রকেটের শক্তি জোগাবে চাঁদের ধূলিকণা
Published: 8th, December 2025 GMT
চাঁদের ধূলিকণাকে শক্তির উৎসে রূপান্তর করতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) যন্ত্র তৈরি করছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মালিকানাধীন মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। নতুন যন্ত্রটি কাজে লাগিয়ে চাঁদে অবস্থানের সময় সেখানকার ধূলিকণা থেকে প্রয়োজনীয় জ্বালানি শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে রকেট। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অ্যামাজনের রিইনভেন্ট ২০২৫ সম্মেলনে যন্ত্রটির প্রাথমিক সংস্করণ প্রদর্শনও করেছে ব্লু অরিজিন। এর মাধ্যমে চাঁদে দীর্ঘ সময় অবস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায় ব্লু অরিজিন।
ইস্তারি ডিজিটাল নামের একটি স্টার্টআপের (উদ্ভাবনী উদ্যোগ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে যন্ত্রটি। যন্ত্রটির কার্যকারিতা তুলে ধরে স্টার্টআপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উইল রোপার বলেন, যন্ত্রটি চাঁদের ধূলিকণা সংগ্রহ করে তা থেকে তাপ নিষ্কাশন করতে পারে। ফলে এটি ধূলিকণাকে কার্যকরভাবে একটি ব্যাটারির মতো শক্তির উৎসে রূপান্তরিত করবে। এটি মূলত ব্যাটারির মতো কাজ করবে।
আরও পড়ুনচাঁদের রং বদলায় কীভাবে২১ জুলাই ২০২৫চাঁদে প্রতি ২৮ দিনে দুই সপ্তাহব্যাপী দীর্ঘ চন্দ্ররাত্রির কারণে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এই সময় চাঁদ অন্ধকারে ডুবে যায় এবং পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এর ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। নতুন যন্ত্র এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য চাঁদের ধূলিকণাকে ব্যাটারিতে রূপান্তরিত করবে। এটি অনেকটা নিজের বিদ্যুৎ নিজে তৈরির মতো কাজ করবে।
আরও পড়ুন চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে২০ জুন ২০২৪নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে চাঁদের দুই সপ্তাহের চন্দ্ররাত্রি অবস্থানের জটিলতা দূর করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চাঁদের ধীর ঘূর্ণনের কারণে তার পৃষ্ঠের যেকোনো স্থান প্রায় ১৪ দিন স্থির সূর্যের আলো পায় এবং পরবর্তী ১৪ দিন অন্ধকার থাকে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনহঠাৎ করে বিভিন্ন দেশ চাঁদে যেতে চাইছে কেন২৫ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ জারির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচ
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ-২০২৫ চূড়ান্তভাবে জারি করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা ভবন মোড় থেকে সচিবালয়মুখী রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। ফলে, উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু, আমাদের লক্ষ্য এখন শুধুই অধ্যাদেশ। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই আইনের খসড়ার বিষয়ে অনলাইন মাধ্যমে সব অংশীজনের মতামত নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় খসড়া চূড়ান্ত করার অভিপ্রায়ে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর এবং গত ১৭ নভেম্বর যথাক্রমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও সুশীলসমাজের সাথে তিনটি সভা করেছে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হচ্ছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের কোনো গতিশীলতা আমাদের চোখে পড়ছে না। পরিচয় সংকট ও একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার মুখে প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ চলমান সকল শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন।
শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার বলেন, “আমাদের দাবি, আজকের মধ্যে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। আমরা সাত কলেজ বলে কিছু মানি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। সরকারকে বলব, টালবাহানা না করে দ্রুত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫ প্রণয়ন করুন।
শিক্ষা ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
ঢাকা/রায়হান/রফিক