ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল কখনোই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের অনুমতি দেবে না, কারণ এর আসল উদ্দেশ্য হলো ‘একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র’ ধ্বংস করা’।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) জেরুজালেমে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করেন। খবর আরটির।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে দুটি প্রস্তাব পাস

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪২ ফিলিস্তিনি নিহত

মের্জ একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রতি বার্লিনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেও নেতানিয়াহু তার সঙ্গে খোলাখুলিভাবে দ্বিমত পোষণ করেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এই ধরনের একটি সত্তা ‘আমাদের দোরগোড়ায় আমাদের ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ হবে।

সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শাসিত ফিলিস্তিনি ছিটমহলের কথা উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, “গাজায় তাদের ইতিমধ্যেই একটি রাষ্ট্র ছিল এবং এটি একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ধ্বংস করার চেষ্টা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।” 

তিনি আরো বলেন, ইসরায়েল বিশ্বাস করে ‘আরব দেশগুলোর সঙ্গে একটি বৃহত্তর শান্তি এগিয়ে নেওয়ার’ এবং ‘আমাদের ফিলিস্তিনি প্রতিবেশীদের সাথে একটি কার্যকর শান্তি প্রতিষ্ঠার’ একটি পথ রয়েছে, যার মধ্যে একটি স্বাধীন সত্তা তৈরির প্রয়োজন নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বারবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবিত দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই পরিকল্পনায় ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পূর্বে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি রেখার মধ্যে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে, যার রাজধানী ছিল পূর্ব জেরুজালেম।

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের মূল বিভাজন পরিকল্পনায় পৃথক ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রের প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তী যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দকৃত বেশিরভাগ ভূমি দখল করে নেয়।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ বলে বিবেচিত পশ্চিম তীরের দখল নিয়ে এখনও আলোচনার বিষয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে নতুন বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে কার্যত অসম্ভব করে তুলবে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র ষ ট র গঠন র ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দো সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তিতে মুক্তিযুদ্ধে নতুন মেরুকরণ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সাড়ে চার মাসের মাথায় নাটকীয়ভাবে ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়ন মৈত্রী চুক্তি হয়। এই চুক্তি মুক্তিযুদ্ধে নতুন শক্তি সঞ্চার করে। মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে আসে নতুন মোড়।

চুক্তিটিকে অনেকে আকস্মিক হিসেবে দেখেন। হাসান ফেরদৌস মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত বন্ধুরা (প্রথমা প্রকাশন, ২০১৩) বইয়ে অবশ্য লিখেছেন, এ ধরনের একটি চুক্তি নিয়ে দুই বছরের বেশি সময় ধরে আলাপ-আলোচনা চলছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন মেরুকরণ চুক্তিটিকে ত্বরান্বিত করে।

মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তড়িঘড়ি করে চুক্তিটি সইয়ের পেছনে জরুরি তাগিদ হিসেবে কাজ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক আঁতাত। মঈদুল হাসান মূলধারা ’৭১ (ইউপিএল, ২০০৮) বইয়ে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ সমস্যার ‘রাজনৈতিক সমাধানে’ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ব্যাপারে ভারত সরকারের দক্ষিণপন্থী অংশ আশাবাদী ছিল। জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক নীতির পরিবর্তন স্পষ্ট হলে এই আশা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

প্রতীকী ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ