শরণার্থী ও অভিবাসী লেখকদের ১৫ হাজার পাউন্ড পুরস্কার
Published: 8th, December 2025 GMT
ফুটনোট প্রেস ও কাউন্টারপয়েন্টস আর্টস শরণার্থী ও অভিবাসী পটভূমির লেখকদের নিয়ে একটি নতুন ফিকশন পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এই পুরস্কারের বিজয়ীরা ১৫ হাজার পাউন্ড ও একটি প্রকাশনা চুক্তি পুরস্কার পাবেন।
গত ২৭ নভেম্বর ফুটনোট-কাউন্টারপয়েন্টস ফিকশন পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে তারা নন-ফিকশন পুরস্কার দিয়েছিল। তবে এবার প্রথমবারের মতো ফিকশনে দেওয়া হবে।
যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী লেখকদের জন্য উন্মুক্ত এই পুরস্কারটির লক্ষ্য হলো, যাঁদের লেখায় অভিবাসনের অভিজ্ঞতার কথা উঠে এসেছে তাঁদের খুঁজে বের করা। ফুটনোট প্রেস (বানিয়ার বুকস ইউকের একটি ইমপ্রিন্ট) এবং কাউন্টারপয়েন্টস আর্টস (শিল্প, অভিবাসন ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে) জানিয়েছে, পুরস্কারে এমন ফিকশনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, যেখানে বিচ্ছিন্নতা ও সাহসের গল্প থাকবে।
বিজয়ী লেখক পাবেন ৭ হাজার ৫০০ পাউন্ড নগদ পুরস্কার এবং ফুটনোট প্রেসের সঙ্গে প্রকাশনা চুক্তির অংশ হিসেবে আরও ৭ হাজার ৫০০ পাউন্ড অগ্রিম। লন্ডনের সাউথব্যাংক সেন্টার আগামী বছরের মে মাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শর্টলিস্টে থাকা লেখকেরা নিজেদের কাজ পড়ে শোনাবেন এবং আলোচনায় অংশ নেবেন।
অংশগ্রহণের সুযোগ এখন উন্মুক্ত এবং আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
• গ্রন্থনা: রবিউল কমল
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র প উন ড ফ টন ট ফ কশন
এছাড়াও পড়ুন:
ভবনের ছাদ থেকে ৫ ঘণ্টা গুলিবর্ষণ, একটি অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি
চারতলা ভবনের ছাদে ২০-২৫ জন ব্যক্তি। তাঁদের অনেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র। এর মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরা একজন কিছুক্ষণ পরপর বাঁশি বাজাচ্ছেন। সেই বাঁশি বেজে উঠতেই একসঙ্গে ভবনের নিচে জড়ো হওয়া মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে জিরিয়ে নিয়ে ছাদে থাকা একটি ড্রাম থেকে শরবতও পান করছিলেন সেই অস্ত্রধারীরা। এভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে গুলি ছোড়া হয় ভবনটির ছাদ থেকে।
গত বছরের ৪ আগস্ট এই দৃশ্য দেখা যায় লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায়। ওই অস্ত্রধারীদের গুলিতে চারজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের একটিও উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও আহত ব্যক্তিরা।
দিনের আলোতে গুলিবর্ষণের এ ঘটনার অনেক ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে হামলার সময় পিস্তল, শটগান ও কাটাবন্দুক ব্যবহার করতে দেখা যায় অস্ত্রধারীদের। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে অধিকাংশ অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অস্ত্রধারীদের প্রায় সবাই যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চার শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরিয়া কলেজের সাদ আল আফনান, দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের সাব্বির হোসেন রাসেল, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের কাউছার হোসেন ও একই কলেজের ওসমান গণি।যেভাবে ঘটনার শুরুলক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা অবস্থান করেন ঝুমুর এলাকায়। সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় শহরের উত্তর তেহমনী থেকে ঝুমুর পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী চলে এই সংঘর্ষ। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতারা পিছু হটেন। এর মধ্যে কিছু নেতা-কর্মী আশ্রয় নেন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিনের বাসার সামনে।
দুপুর ১২টার দিকে শত শত আন্দোলনকারী এ কে এম সালাহ উদ্দিনের বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সালাহ উদ্দিন ও তাঁর বাহিনীর লোকজন বাসার ছাদ থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। শতাধিক আন্দোলনকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চারজন শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরিয়া কলেজের সাদ আল আফনান, দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের সাব্বির হোসেন রাসেল, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের কাউছার হোসেন ও একই কলেজের ওসমান গণি । ওই দিন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা একপর্যায়ে এ কে এম সালাহ উদ্দিনের ভবনটিতে আগুন দেন। এ সময় গণপিটুনিতে নিহত হন আরও ৮ জন।
ছাত্র–জনতার কর্মসূচিতে হামলা চালান অস্ত্রধারীরা। গত বছরের ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর সদর এলাকায়