বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: ৯১ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ
Published: 8th, December 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ সোমবারও আদালতে জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ৯১ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পরিবর্তন হলো।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম আজ এ দিন ধার্য করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোকনুজ্জামান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতি থেকে বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
চুরির ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আরও পড়ুনরিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে ঢাকার আদালতের আদেশ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পরবর্তী সময়ে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। আর ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাধ্যমে মাত্র ৬৮ হাজার ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার অন্য উদ্যোগে ফেরত আসে। আরসিবিসিতে থাকা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করে ফেরত আনার বিষয়ে সম্প্রতি আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ ৪ নভেম্বর২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হলিউড অভিনেতা পেরির মৃত্যুর পর কেন আলোচনায় ‘কেটামিন কুইন’ খ্যাত এই নারী
এমন একজন নারী তিনি, আপাতদৃষ্টিতে যাঁর কোনো কিছুর অভাব নেই। ভালো পরিবেশে বেড়ে ওঠা, নামীদামি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা বা বন্ধু-বান্ধবের বিশাল জগৎ—কোনো কিছুরই তাঁর অভাব ছিল না।
বলা হচ্ছে জাসভিন সাঙ্গার কথা। তিনি নিজের জীবনের একটি বড় অধ্যায় কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকেও আড়ালে রেখেছিলেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক সাঙ্গা হলিউডের ধনী ও তারকাদের কাছে মাদক সরবরাহ করতেন। তাঁর একটি ‘গোপন ডেরা’ ছিল, যেখানে কোকেন, জ্যানেক্স, নকল অ্যাডারল পিল ও কেটামিন রাখা হতো।
কেটামিনের ৫০টি শিশি সরবরাহ করার পর সাঙ্গার ব্যবসা এবং আনন্দঘন মোহগ্রস্ত জীবন মুহূর্তে শেষ হয়ে যায়। কারণ, তাঁর কেটামিনের চালানটা শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছিল জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’-এর অভিনেতা ম্যাথিউ পেরির হাতে। অতিরিক্ত কেটামিন সেবনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে পেরির মৃত্যুর হয়।
‘তিনি (সাঙ্গা) উচ্চশিক্ষিত মানুষ। কিন্তু মাদক পাচারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।বিল বডনার, বিশেষ এজেন্ট ইন চার্জ, লস অ্যাঞ্জেলেসের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনপেরির মৃত্যুর ঘটনায় সাঙ্গাসহ পাঁচজন দোষ স্বীকার করেছেন, যাঁদের দুজন চিকিৎসক। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এ মামলার শেষ অভিযুক্ত হিসেবে সাঙ্গাকে দণ্ড দেওয়া হতে পারে। মামলাটির তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে একটি গোপন কেটামিন নেটওয়ার্কের খবর উঠে এসেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে সাঙ্গাকে সর্বাধিক ৬৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। ফেডারেল আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজার রায় ঘোষণা করবেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) বিশেষ এজেন্ট ইন চার্জ বিল বডনার বিবিসিকে বলেছেন, ‘তিনি (সাঙ্গা) উচ্চশিক্ষিত মানুষ। কিন্তু মাদক পাচারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। মাদক পাচার থেকে প্রাপ্ত অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে ব্যয় করতেন।’
সাঙ্গা তুলনামূলকভাবে একটি বড় মাদক পাচার নেটওয়ার্ক চালাতেন। এ নেটওয়ার্ক হলিউডের ধনীদের কাছে মাদক পাচার করত।
মামলার নথি মতে, পেরি শুরুর দিকে হতাশাজনিত সমস্যার চিকিৎসা হিসেবে বৈধ ও চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কেটামিন ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরে তিনি চিকিৎসকের নির্দেশনার চেয়ে বেশি পরিমাণে কেটামিন সেবন করতে চাইলেন।
হাস্যোজ্জ্বল অভিনেতা ম্যাথিউ পেরি। এনবিসি টেলিভিশন সিরিজ ‘স্টুডিও ৬০ অন দ্য সানসেট স্ট্রিপ’-এর প্যানেল অনুষ্ঠানে। ২১ জুলাই ২০০৬