বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য একজন পুরুষ ও দুইজন নারী খুলনা নগরীর সদর থানাধীন ৯নং গলির বিকে মেইন রোডস্থ পূর্ব বানিয়াখামার মিস্ত্রিপাড়া বাজার এলাকার একটি বাড়িতে যান। সেখানে বাসা দেখার এক পর্যায়ে গৃহবধূর কাছে পানি খেতে চান তারা। কথা-বার্তায় জানতে পারেন বাসায় গৃহবধূ ছাড়া কেউ নেই। এ সুযোগ বেছে নেয় বাসা ভাড়া নিতে আসা তিনজন। 

তারা পিস্তল ঠেকিয়ে গৃহবধূর মুখে টেপ লাগিয়ে এবং ওড়না দিয়ে বেঁধে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। সবমিলিয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

বরিশালে স্পিডবোটে এসে ৮ দোকানে ডাকাতি

গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ ডাকাতি সংঘটিত হয়। পরের দিন গৃহকর্তা চয়ন কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। শনিবার (১ নভেম্বর) ভোরে নগরীর খানজাহান আলী রোডস্থ গ্লাক্সোর মোড় মসজিদ গলিতে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় লুটকৃত কিছু নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা সদর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায়। এ সময় সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) শিহাব করিম ও খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বাগেরহাটের সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আমির আলীর ছেলে আরিফ হাসান রাসেল (২৯), মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের মেয়ে মারিয়া আক্তার মুন্নি (১৯) ও খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের মুক্তিবানী সংস্থা ও গিলবোর্ড সংলগ্ন দাউনিয়াফাদ গ্রামের সনজিত রায়ের স্ত্রী কলি পান্ডে (৪৫)। তারা নগরীর খানজাহান আলী রোডস্থ গ্লাক্সোর মোড় মসজিদ গলি এলাকায় বসবাস করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাসা দেখতে আসা তিনজন বাড়িতে গৃহবধূ ছাড়া কেউ না থানার সুযোগে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে ড্রয়ারে থাকা নগদ ৬২ হাজার টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি, মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ওই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, ‘‘দুর্বৃত্তরা বাড়ি ভাড়া নেওয়ার নাম করে অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি মালিকদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ জনগণের নয়, কিছু উপদেষ্টার প্রয়োজন: হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আমি মনে করি—জুলাই সনদ দেশের জনগণের প্রয়োজন নেই। কিছু ব্যক্তি যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বসবাস করতে গেলে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়বেন; তাদের জন্য হয়তো প্রয়োজন আছে।’’

শনিবার (১ নভেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মামুন, সম্পাদক রিটন

একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াত নিষিদ্ধ চান আলাল

হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘এই ধরনের সনদের আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন–একটা পার্লামেন্ট। যেখানে আগামী দিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। যেই পার্লামেন্ট এই সনদকে বাস্তবায়িত করবে এবং আগামী গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে সক্ষম হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি নির্বাচন। যেখানে জনগণ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারবে। আমরা আশা করব, আগামীতে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে। এই নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন, জনগণের প্রতিনিধি হবেন; তারাই জুলাই সনদকে সমর্থন করবেন।’’

‘‘আমার দল বিএনপি জুলাই সনদকে সমর্থন করে, আমরাও এটি সমর্থন করতে বাধ্য। কিন্তু, এটার মধ্যে এমন জিনিস ঢোকাবেন না, যেটি নিয়ে আগে ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।’’- যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে। দেশের জনগণকে জিজ্ঞেস করেন, কেউ পিআর চিনেও না। পিআর কেউ চায়ও না। আমরা শত বছর ধরে একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে আসছি। তারা (পিআর দাবি করা দলগুলো) ব্যক্তির কাছ থেকে, ভোটারের কাছ থেকে ক্ষমতা তুলে নিয়ে একটা রাজনৈতিক দলের কাছে সমর্পণ করতে চায়। আমরা চাই, বর্তমান যে ব্যবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে, সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে নির্বাচন হয়।’’

হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, ‘‘আমাদের একটা প্রতিবেশী রাষ্ট্র আছে, যারা চায় না বাংলাদেশ স্বনির্ভর হোক। নিজের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষত থাকুক, এটা তারা চায় না। তারা আশ্রয় দিয়েছে মাফিয়া শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা সেখানে বসে কীভাবে বাংলাদেশে নাশকতা করা যায়, সে বিষয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। কলকাতায় তারা অফিস খুলেছেন। আমি তাদেরকে একটা পরামর্শ দেব। শুধু কলকাতা নয়, ভারতের প্রত্যেকটা প্রদেশে আপনারা একটা করে অফিস খুলেন। ভারতের কাছ থেকে সনদ নেন। তারপরে ভারতের রাজনীতিতে আপনারা মিশে যান। বাংলাদেশে আপনাদের কোনো প্রয়োজন নেই।’’

ঢাকা/রায়হান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ