ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের প্রিয় মুখ শাকিল খান। ১৩৮টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। দীর্ঘদিন তাকে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা যায় না। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর পর বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন শাকিল খান। তারপর অজানা কারণেই চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে বিদায় নেন এই চিত্রনায়ক। নিয়তি আর নীরবতার খেলায় তিনি হারিয়ে যান আলোচনার আড়ালে। দীর্ঘদিন পর দেখা দিলেন শাকিল খান।

গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হন শাকিল খান। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এদিন সম্মাননা পান তিনি।

পুরস্কার হাতে পেয়ে আবেগভরা কণ্ঠে বললেন, “আমি খুবই আনন্দিত। কাজের স্বীকৃতি সবসময়ই অনুপ্রেরণা দেয়। মানুষ এখনো আমাকে মনে রেখেছে— এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। সবার ভালোবাসা আর দোয়াতেই আজকের আমি।”

এক সময়ের রোমান্টিক নায়ক, এখন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। চট্টগ্রামে ‘পাবলিক হাসপাতাল’ নামে একটি ক্লিনিক করেছেন, যেখানে দুস্থদের দেওয়া হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা। গাজীপুরে গড়ে তুলছেন বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র— তার কথায়, “মানুষের পাশে থাকতে পারলেই জীবনের মানে খুঁজে পাই।”

সোহানুর রহমান সোহানের ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন শাকিল খান। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা পপি। সিনেমাটি দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর নার্গিস আক্তারের পরিচালনায় ‘অবুঝ বউ’, মতিন রহমানের পরিচালনায় ‘তোমাকেই খুজছি’, ইলিয়াস কাঞ্চন পরিচালিত ‘বাবা আমার বাবা’, রুবেল পরিচালিত ‘রক্ত পিপাসা’, কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘কষ্ট’, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মগের মুল্লুক’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন শাকিল খান।

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল ত

এছাড়াও পড়ুন:

কার্গো ভিলেজ কী, সেখানে কী থাকে

পণ্যের চালান বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই তা বিমানে তুলে বিদেশে পাঠানো হয় না। কিংবা বিদেশ থেকে পণ্যের চালান বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তা খালাস হয় না। শুল্ক বিভাগ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমান সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়। এটিকেই কার্গো ভিলেজ বলা হয়। আজ দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (আমদানি কমপ্লেক্স) ভয়াবহ আগুন লাগে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ