংশগ্রহণই ছিল অনিশ্চিত। নিরাপত্তাজনিত কারণ ও আর্থিক সংকটে পাকিস্তান দল নাম প্রত্যাহার করায় সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। একইভাবে ওমান সরে দাঁড়ালে তাদের জায়গা নেয় কাজাখস্তান। সুযোগটা পেয়েই লাল-সবুজের ছেলেরা দেখাল লড়াইয়ের মানসিকতা।

আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতে বসবে হকি বিশ্বকাপের আসর। সেখানে খেলতে হলে বাছাইপর্বে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে কাজাখস্তানের বিপক্ষে এই জয়ে অন্তত আত্মবিশ্বাসটা অনেকটাই ফিরে পেয়েছে দল।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হক ব ছ ইপর ব ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ