শীতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে করতে পারেন এসব ব্যায়াম
Published: 8th, December 2025 GMT
ছবি: পেক্সেলস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে ফিরে মানুষের জন্য রাজনীতি চালিয়ে যাবেন সাকিব
দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি চালিয়ে যাবেন সাকিব আল হাসান। রোববার প্রকাশিত ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্ট-এ বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার এই কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগের হয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কায় প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন সাকিব। নিজের জেলা শহর মাগুড়া-১ আসন থেকে নির্বাচন করেন তিনি। তবে তার কোনো রাজনৈতিক অতীত ছিল না। ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি কাছের মানুষ। ক্রিকেটার হওয়ার সুবাদে অনেকবারই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তার। সাকিবের রাজনীতিতে এসেছেন মূলত ক্রিকেটেরই সূত্রে।
সরকার পতনের পর সাকিব এখনও বাংলাদেশে ফেরেননি। এরই মধ্যে তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে। পুঁজিবাজারে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। মামলা হয়েছে দুদকেও। তার নামে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন সাকিব। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার মঈন আলীর সঙ্গে পডকাস্ট-এ থমকে সাকিব নিজের ক্যারিয়ার, রাজনীতির ভবিষ্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন, “আমার মনে হয়, ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অংশ প্রায় শেষ করে ফেলেছি আমি। হয়তো রাজনীতির অংশ এখনও বাকি আছে। এটা এমন কিছু যা আমি বাংলাদেশের মানুষ ও মাগুরাবাসীর জন্য করতে চাই। এটা ছিল আমার ইচ্ছা, যা এখনও আছে। দেখা যাক, আল্লাহ আমাকে কোথায় নিয়ে যান।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিবের দেশে ফেরার পর বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি দেশে ফিরে টেস্ট ক্রিকেট খেলে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। ‘হুমকি’ থাকায় সেটাও হয়নি। রাজনীতির ময়দানে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার ফিরবেন না তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল। গতকালের পডকাস্টে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন তিনি।
এর আগে তিনি রাজনীতিতে আসার ব্যাখ্যা করে নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘‘আমি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়াটা ছিল মূলত আমার জন্মস্থান অর্থাৎ আমার মাগুরার মানুষের উন্নয়নের জন্য সুযোগ পাওয়া। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট কোন দায়িত্ব ছাড়া নিজের এলাকার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখাটা একটু কঠিন। আর আমার এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাওয়া আমাকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী করে। যাইহোক দিনশেষে আমার পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশের ক্রিকেটার। আমি যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থেকেছি অন্তর থেকে ক্রিকেটাকেই ধারণ করেছি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন