পাঁচ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ রাখা হয় খাটের নিচে
Published: 8th, December 2025 GMT
মা পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাই পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশুকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। এই সুযোগে বাসায় ঢুকে এক প্রতিবেশী শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। তবে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যান ওই ধর্ষক।
সাড়ে চার বছর আগে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় ধর্ষণের পর এক শিশুকে হত্যার মামলায় এক আসামির আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এ তথ্য। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে জবানবন্দি দেন রাসেল হোসেন শেখ নামের ওই আসামি। এর আগের দিন চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার রাসেল হোসেন শেখ খুলনার রূপসা থানার চাঁদপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
২০২১ সালের ২৭ জুন নগরের চান্দগাঁও এলাকায় এই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর মামলা করা হলেও সূত্রবিহীন মামলাটির কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি থানা-পুলিশ। পরে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মর্জিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই শিশুর মায়ের মতো আশপাশের বাসার বাসিন্দারও কর্মজীবী হওয়ায় কেউ বাসায় ছিলেন না, এই সুযোগেই মূলত আসামি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পরে তিনি পালিয়ে যান।’
আদালত সূত্র জানায়, আসামি রাসেল শেখ জবানবন্দিতে বলেন, শিশুটি তাঁকে চিনে ফেলায় সে এ ঘটনা কাউকে বলে দিতে পারে—এমন ভয় ছিল তাঁর মধ্যে। এই ভয় থেকে তিনি শিশুটিকে হত্যা করেছেন। শ্বাস রোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে আগামীকাল সকালে
চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়েছে, সেটি আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার অনুমতি পেয়েছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
এস এম রাগীব সামাদ বলেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি জার্মানভিত্তিক এয়ারলাইনস এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামবে। সেটি চাইলে সেদিন রাত ৯টায় ঢাকা ত্যাগ করতে পারবে।
এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সূত্র জানায়, গত শনিবার এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ যে আবেদন করেছিল, তাতে মঙ্গলবার ঢাকায় অবতরণ এবং পরদিন বুধবার লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার সূচি চাওয়া হয়েছিল।
তবে খালেদা জিয়া লন্ডনে যেতে পারবেন কি না, সেটি পুরোই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জে এম জাহিদ হোসেনও গত শনিবার জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করছে তাঁর বাইরে যাওয়া।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও বিদেশযাত্রা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে জড়িত একটি সূত্র গতকাল রোববার রাতে বলেছে, চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বিদেশ পাঠানোর সময় আরও দুই দিন পিছিয়েছেন। দীর্ঘ যাত্রার ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের ওপর। সূত্রের মতে, গতকাল রাত পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তাঁর অবস্থায় নতুন কোনো উন্নতি বা অবনতি—কোনোটিই লক্ষণীয় নয়; সবকিছু অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তাঁর ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা কিছু সময় নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ কারণে তাঁর সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের অবস্থার কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেছে। তবে এসব উন্নতি সামগ্রিক ঝুঁকি কমাতে যথেষ্ট নয়; তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন বলেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
এই অনিশ্চিত অবস্থার কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সম্ভাব্য তারিখ বারবার পরিবর্তিত হচ্ছে। শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল, খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরে শুক্রবার সকালে নতুন তারিখ দেওয়া হয় ৭ ডিসেম্বর। রাতে আবার জানানো হয়, সম্ভাব্য যাত্রার তারিখ পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।