ঢাকার সাভার মডেল থানায় দায়ের করা ফজলে রাব্বি (২২) হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (১ নভেম্বর) র‌্যাব-১৪ এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. কাওসার বাঁধন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাভার কলমাউত্তরপাড়া এলাকার জাকির আলী ভূঁইয়ার ছেলে রাতুল ভূঁইয়া (২২) ও তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার ইতি (২৩)।

আরো পড়ুন:

সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২

সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫

কমান্ডার মেজর মো.

কাওসার বাঁধন জানান, ভিকটিম ফজলে রাব্বি বাড়িতে গরু লালন পালন এবং অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১৭ অক্টোবর বিকেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। পরে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় ও তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। তবে, পাননি। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তারা। ৩০ অক্টোবর দুপুরে পরিবারের লোকজন খবর পান, সাভারের উত্তরকমলা গ্রামে পরিত্যক্ত জঙ্গলের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তার ভেতর একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি ফজলে রাব্বির বলে শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মামা ওহাব আলী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের বেলটিয়াবাড়ি থেকে রাতুল ও ইতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতেই তাদের সাভার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, রাতুল ও ইতি ৪ থেকে ৫ দিন আগে বিয়ে করে টাঙ্গাইলের বেলটিয়াবাড়ী এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইতির সঙ্গে রাব্বির পরকীয়া বা প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই পরকীয়ার জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে, রাতুল ও ইতি এ বিষয়ে কোনো জবানবন্দি দেননি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চীনের সহযোগিতা চাইলো দক্ষিণ কোরিয়া

পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে এশিয়া-প্যাসিফিক নেতাদের ফোরামের পর এক রাষ্ট্রীয় শীর্ষ সম্মেলন এবং নৈশভোজে চীনা প্রেসিডেন্টের কাছে এই অনুরোধ করেছেন তিনি।

জবাবে শি লিকে জানিয়েছেন, তিনি সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করতে এবং তাদের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবেলা করতে ইচ্ছুক।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের আগে শি বলেছেন, বেইজিং সিউলের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি অবিচ্ছেদ্য সহযোগী অংশীদার হিসেবে দেখে।

জুন মাসে আকস্মিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত লি চীনকে না চটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছেন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে উত্তেজনা কমাতে চাইছেন।

চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের উল্লেখ করে লি বলেন, “উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের জন্য যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সে সম্পর্কে আমি খুবই ইতিবাচক।”

তিনি বলেছেন, “আমি আশা করি দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন এই অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করবে এবং সংলাপ পুনরায় শুরু করবে।”

লি উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যার শুরুতে পারমাণবিক অস্ত্রের আরো উন্নয়ন স্থগিত করার বিষয়টি রয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ