মেক্সিকোতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে তিন পুলিশসহ নিহত ৫
Published: 8th, December 2025 GMT
মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলের মিচোয়াকান রাজ্যে একটি পুলিশ স্টেশনের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত এবং আরো ১২ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এবিসি নিউজের।
অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরের কিছু আগে উপকূলীয় শহর কোয়াহুয়ায়ানার পুলিশ স্টেশনের সামনেই গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন এবং আহতদের মধ্যে পাঁচজন একটি কমিউনিটি পুলিশ বাহিনীর সদস্য।
এই রাজ্যে অসংখ্য অপরাধী গোষ্ঠী সক্রিয়, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী জালিসকো নিউ জেনারেশন কার্টেল। চলমান সহিংসতার কারণে সরকার সম্প্রতি এখানেই একটি বড় নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেছে।
মিচোয়াকানে অপরাধী গোষ্ঠীগুলো ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা বা রাস্তার পাশে মাইন পাতার মতো কৌশল ব্যবহার করে থাকে।
কমিউনিটি পুলিশের কমান্ডার হেক্টর জেপেদার মতে, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে মানুষের দেহাবশেষ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
রাজ্যের গভর্নর আলফ্রেডো রামিরেজ বেদোল্লা, ক্ষমতাসীন মোরেনা দলের সরকারের সাত বছর উদযাপনের জন্য মেক্সিকো সিটিতে প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সাথে একটি পাবলিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে।
দুই দশক ধরে বিভিন্ন সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠী অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করে আসছে, কারণ মিচোয়াকান সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রবেশদ্বার। তাদের আরেকটি লাভজনক ব্যবসাও রয়েছে: চাঁদাবাজি।
ট্রাম্প প্রশাসন যে ছয়টি মাদক কার্টেলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করেছে তার মধ্যে অন্তত তিনটি - জালিস্কো নিউ জেনারেশন, ইউনাইটেড কার্টেলস এবং দ্য নিউ মিচোয়াকান ফ্যামিলি- মিচোয়াকানে কাজ করে। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশীয় সশস্ত্র স্প্লিন্টার গ্রুপও রয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু সিনালোয়া কার্টেল দ্বারা সমর্থিত।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
সেকশন: বাংলাদেশ
ট্যাগ:
মেটা:
সোশ্যাল ও এক্সসার্প্ট:
র ছবি দেন
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতেরা হলেন, মা লায়লা আফরোজ ও মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজ। নাফিসা প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম পলাশ ঢাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আজিজুল ইসলাম সকালে স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় আসেন। বাইরে থেকে দরজা খুলে ভেতর ঢুকে পুরো বাসা রক্তাক্ত দেখতে পান। প্রথমে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তাঁর স্ত্রী। বাসায় একজন গৃহকর্মী সকালে কাজ করতে আসেন। তবে আজকে তিনি কাজ করতে এসেছিলেন কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে তদন্তের কাজ করছেন।
মা-মেয়ের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।