কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের
Published: 8th, December 2025 GMT
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া নতুন করে আন্তসীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে। থাই সেনাবাহিনী আজ সোমবার বলেছে, সীমান্তে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে এক থাই সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই পক্ষই সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। এদিকে থাই সেনাবাহিনীর বরাতে রয়টার্স বলেছে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্তে বিমান হামলা শুরু করেছে থাইল্যান্ড।
আজ ভোরে উবন রাচাথানি প্রদেশে কম্বোডিয়ার সেনারা থাইল্যান্ডের বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর পর থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুবারি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী খবর পেয়েছে যে থাই সেনাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
এদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচিয়াতা বলেন, আজ ভোরে প্রিয়াহ ভিহিয়ার ও ওদ্দার মিনচে প্রদেশে কম্বোডিয়ার সেনাদের ওপর থাই বাহিনীই প্রথম হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, হামলার জবাবে কম্বোডিয়া পাল্টা হামলা চালায়নি।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ২৬ জুলাই ২০২৫রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল উইনতাই সুবারি বলেছেন, থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সঙ্গে তাদের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে বিমান হামলা শুরু করেছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলার পর এ হামলা শুরু হয়।
চলতি বছরের জুলাইয়েও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়েছিল। তখন এই সীমান্তবিরোধ টানা পাঁচ দিনের যুদ্ধে রূপ নিয়েছিল। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। গত অক্টোবরে কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে বর্ধিত মেয়াদে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনশত বছরের বৈরিতা অবসানে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তি সই২৬ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে অতি সক্রিয় ভূমিকায় রাখা প্রয়োজন
বর্তমানে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘লিগ্যাল’ কার্যক্রম চলমান। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু নেতিবাচক বিষয় ঘুরছে, যা সেনাবাহিনীর মনোবলকে কিছুটা হলেও স্পর্শ করেছে।
এমন সময়ে প্রথম আলোর জরিপে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করলে কী প্রভাব পড়বে, এসব বিষয়ে মানুষের ইতিবাচক মতামত উঠে এসেছে। এটা সার্বিকভাবে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থার প্রতিফলন।
প্রথম আলো গ্রাফিকস