স্মৃতি আর সুরে বাঁধা সিডনির ‘জলসারাত’
Published: 8th, December 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাভাষী মানুষের অংশগ্রহণে সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সংগীতানুষ্ঠান ‘জলসারাত’। নোভেরার উদ্যোগে গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ওয়ারিংটনের হ্যারল্ড কর কমিউনিটি হলে শুরু হওয়া এই আয়োজন সিডনির প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এনে দেয় এক পরিচিত সুরের সন্ধ্যা।
পুরোনো দিনের গানের সঙ্গে আধুনিক ধারার সংগীতের সমন্বয়ে সাজানো ছিল পুরো অনুষ্ঠান। আধুনিক বাংলা গান, গজল, লালনগীতি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ডসংগীতের পরিবেশনায় শ্রোতাদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। উপস্থিত দর্শকেরা পুরো সময় মনোযোগ দিয়ে পরিবেশনা উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব উপস্থাপনা করেন পুষ্পিতা চৌধুরী। এ পর্বে গান পরিবেশন করেন সুদীপা ঘোষ, প্রীতি রায় ও শ্যামলী দেবরায়। তাঁদের নির্বাচিত গানগুলো শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলে। ধারাবাহিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি ধীরে ধীরে গতি পায়।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল স্প্ল্যাশ সংগীত দলের পরিবেশনা। এই দলে গান ও বাদ্যযন্ত্রে অংশ নেন পীযূষ সরকার, সুমন রায়, লোগান পাল ও শাওন সরকার। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ডসংগীত পরিবেশনায় দর্শকদের মধ্যে আলাদা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে গানের সুরে গলা মেলান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্দো সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তিতে মুক্তিযুদ্ধে নতুন মেরুকরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সাড়ে চার মাসের মাথায় নাটকীয়ভাবে ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়ন মৈত্রী চুক্তি হয়। এই চুক্তি মুক্তিযুদ্ধে নতুন শক্তি সঞ্চার করে। মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে আসে নতুন মোড়।
চুক্তিটিকে অনেকে আকস্মিক হিসেবে দেখেন। হাসান ফেরদৌস মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত বন্ধুরা (প্রথমা প্রকাশন, ২০১৩) বইয়ে অবশ্য লিখেছেন, এ ধরনের একটি চুক্তি নিয়ে দুই বছরের বেশি সময় ধরে আলাপ-আলোচনা চলছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন মেরুকরণ চুক্তিটিকে ত্বরান্বিত করে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তড়িঘড়ি করে চুক্তিটি সইয়ের পেছনে জরুরি তাগিদ হিসেবে কাজ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক আঁতাত। মঈদুল হাসান মূলধারা ’৭১ (ইউপিএল, ২০০৮) বইয়ে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ সমস্যার ‘রাজনৈতিক সমাধানে’ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ব্যাপারে ভারত সরকারের দক্ষিণপন্থী অংশ আশাবাদী ছিল। জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক নীতির পরিবর্তন স্পষ্ট হলে এই আশা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
প্রতীকী ছবি