মিরপুরে এমন উইকেট আগে কখনো দেখেননি স্যামি
Published: 17th, October 2025 GMT
মিরপুরের উইকেট মানেই রহস্য। নতুন কেউ নয়, প্রায় সবার কাছেই এটা যেন এক ধাঁধা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে সেই কৌতূহল এবার আরও বেড়েছে।
কারণও আছে। আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সরাসরি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিততে মরিয়া বাংলাদেশ ঘরের মাঠের সুবিধা কতটুকু কাজে লাগাবে, এ নিয়ে আগ্রহ আছে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের জন্য কেমন উইকেট বানিয়েছে বাংলাদেশ? সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আজ মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামি যা বললেন, তাতেই উইকেট নিয়ে কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়, ‘আমি জানি না ঠিকঠাক চিত্রিত করতে পারব কি না; কিন্তু আমি আগে কখনো এমন (উইকেট) দেখিনি। তবে আমরা সবাই জানি উপমহাদেশে খেলা মানেই ভিন্ন চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জন্য।’
তবে স্যামির আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স বলে গেছেন, এটাকে প্রথাগত মিরপুরের উইকেট বলেই মনে হচ্ছে তাঁর, ‘আমার চেয়ে মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে আপনারা বেশি ভালো জানেন। আপনারা আমাকে বলতে পারেন (উইকেট কেমন)। আমার তো উইকেট দেখে প্রথাগত মিরপুরের উইকেটই মনে হচ্ছে। যেখানে সাধারণত টার্ন থাকে, যেটা ভালো (আমাদের জন্য)।’
মিরপুরের উইকেট প্রতিপক্ষের কাছে রহস্য হয়ে থাকবে—এটা তো পুরোনো গল্প। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচের কাছে এই উইকেট কেন এতটা অচেনা লাগছে, সেই ব্যাখ্যাও জানতে চাওয়া হয়।
উত্তরে স্যামি বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা বর্ণনা করব। তবে বিষয়টা হচ্ছে—পিচটা আমাদের ভাবনায় আসতে দেব না। আমরা যেখানেই যাই, মন্ত্রটা একই থাকে—আপনি যে কন্ডিশনের মুখোমুখি হবেন, সেটাকে বোঝার চেষ্টা করা। এরপর আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ধরনের স্কিল এখানে সফল হবে।’
চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা সামলে নেওয়ার আত্মবিশ্বাস স্যামির কণ্ঠে, ‘দিন শেষে বিষয়টা হচ্ছে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান আর মাঠে তা প্রয়োগ করা। একই সঙ্গে এটা বুঝতে পারা যে এখানে কী দরকার। বাংলাদেশের মাঠ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আমার দলের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই ভারত থেকে এসেছে, যেটা এখানকার খুব কাছে।’
ক্রিকেটে ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগানো সব দলেরই কৌশল। বাংলাদেশের জন্য এবার সেটা আরও জরুরি। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে অন্তত সেরা নয় দলের মধ্যে থাকতে হবে। তাহলেই শুধু সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপের টিকিট মিলবে। নয়তো যেতে হবে বাছাইপর্ব খেলে। এখন ১০ নম্বরে বাংলাদেশ, ঠিক নিচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজে হেরে গেলে তাই বাংলাদেশের জন্য ধাক্কাটা হবে বেশ বড়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে কী ফল হলে নয়ে উঠবে বাংলাদেশ
সর্বশেষ ১২ ম্যাচের ১১টিতে হার। হার সর্বশেষ চারটি সিরিজেই। ‘প্রিয়’ সংস্করণ ওয়ানডেতেই এখন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বাজে অবস্থা। মাস ছয়েক আগেই বার্ষিক হালনাগাদের পর আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দশে নেমে যায় বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের পর যা বাংলাদেশের এই সংস্করণে সর্বনিম্ন অবস্থান। এর পর থেকে দশেই আছে বাংলাদেশ। তাতে ২০২৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি খেলতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠে গেছে।
২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ পেতে ওই বছরের ৩১ মার্চ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ নয়ের মধ্যে থাকতে হবে। সহ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা চরম বাজে খেলে শীর্ষ আটের বাইরে চলে গেলে থাকতে হবে আটের মধ্যে। র্যাঙ্কিংয়ের এই হিসাব মেলানোর জন্য অন্তত ২৪টি ম্যাচ হাতে আছে বাংলাদেশের।
এই ২৪ ম্যাচের প্রথম ৩টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আগামী শনিবারই যার প্রথমটি মিরপুরে। একই ভেন্যুতে ২১ ও ২৩ অক্টোবর সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ। এই সিরিজ খেলেই নয়ে ফেরার সুযোগ আছে বাংলাদেশে। সেটি করতে হলে তিন ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করতে হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ