Prothomalo:
2025-11-24@03:57:08 GMT

শহরের অবচেতনে হেমন্ত

Published: 24th, November 2025 GMT

ব্যস্ততার ছায়ায় দেখি সময়। প্রতিটি যাত্রা যেন এক নীরব অন্তর্গমন, যেখানে শরীর এগোয়, মন স্থির থাকে জানালার পাশে, অদৃশ্য কুয়াশার মতো।

হেমন্ত এখন শহরের অবচেতনে ঘুমিয়ে থাকা সফটওয়্যার যা কফির গন্ধে খুলে যায়, ই–মেইলের আলোয় জেগে ওঠে, আর দিন শেষে নিভে যায় ধূসর পর্দায়। এখানে ঋতু যেন মেমোরি লস, আর প্রকৃতি ডেটা ব্যাকআপ।

তবু কোথাও এক নিঃশব্দ কোডে, মাটির গন্ধ এখনো বেঁচে আছে। শহরের মানুষ জানে না, কখন রোদ্দুরের রং ফিকে হয়ে যায়, কখন শরীরে শিশির জমে ক্লান্তির মতো।

হেমন্ত এখানে আত্মিক সংযোগ—যেখানে চেতনা ধাতব, ইন্দ্রিয় কৃত্রিম; তবু কোনো এক স্থির মুহূর্তে মানুষ নিজের নিশ্বাস শুনে ফেলে, আর ভাবে—এই হালকা হিম, এই অদৃশ্য থেমে থাকা, সম্ভবত হেমন্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ মন ত

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ ইউক্রেন: জেলেনস্কি

কিয়েভকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, তার জন্য ইউক্রেন কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, ‘জ্যাভলিন (ক্ষেপণাস্ত্র) দিয়ে যে সহায়তার শুরু, তা ইউক্রেনীয়দের জীবন বাঁচাচ্ছে। এর জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি, দেশটির নাগরিকদের প্রতি, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

জেলেনস্কির এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য ‘কোনো কৃতজ্ঞতা দেখায়নি’ ইউক্রেন।

রোববার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার প্রতি ইউক্রেনের নেতৃত্ব শূন্য কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছে।’

প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পূর্বসূরি জো বাইডেনকেও আক্রমণ করেন ট্রাম্প। তবে সরাসরি মস্কোর কোনো নিন্দা তিনি করেননি।

ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তৈরি ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে জেনেভায় আলোচনা চলছে। এতে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন।

ট্রাম্প এমন একসময়ে ইউক্রেনের কৃতজ্ঞতা না দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন যখন জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তৈরি ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এতে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন।
এই বৈঠককে এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

জেলেনস্কি ইউরোপ, জি-৭ এবং জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও তাদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, এই সমর্থন ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জেলেনস্কি লেখেন, ‘এ কারণেই আমরা শান্তির দিকে, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সতর্কভাবে নিচ্ছি। সবকিছু সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে আমরা সত্যিকারভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি এবং ভবিষ্যতে আবার যেন যুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করা যায়।’

এ কারণেই আমরা শান্তির দিকে, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সতর্কভাবে নিচ্ছি। সবকিছু সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে আমরা সত্যিকারভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি এবং ভবিষ্যতে আবার যেন যুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করা যায়।ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনকে নিজেদের পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে হবে। এ ছাড়া কিয়েভকে নিজেদের সামরিক বাহিনীর আকার কমাতে হবে। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাও কমবে। এসব শর্ত মস্কোর কাছে কিয়েভের আত্মসমর্পণ করার শামিল বলে মনে করছে ইউক্রেন ও দেশটির মিত্ররা।

আরও পড়ুনট্রাম্পের ক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোনো ‘কৃতজ্ঞতা’ দেখায়নি ইউক্রেন৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ