সাত কলেজশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কেন মুখোমুখি হলো
Published: 8th, December 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অবকাঠামো, শিক্ষকসংখ্যা, আবাসন, পরিবহন, শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ, সমাবর্তন, ক্লাস রুটিন, সিলেবাস, মানোন্নয়ন, পরীক্ষাব্যবস্থা ও ফলাফলসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। অধিভুক্তির মাত্র পাঁচ মাস পর, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফল প্রকাশ ও নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে প্রথমবারের মতো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয় তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অসংগতি, প্রশাসনিক জটিলতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এসব দাবিদাওয়া ঘিরে ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বারবার রাস্তায় নামতে হয়েছে। পূর্বপ্রস্তুতিবিহীন লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর অধিভুক্তির চাপে নুইয়ে পড়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রার ও বিভাগগুলো অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা যারপর নাই ভোগান্তিতে পড়ে এবং এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ২০২৪ সালের শেষ দিকে শিক্ষার্থীরা স্থায়ী সমাধানের খোঁজে রাজপথ বেছে নেয়।
শুরুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল প্রশাসনিক জটিলতা দূরীকরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা—প্রয়োজনে আলাদা ভবন নির্মাণের মাধ্যমে টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা। পরে সেটি রূপ নেয় সাত কলেজকে কেন্দ্র করে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে, যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে সৃষ্ট পরীক্ষাব্যবস্থা, ফল প্রকাশ, সেশনজটসহ দীর্ঘদিনের বিভিন্ন সমস্যার অবসান ঘটে।
সাত কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক সংকট সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। সেখানে কার্যপরিধির–০২–এ স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় রূপান্তরের প্রক্রিয়া নির্ধারণ ও বিকল্পগুলো বিবেচনা করা। কিন্তু কমিটি কার্যপরিধির বাইরে গিয়ে হাইব্রিড ও স্কুলিং পদ্ধতিসংবলিত অনলাইননির্ভর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ২.
শিক্ষার বাণিজ্যকরণ রোধ, উচ্চশিক্ষা সংকোচন ও স্বাধীনতা রক্ষাসহ আট দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষকেরা একই দিনে একই সময়ে প্রতিটি কলেজে মানববন্ধন করেন। ঢাকা কলেজসহ পাঁচটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা নিজভূমে পরবাসী অথবা বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে দফায় দফায় আন্দোলন করে দাবি জানায় কলেজের সম্পত্তি কোনোভাবেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট হস্তান্তর করা যাবে না। সহশিক্ষা চালু ও নারীশিক্ষা সংকোচনের বিরুদ্ধতা করে ইডেন কন্যাদের একটি বড় অংশ নীলক্ষেতসংলগ্ন রাজপথ অবরোধ করে।
আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ত কল জ র শ ক ষ র থ স বতন ত র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
সুন্দরবন থেকে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী খাল থেকে ডন বাহিনী পরিচয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। এই জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়েছে বলে জানান অন্য জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।
আরো পড়ুন:
সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
সুন্দরবন থেকে ফেরত আসা জেলে ফজর আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে তিনদিন আগে অনুমতি (পাস) নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান জেলেরা। কাঁকড়া শিকারের জন্য তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিলেন।
গতকাল রবিবার সকাল ৮টার দিকে তিনটি নৌকায় ১০জন বন্দুকধারী জেলেদের ঘিরে ধরে। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে নেয় তারা। চলে যাওয়ার সময় একটি নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তিন দিনের মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত জেলেদের হাত-পা ভেঙে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, “বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রাল টিমের সদস্যরা সুন্দরবনের ভেতরে রয়েছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ