মোস্তাফিজের ফের ২ উইকেট, এবার জিতল দল
Published: 8th, December 2025 GMT
দুবাইয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের অভিষেক জয়ে রাঙাতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে নিজে ২ উইকেট নিলেও দুবাই ক্যাপিটালস জিততে পারেনি। তবে জয়ের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়নি বাংলাদেশের পেসারের।
নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে তারা। রোববার আবুধাবি নাইট রাইডার্সকে ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানদের দুবাই ক্যাপিটালস।
আগে ব্যাটিং করে দুবাই ৪ উইকেটে ১৮৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে আবুধাবি নাইট রাইডার্স গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে। আসরের প্রথম জয়ের সঙ্গে কিছু রান রেটও বাড়িয়ে নিতে পেরেছে দুবাই।
যা সম্ভব হয়েছে মোস্তাফিজদের দারুণ বোলিংয়ে। বাঁহাতি পেসার জয় পাওয়া ম্যাচেও পেয়েছেন ২ উইকেট। ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। পাওয়ার প্লে’তে দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে উন্মুক্ত চাঁদকে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান ফিল সল্টের উইকেট নেন। সল্টের ব্যাটেই দুই চার ও এক ছক্কা হজম করেন তিনি। পরে প্রতিশোধ নিয়ে শেষ হাসিটা তিনিই হাসেন।
দুবাইয়ের সেরা বোলার ছিলেন ওয়াকার সালামখেইল। ৩.
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক দুঘর্টনায় ৩ ভাইয়ের মৃত্যু, পরিবারে মাতম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসচাপায় নিহত মোটরসাইকেলে আরোহী তিন ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার একটি কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এর আগে, দুপুরে তাদের মরদেহ গ্রামে এসে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাদের সান্তনা দিতে গিয়ে চোখে পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না প্রতিবেশী ও স্বজনরা।
আরো পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
টাঙ্গাইলে বেইলি ব্রিজে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ১
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহতেরা হলেন- কুমারখালীর সাদিক ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার করিম মন্ডলের ছেলে সুমন (২৫) ও রিমন (১৪) এবং তাদের চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লার ছেলে মো. আশিক মোল্লা (২২)। সুমন ও রিমন পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রি ছিলেন। আশিক ঢাকায় চাকরির পাশাপাশি উবার চালাতেন।
দুই ছেলেকে হারিয়ে শোক স্তব্দ করিম মন্ডল বলেন, “আমার মেয়ের শাশুড়ি গত শনিবার মারা গেছেন। তার জানাজায় অংশ নিতে দুই ছেলে বাড়িতে আসছিল। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিল। বড় ছেলেকে সুমনের খোঁজ নেওয়ার জন্য বলি। সে সুমনকে ফোন দিলে পুলিশ ফোন ধরে জানায় এক্সিডেন্টের কথা। বড় ছেলে যেয়ে দেখে, আমার দুই ছেলের লাশ হাসপাতালে পড়ে আছে। এখন এ শোক আমি সইবো কি করে।”
নিহত আশিক মোল্লার মা শিউলী খাতুন কান্নারত অবস্থায় বলেন, “১৫ দিন আগেই বাড়িতে এসে ছেলে ঘুরে গেছে। ছেলে যে আজকে বাড়িতে আসছিল জানতাম না। রাতে পুলিশ ফোন করে জানায়, আশিকের এক্সিডেন্ট হয়েছে। পরে খবর পাই, হাসপাতালে নেওয়ার পর আমার ছেলে মারা গেছে। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচব? আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলেকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।”
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, “শনিবার মধ্যরাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের একই এলাকার আপন দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছে। তাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। খুব কষ্টদায়ক একটি বিষয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ