ভোটার লাইনে প্রার্থীদের প্রচারণায় ভোটারদের ভোগান্তি
Published: 9th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ৮টি কেন্দ্রে হচ্ছে এবারের ভোট গ্রহণ। তবে ভোট কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন প্রার্থীরা, এতে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পাশাপাশি কৃত্রিম লাইন জটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে কেন্দ্রগুলোতে এমন অবস্থা দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, কার্জন হল, উদয়ন স্কুলসহ অন্যান্য কেন্দ্রের সামনে ভিড় করছেন প্রার্থীরা। তারা প্রার্থীদের হাতে লিফলেট দিয়ে দিচ্ছেন এবং নিজ দলীয় প্রার্থীদের তালিকা তুলে দিচ্ছেন। এতে কেন্দ্রগুলোর প্রবেশমুখে ভিড় জমা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। তাছাড়া, ৭ সেপ্টেম্বর থেকেই সকল ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক প্রার্থী এ বি জুবায়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশমুখে অভিযোগ জানাতে আসলে ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের প্রার্থীরা তার দিকে তেড়ে আসেন এবং মবস্টার বলে তাড়িয়ে দেন।
জুবায়ের বলেন, ছাত্রদল এখানে কৃত্রিম জটলা তৈরি করে ডাকসুর ফুল প্যানেলের লিস্ট ধরিয়ে দিচ্ছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় আমি এটার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমার সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়।
তাছাড়া, পর্যবেক্ষক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফাও শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সামনের পরিস্থিতি দেখে এর প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.
ঢাকা/সৌরভ/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা