রাকসুর ২৩ পদে কার সঙ্গে কার লড়াই হলো, জয়ের ব্যবধান কত
Published: 17th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মোট ২৩টি পদের ২০ টিতেই জিতেছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। ভিপি (সহসভাপতি) পদে শিবিরের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ চার গুণ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। এজিএস (সহকারী সাধারণ সম্পাদক) পদে শিবিরের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির হাজারখানেক ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।
অন্যদিকে রাকসুর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্যানেল ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের’ প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ১৭টি কেন্দ্রে রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। রাতেই নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আজ শুক্রবার সকালে রাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শীর্ষ তিনটি পদের মধ্যে ভিপি ও এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে মূলত ছাত্রদলের প্রার্থীদের। ভিপি পদে দ্বিতীয় হয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর আর এজিএস পদে দ্বিতীয় হয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা। আর জিএস পদে শিবির দ্বিতীয় ও ছাত্রদল তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
রাকসুতে ৮টি সম্পাদক ও ৮টি সহকারী সম্পাদক পদে নির্বাচন হয়েছে। এই ১৬টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ১৪টিতেই জিতেছে ছাত্রশিবির। সম্পাদকীয় পদগুলোতে শিবিরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে মূলত ছাত্রদলের প্রার্থীদের।
শিবিরের প্যানেলের বাইরে জয় দুজনের
যে দুটি সম্পাদক পদে শিবিরের প্যানেলের বাইরে থেকে নেতৃত্ব এসেছে, তার মধ্যে রাকসুর ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে জিতেছেন ছাত্রদলের প্রার্থী মোছা.
আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ। তিনি এবারের রাকসু নির্বাচনে কোনো পদে জয়ী হওয়া একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
চার নির্বাহী সদস্য
রাকসুর চারটি নির্বাহী সদস্য পদেও জিতেছেন ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থীরা। জয়ী প্রার্থীরা হলেন মো. দ্বীপ মাহবুব (৬ হাজার ৮৭১ ভোট), মো. ইমজিয়াউল হক কামালি (৬ হাজার ১৯ ভোট), সুজন চন্দ্র (৫ হাজার ২৯১ ভোট) এবং এ বি এম খালেদ (৫ হাজার ৯৭ ভোট)।
ভিপি পদে কার কত ভোট
ভিপি পদে ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন শিবিরের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর, তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।
ভিপি পদে ১ হাজার ৬২১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন তাসিন খান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল দিয়েছিলেন। ছাত্র অধিকার পরিষদ–সমর্থিত ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’ প্যানেলের প্রার্থী মেহেদী মারুফ ৫৫৪ ভোট পেয়ে ভিপি পদে চতুর্থ হয়েছেন। আর ৩২৩ ভোট পেয়ে এই পদে পঞ্চম হয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের মেহেদী সজীব।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র প র র থ স বতন ত র প র ব যবধ ন হয় ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কড়াইল বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন। সোমবার দুপুরে কড়াইল বস্তির ঈদগাহ মাঠে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার মানুষের মধ্যে এ খাবার বিতরণ করা হয়।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে ফাউন্ডেশন ও সরকার সমন্বিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে কাজ করতে পারে।
কড়াইল বস্তিতে গত ২৫ নভেম্বর বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার পর ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী ‘ফাইভ জিরো ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিবর্তনে কাজ করছে বলে জানান ফাউন্ডেশনের সদস্য আমেনা বেগম। বর্তমানে ফাউন্ডেশনটি ১৫টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি।
আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশনটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে চলে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া সবকিছুর খরচ বহন করেন। অতীতেও এ ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের জন্য কাজ করেছে। এটি এখন কেবল বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবিক কাজ করছে।’
খাবার বিতরণের সময় ফাউন্ডেশনের সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন রাসেল, ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার বিল্লাহ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।