টেকনাফে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে অপহরণ। এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

টেকনাফে অপহরণ রোধে ব্যবস্থা নিতে সড়ক অবরোধ

টেকনাফে ৬ শিশু অপহরণ, পালিয়ে এসেছে ২ জন

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফ, বিশেষ করে বাহারছড়া এলাকায় অপহরণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ফলে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে অপহরণ চক্রের বিরুদ্ধে টহল জোরদার, নজরদারি বৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন, করিম উল্লাহ, মুহাম্মদ রিদুয়ান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রহিম উল্লাহ আল নোমান।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ স ম রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

সুন্দরবন থেকে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী খাল থেকে ডন বাহিনী পরিচয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। এই জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়েছে বলে জানান অন্য জেলেরা। 

অপহৃত জেলেরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।

আরো পড়ুন:

সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সুন্দরবন থেকে ফেরত আসা জেলে ফজর আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে তিনদিন আগে অনুমতি (পাস) নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান জেলেরা। কাঁকড়া শিকারের জন্য তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিলেন।

গতকাল রবিবার সকাল ৮টার দিকে তিনটি নৌকায় ১০জন বন্দুকধারী জেলেদের ঘিরে ধরে। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে নেয় তারা। চলে যাওয়ার সময় একটি নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তিন দিনের মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত জেলেদের হাত-পা ভেঙে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, ‍“বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রাল টিমের সদস্যরা সুন্দরবনের ভেতরে রয়েছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
  • চট্টগ্রামে ৭ বছরের শিশুর নামে মামলা নিল পুলিশ, তিন দিনেও মেলেনি মুক্তি
  • ফতুল্লায় ফের দুই যুবককে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ রাজ্জাক বাহিনীর বিরুদ্ধে
  • ‘বিত্তশালী’ ভেবে অপহরণ, এরপর যা হলো