৫০ বছরের গ্র্যান্ডমাস্টারের সামনে ৫ বছরের আলিশা
Published: 17th, October 2025 GMT
চেয়ার দুটি মুখোমুখি। এক পাশে ৫০ বছরের অভিজ্ঞ রুশ গ্র্যান্ডমাস্টার পিটার কিরিয়াকভ। অন্য পাশে মাত্র ৫ বছর ৮ মাস বয়সী আলিশা হায়দার। বয়স যতই ছোট হোক, চোখের চাহনিতে কিন্তু কোনো ভয় নেই। বোর্ডের ওপারে তাকাতে হলে একটু হেলে বসতে হয়, গুটি ধরার সময়েও হাত কাঁপে। তবু খেলার উৎসাহে বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই।
আজ সকালে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের ক্রীড়াকক্ষে দেখা গেল সেই বিরল দৃশ্য। অনূর্ধ্ব–১৪ বয়সী ২৬ দাবাড়ুর বিপক্ষে একসঙ্গে খেললেন পিটার কিরিয়াকভ। একটার পর একটা বোর্ডে গিয়ে চাল দিয়েছেন, ২৩ জনকে হারিয়েছেন, দুজনের সঙ্গে ড্র, একজনের কাছে হেরেছেন। সবই অবশ্য হয়েছে মজার ছলে।
আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল: প্রথম ধাপে বিক্রি হলো ১০ লাখের বেশি টিকিট৯ ঘণ্টা আগেসেই মজার ছলে খেলাতেই ঢাকা চেস একাডেমির কিশোর সায়ান মীরাব হাসান রুশ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে চমকে দিয়েছে সবাইকে। মহিলা ফিদে মাস্টার ওয়ারসিয়া খুশবু আর সাফায়েত কিবরিয়া আজান ড্র করে আলো কাড়লেন।
রুশ গ্র্যান্ডমাস্টার পিটার কিরিয়াকভের সঙ্গে ওয়ারসিয়া খুশবু (বাঁ থেকে প্রথম), সাফায়েত কিবরিয়া (বাথেকে দ্বিতীয়) ও সায়ান মীরাব হাসান (ডান থেকে প্রথম)।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যথাসময়ে জকসু নির্বাচন না হলে প্রশাসনকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে
বিভিন্ন মহল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের প্রার্থীরা। যথাসময় জকসু নির্বাচন না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদত্যাগ করে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তারা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জবি শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তির মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে পরিকল্পিতভাবে জকসু নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চলছে। ভূমিকম্পের অজুহাতে অযথা ছুটি বাড়িয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা দৃশ্যমান। জকসু নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা সহ্য করা হবে না।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে ফেরদৌস শেখ বলেন, নির্বাচন কমিশন এক প্যানেলকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ নোটিশ দিলেও আরেকটি প্যানেলের প্রকাশ্য লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে গভীর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভূমিকম্পের পর ঘোষিত দুই সপ্তাহের ছুটি ছিল অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এতে সেমিস্টার সূচি, পরীক্ষা ও চাকরির আবেদনের সুযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। অথচ, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মেরামতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
জাতীয় ছাত্রশক্তির জবি শাখার এই নেতা বলেন, সম্পূরক বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা সময়মতো প্রকাশ করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি থাকলেও ডিসেম্বরেও তা প্রকাশ করা হয়নি।
ফেরদৌস শেখ বলেন, জকসু নির্বাচন যথাসময় করতে হলে আগামী রবিবারের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া আমরা মেনে নেব না।
তিনি আরো বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হবে। তার আগে জকসু নির্বাচন দিতে হবে। ছাত্রদের নির্বাচন বানচাল করে শিক্ষকদের নির্বাচন আমরা করতে দেব না।
ঢাকা/লিমন/রফিক