চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তি পালিয়েছেন। তাঁর নাম মো. আকাশ। মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বেলা ৩টার দিকে নগরীর বন্দর থানা-পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে এনেছিল।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ সোহেল রানা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আহত পুলিশ সদস্যের নাম জানা যায়নি। তবে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বন্দর অফিসার্স কলোনির বাইরে এক চীনা নাগরিকের মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়রা দুজনকে আটক করেন। তাঁরা হলেন মো.

আকাশ (২৫) ও মো. শাহাদাত (২২)। পিটুনি দিয়ে তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ছিনতাইয়ের শিকার চীনা নাগরিকের পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে চীনা নাগরিকের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। আহত আকাশকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর সঙ্গে এক পুলিশ সদস্য ছিলেন। রাতে সেই পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে হাসপাতাল থেকে আকাশ পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে আকাশ পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ র ক ঘ ত কর প ল শ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

টঙ্গীতে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ, ৪ আঙুল হারালেন যুবক 

গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে হাতের চারটি আঙুল হারিয়েছেন একটি গ্যাংয়ের প্রধান।

‎রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে টঙ্গীর ভরান এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে একই গ্রুপের অপর দুই সদস্য আবির (২৪) ও সিয়াম (২৪) আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

মনোনয়ন দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, গৌরীপুর বিএনপির আহ্বায়কসহ ৫ জন বহিষ্কার

শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করা নিয়ে যা জানাল পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৮টার দিকে টঙ্গীর ভরান এলাকায় দুটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়ো হয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ‘ভরানের সৈকত বাহিনী’ নামের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ‘তাসরিফ বাহিনী’র প্রধান তাসরিফের (২৫) বাম হাতের চারটি আঙুল কেটে নেয়। এ সময় আবির ও সিয়ামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা।

‎স্থানীয় বাসিন্দারা আহত তিন তরুণকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকার জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন, দুটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ