আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ নিয়ে এসেছে বিশ্বের অন্যতম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। ‘ব্রিজ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উন্নয়ন খাতে নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য ছয় মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্রিজ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামটি মূলত তরুণ প্রতিভাবানদের উন্নয়ন খাতে নিয়ে আসা এবং তাদের মাধ্যমে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

ইন্টার্নশিপের মেয়াদ ও অভিজ্ঞতা

ছয় মাস মেয়াদি এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ব্র্যাকের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এতে বাস্তব কাজের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধানে অংশ নেওয়ার ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকবে।

আবেদনের যোগ্যতা

—স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।

—স্নাতকের শেষ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত বা কোর্স সম্পন্ন করে শুধু ইন্টার্নশিপ বাকি এমন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনমেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন১৬ ঘণ্টা আগে

যেসব বিভাগে ইন্টার্নশিপের সুযোগ

অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রাম, কমিউনিকেশনস ও হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশনসহ মোট ১৮টি বিষয়ে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে।

ভবিষ্যৎ সুযোগ

ইন্টার্নশিপ শেষে যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ব্র্যাকে চাকরির সম্ভাবনাও রয়েছে। এটি উন্নয়ন খাতে একটি ক্যারিয়ার গঠনের পথ খুলে দিতে পারে।

আবেদন শেষ কবে

আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা।

* বিস্তারিত জানতে এবং আবেদনের পদ্ধতি জানতে ভিজিট করুন

আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ কেমন১৪ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কারাবন্দী সাংবাদিক মনজুরুল আলমকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান আরএসএফের

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দী সাংবাদিক মনজুরুল আলমকে (পান্না) অবিলম্বে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠনটি বলেছে, মনজুরুল আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনা ‘মিথ্যা অভিযোগ’ অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে।

মঙ্গলবার আরএসএফের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মনজুরুল আলম ‘মানচিত্র’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন। গত ২৯ আগস্ট ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান নিয়ে আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে তাঁকে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে কাজ করা ‘মঞ্চ ৭১’ নামের নাগরিক সমাজের একটি প্ল্যাটফর্ম ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিল। হঠাৎ একদল ব্যক্তি সেখানে ঢুকলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটেছিল ২০২৪ সালে কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক বিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী দমন–পীড়ন চালানোর পরে।

গোলটেবিল বৈঠক ঘিরে পরিস্থিতির অবনতি হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ ডেকেছিলেন মনজুরুল আলম। সেখানে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের বদলে মনজুরুল আলমসহ গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তার পর থেকে মনজুরুল আলমসহ গ্রেপ্তার গোলটেবিলের অন্য অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের’ ভিত্তিহীন অভিযোগে কারাবন্দী রয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে এ বিষয়ে বক্তব্য চেয়েছিল আরএসএফ। তবে তিনি তাতে সাড়া দেননি।

আরএসএফের দক্ষিণ এশিয়া ডেস্কের প্রধান সেলিয়া মারসিয়ে বলেছেন, ‘সাংবাদিক মনজুরুল আলমকে আটক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী আচরণকে তুলে ধরেছে। এই সরকার সমালোচনাকারীদের কণ্ঠ রোধের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করছে। কেবল নিজ দেশের ইতিহাস নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য একজন সাংবাদিককে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগগুলো তুলে নেওয়ার এবং অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর জামিনের জন্য মনজুরুল ইসলামের করা আবেদন খারিজ করা হয়। এখন পর্যন্ত এ মামলার বিচারের কোনো দিনও ধার্য করা হয়নি। জামিনের আবেদন শুনানির সময় মনজুরুল আলমের সাক্ষাৎকার নিতে যাওয়া দুই সাংবাদিক একজন আইনজীবীর আক্রমণের শিকার হন। তাঁদের মধ্যে সময় টিভির আসিফ হোসাইনকে মারধর করেন ওই আইনজীবী। এ ছাড়া বাংলা আউটলুকের সাংবাদিক মুকতাদির রশিদকে হুমকি দেন তিনি।

মনজুরুল আলম ছাড়াও বাংলাদেশে আরও পাঁচ সাংবাদিককে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আরএসএফের প্রতিবেদনে। তাঁরা হলেন ফারজানা রূপা, শাকিল আহমেদ, মোজাম্মেল বাবু, শাহরিয়ার কবির ও শ্যামল দত্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হামাস নিরস্ত্র হোক, চান না ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি
  • আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং ডে উপলক্ষে ঢাকায় ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করবে আইসিএবি
  • মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছানোর অভিজ্ঞতা কেমন, জানালেন বিজ্ঞানীরা
  • গ্রামীণফোনের ডিজিটাল প্রশিক্ষণে রাজশাহীর শ্রাবণী, মল্লিকাদের আয়ের পথ খুলছে
  • কারাবন্দী সাংবাদিক মনজুরুল আলমকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান আরএসএফের