বিএনপির তৈরি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে: জামায়াত
Published: 1st, November 2025 GMT
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে বিএনপির তৈরি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও উত্তাপ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আজ শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি নতুন করে যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, সেটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং জনগণ ফেব্রুয়ারিতে যে একটি জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছে, নির্বাচনের ঠিক আগে হঠাৎ এ রকম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, উত্তাপ তৈরি করা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে বলেই আমরা মনে করি। এবং এ রকম অশুভ চক্রের কাছে প্রধান উপদেষ্টা নতি স্বীকার করবেন, বশ্যতা স্বীকার করবেন এবং ষড়যন্ত্রের কাছে নতি স্বীকার করে উনি সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবেন, এটি আমরা আশা করি না।’
এই সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অতীতেও একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল, বলে জামায়াতের এই নায়েবে আমির দাবি করেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন গিয়ে একটি অসম এবং অবৈধ চুক্তি ও একটি দলের চাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। সর্বশেষ উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত একটি দাবির (রাজনৈতিক দলের মার্কা ব্যবহার) সঙ্গে অন্য একটি দল দ্বিমত পোষণ করায় আবার সেটাকে পুনর্বিবেচনার নামে সেই দলটির প্রতি সরকার আনুগত্য প্রকাশ করেছে। এতে নিঃসন্দেহে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
জামায়াত এই সিদ্ধান্ত মানে না বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘এর আগে নির্বাচন কমিশন এবং উপদেষ্টা পরিষদে প্রতিটি দল নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে বলে যে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তার সঙ্গে জামায়াত একমত, জাতিও একমত। জামায়াত গত উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা উনার (প্রধান উপদেষ্টা) কাছে এই আশাই করি যে সংস্কার, রিফর্ম ছিল উনারই নিজস্ব প্রোডাক্ট এবং উনি উনার এই সন্তানকে নিজ হাতে ছুরি দিয়ে হত্যা করবেন, এটি জাতি বিশ্বাস করে না। আর যদি এটাই প্রধান উপদেষ্টা করেন, তাহলে এটা জাতির সাথে যে ওয়াদা উনি করেছিলেন, সেই ওয়াদা উনি ভঙ্গ এবং খেলাপ করবেন বলেই জাতি মনে করবে। আমরা আশা করি, উনি দৃঢ় ভূমিকা পালন করবেন এবং সংস্কার বাস্তবায়নে উনি যথার্থ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ম হ ম মদ সরক র করব ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
একসময় ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যৎ তারকা, এখন ক্লাব খুঁজে বেড়াচ্ছেন
একসময় তাঁকে মনে করা হতো রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যৎ তারকা। কলম্বিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মনে করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেই হামেস রদ্রিগেজ এখন পরের মৌসুমে খেলার জন্য ক্লাব খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
বয়স ৩৪ চলছে। ফুটবলারদের জন্য ত্রিশের ওপরের বয়স মানে ক্যারিয়ারের সায়াহ্ন চলে আসা। কিন্তু হামেস যেন আড়ালে চলে গেছেন একটু আগেই। ফলে ২০১৪ বিশ্বকাপের পর যাঁকে মনে করা হয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের ভবিষ্যৎ তারকা, সেই প্রতিশ্রুতির খুব কমই প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর ক্যারিয়ারে।
এখন খেলছেন মেক্সিকান ক্লাব লিওঁতে। তবে আর্থিক দুর্দশার কারণে ক্লাব তাঁকে ছেড়ে দিচ্ছে মৌসুম শেষে। রদ্রিগেজকে তাই আবার নতুন ঠিকানা খুঁজতে হচ্ছে। গুঞ্জন আছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের কোনো ক্লাবে পাড়ি জমাবেন। আর সে ক্ষেত্রে সেটা হবে তাঁর ক্যারিয়ারের ১৩তম ক্লাব।
মেক্সিকোতে মাত্র এক বছর কাটানোর পরই লিওঁর সঙ্গে হামেস রদ্রিগেজের পথচলা শেষ হতে যাচ্ছে। ইএসপিএনের খবর, লিগা এমএক্স-এর এই দলটি ২০২৫ অ্যাপারচুরা টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর কলম্বিয়ান মিডফিল্ডারকে আর চুক্তির আওতায় রাখছে না।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ, লিওঁর আর্থিক টানাপোড়েন এবং দলের বাজে ফর্ম। কোচ ইগনাসিও আমব্রিজের অধীনে তারা কোনো ছন্দই খুঁজে পায়নি। বর্তমানে দলটি লিগ টেবিলের ১৭তম স্থানে। এ বছর জানুয়ারিতে রদ্রিগেজ লিওঁতে যোগ দেন, তখন তাঁর ইচ্ছা ছিল ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার। কিন্তু ক্লাবটি মালিকানার নিয়ম ভাঙার কারণে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লে রদ্রিগেজের সেই স্বপ্নও ভেঙে যায়।
রদ্রিগেজের হাসিমুখ এখন অনেকটাই মলিন