নেহার নাচকে কেন ‘অশ্লীল’ বলছেন নেটিজেনরা?
Published: 8th, December 2025 GMT
মঞ্চের সামনে অগণিত দর্শক। তাদের আনন্দ ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ। বাহারি আলোর দ্যুতিতে ঝলমলে মঞ্চে পারফর্ম করছেন বলিউডের আলোচিত গায়িকা নেহা কাক্কর।
তার পরনে শরীরচাপা লেপার্ড-প্রিন্ট আউটফিট। ব্রালেট, ফ্রিঞ্জড মিনি স্কার্ট আর থাই-হাই বুটে আবেদনময়ী নেহা। লম্বা ব্লন্ড ঢেউ খেলানো চুল ঝাঁকিয়ে গানের তালে শরীরি মুভে নেহা যেন স্পষ্টভাবেই পারফরম্যান্সের ‘মুড’ ঠিক করে দিচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
সংসার ভাঙার গুঞ্জনে মুখ খুললেন দিব্যা
পরিচালক বিক্রম ভাট গ্রেপ্তার
গান আর নাচের ফাঁকে নেহা পানির বোতল তুলে নিজের বুকের ওপরে ঢালতে থাকেন। শরীর থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল; গান আর নাচও চালিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পী। নেহা কাক্কর তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
দিল্লির একটি লাইভ কনসার্টে নেহা কাক্করের পারফরম্যান্স দেখে নেটিজেনদের একাংশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অন্য অংশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। কেউ কেউ বলছেন, “অদম্য নেহা-এনার্জি।” কারো মতে, “মঞ্চে কী দাপট।” আবার বুকের ওপরে জল ঢালার দৃশ্যটিকে কেউ কেউ ‘অশ্লীল’ বলে মন্তব্য করেছেন। স্নেহা লেখেন, “নোংরা।” অন্য একজন লেখেন, “কুৎসিত।” কেউ কেউ তাকে ‘বার ড্যান্সার’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে একজন লেখেন, “সুরের রানি থেকে এরকম পর্যায় নেমে আসা?” আবার একজন আক্ষেপ করে লেখেন, “একজন ভালো গায়িকা হিসেবে নিজের ব্যক্তিত্ব নিজেই নষ্ট করছেন নেহা।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি নেহা। আর এমন বিতর্ক নেহার কাছে নতুন কিছু নয়।
১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তর প্রদেশের ঋষিকেশে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন নেহা কাক্কর। তার বাবা ছিলেন শিঙাড়া বিক্রেতা। বড় বোন সনু কাক্কর ও ভাই টনি কাক্কর উভয়ে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। মাত্র চার বছর বয়স থেকে গান শুরু করেন নেহা। ২০০৫ সালে ইন্ডিয়ান আইডলের মাধ্যমে গায়িকা হিসেবে নজর কাড়েন নেহা।
২০০৮ সালে ভাই টনির সঙ্গে মুম্বাই পা রাখেন নেহা। সেই বছরই ‘নেহা দ্য রকস্টার’ নামে তার প্রথম গানের অ্যালবাম মুক্তি পায়। ২০১৩ সালে ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’সিনেমার ‘ধাতিং নাচ’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন। ২০১৪ সালে তার ‘সানি সানি’গানটি দারুণ হিট হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক তুমুল জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।
নেহার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘জাদু কা ঝাপ্পি’, ‘টুকুর টুকুর’, ‘ন্যায়না’, ‘মে তেরা বয়ফ্রেন্ড’, ‘দিলবার দিলবার’, ‘কালা চশমা’, ‘আঁখ মারে’, ‘কোকাকোলা’, ‘সাকি সাকি’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক ক কর
এছাড়াও পড়ুন:
ধামরাইয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে মারধর
ঢাকার ধামরাইয়ে মোবাইল চুরির অপরাধে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া আদর্শ গ্রামে তাকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে গাছের সঙ্গে বেঁধে একদল লোককে ওই কিশোরকে মারধর করতে দেখা যায়।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) দেবাশীষ সাহা বলেন, “ভিডিওটি দেখেছি। কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
পরীক্ষা নিতে বাধা, শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদল নেতা
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার কুদ্দুস, রব, হারুন, আসলাম, শাহ আলম, সাব্বিরসহ আরো ১০-১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার ভোরের দিকে কুদ্দুসের বাড়ি থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন খোয়া যায়। ফোনটি খোঁজাখুঁজি করেও পাননি পরিবারের লোকজন। পরে সন্দেহের বশে ওই কিশোরকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন অভিযুক্তরা। পরে বাড়িতে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে আবারো তাকে মারধর করেন তারা। বিকেলে মোবাইল নেওয়ার কথা স্বীকার করে কিশোর। সে ফোনটি পার্শ্ববর্তী এলাকায় একজনের কাছে বিক্রি করেছে বলে জানায়। পরে স্থানীয়রা সেই ক্রেতার কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে। সন্ধ্যার দিকে এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মারধরের শিকার কিশোর জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুদ্দুস তার বাবা রউফ ও আরো একজন এসে তাকে মোবাইল নেওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞেস করে। একপর্যায়ে কাঠের টুকরা দিয়ে তাকে আঘাত করে। সে অজ্ঞান হয়ে যায়। সেভাবেই তাকে টেনে কুদ্দুসের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে লোকজনের সামনে মারধর করে। বিকেলের দিকে মোবাইলের সন্ধান দেওয়ার পর তাকে তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত কুদ্দুস বলেন, “বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করছি। তারপর স্বীকার করছে। পরে মোবাইলটা পাইছি।”
কিশোর দোষ স্বীকার করে বলে, “আমি মোবাইল নিয়েছিলাম। তাই আমাকে নিয়ে মারছে। তারপর মা গিয়ে ছাড়িয়ে আনে।”
ভুক্তভোগীর মা বলেন, “ওরে জিজ্ঞেস করছি, কিন্তু কিছু বলেনি। আমি কাজে গেছি, আমার ফোন নেই। কাজ থেকে খবর পাই, আমার ছেলেকে আটকে মারছে। তখন এসে এলাকার লোকজন ধরে তাকে ছাড়িয়ে আনি। আমার ছেলে অন্যায় করছে, তাকে পুলিশে দিতো। কী অমানবিকভাবে মারছে। আমি বিচার চাই।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ