রাকসুর নির্বাচনি প্রচার শুরু, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
Published: 15th, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়েছে আজ (১৫ সেপ্টেম্বর)।
গতকাল রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী প্রচার চালাতে পারবেন। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত।
নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে। তবে, প্রার্থী ও ভোটার ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। সাদা-কালো পোস্টার ব্যবহার করা যাবে, যার আকার হবে— দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৬০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৪৫ সেন্টিমিটার। ভবনের দেয়ালে লেখালেখি বা পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ। প্রার্থী পরিচিতি সভা ছাড়া অন্য কোনো সভায় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
শুধু সংশ্লিষ্ট হলের রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ছাত্রদের আবাসিক হলে ছাত্রী এবং ছাত্রীদের আবাসিক হলে ছাত্ররা পরিচিতি সভায় প্রবেশ করতে পারবেন। ক্যাম্পাসে কোনো সভা আয়োজনের জন্য প্রক্টরকে সভার স্থান ও সময় সম্পর্কে আগাম জানাতে হবে। নির্বাচনি কার্যক্রম চলাকালে সবাইকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে এবং বহিরাগত কাউকে আবাসিক হলে থাকতে দেওয়া যাবে না।
আচরণবিধিতে আরো বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভয় দেখাতে, বল প্রয়োগ করতে বা ভোটদানে বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না। হল ও একাডেমিক ভবনের অভ্যন্তরে মিছিল বা সমাবেশ নিষিদ্ধ। এছাড়া, প্রচারণায় মিডিয়ার মাধ্যমে মানহানিকর, অশালীন বা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলা যাবে না।
এসব নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা বা নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.
ঢাকা/ফাহিম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য আচরণব ধ প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা