নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে ফখরুল ইসলাম মঞ্জু (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে মারধর করা হয়।   

 

আরো পড়ুন:

নাফিউল হত্যায় জড়িতরা ঘুরছে প্রকাশ্যে, ধরছে না পুলিশ

সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের নতুন তারিখ ধার্য

নিহতের পরিবার দাবি, মঞ্জুকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আব্দুল বারী জানান, নিহত যুবক একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।  

নিহত মঞ্জু চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব বলেন, ‍“আজ সকালে আমার ছেলে মিজানুর রহমান ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চৌমুহনী বাজারে যাচ্ছিল। মঞ্জু ও তার সহযোগিরা আমার ছেলেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে একত্রিত হয়ে মঞ্জুকে গণপিটুনি দিলে সে মারা যায়। তাৎক্ষণিক বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং নিহতের আড্ডায় হামলা চালায়।”  

নিহতের বড় বোন শাহনাজ আক্তার বলেন, “আজ ভোর ৭টার দিকে মঞ্জু আমার অসুস্থ মেয়ে টুম্পাকে দেখতে বাড়িতে আসে। নিজের বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মান্দার বাড়ির দরজায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ১৫-২০ জন মিলে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।” নিহতের পরিবারের দাবি, পূর্ব শক্রতার জেরে মঞ্জুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা গণপিটুনির সূত্রতা পেয়েছি। নিহতের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়েছে বলে জানা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ম রধর ন হত অভ য গ গণপ ট ন ন হত র

এছাড়াও পড়ুন:

কবরস্থানে মিলল একনলা বন্দুক, এলজিসহ ছয়টি অস্ত্র, লুকানো ছিল ঝোপের ভেতর

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একটি কবরস্থানের ঝোপের ভেতর থেকে একনলা বন্দুক, এলজিসহ ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেগমগঞ্জের এলাকাটি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের সীমানাসংলগ্ন। আজ রোববার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই সব অস্ত্র উদ্ধার করে, তবে এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

আজ বিকেলে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী এ তথ্য জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আজ সকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর মনু মাঝিবাড়ির কবরস্থানসংলগ্ন ঝোপ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র উদ্ধার করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে। অস্ত্রগুলো স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে তৈরি বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার নোহা অটো ট্রেডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে এসব অস্ত্র তৈরি করা হতো। এই ওয়ার্কশপের মালিক নুর উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই ওয়ার্কশপের আড়ালে অবৈধ অস্ত্র তৈরি করছিলেন। এর আগে ১ ডিসেম্বর একই ওয়ার্কশপ থেকে একটি দেশি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো নাশকতার জন্য মজুত করা হচ্ছিল বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নুর উদ্দিন বর্তমানে পলাতক, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি, এক যুবক নিহত
  • লক্ষ্মীপুরে কবরস্থান থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার  
  • কবরস্থানে মিলল একনলা বন্দুক, এলজিসহ ছয়টি অস্ত্র, লুকানো ছিল ঝোপের ভেতর