জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত, কেউ বিএনপিপন্থি, কেউ জামায়াতপন্থি, আবার কেউ আর্মিপন্থি। তাই এই কমিশনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।’’

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার: ইসি আনোয়ারুল

নির্বাচনে ‘অবিচল’ সরকার, যে যার শর্তে ‘অটল’ রাজনৈতিক দল

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জোট গঠনের বিষয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘যে দল সংস্কারের পক্ষে থাকবে, এনসিপির সঙ্গে শুধু তাদের জোট হতে পারে।’’ জুলাই সনদের প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, ‘‘জুলাই সনদ নিয়ে এখন আর বিতর্ক নেই। বিএনপি সব দেখেশুনেই স্বাক্ষর করেছে।’’

এনসিপির দলের প্রতীক হিসেবে শাপলা চাওয়া এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় শাপলা কলি সংযোজনের বিষয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘শাপলা কলি প্রতীক সংযুক্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে।’’

এনসিপির এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, ‘‘শাপলা প্রতীক নিয়ে আমরা অনড় অবস্থানে রয়েছি এবং এই প্রতীকের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’’ জুলাই সনদে লিখিত বিষয় যাচাই না করে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তা ছিল তাদের ভুল সিদ্ধান্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বরগুনার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির বরগুনা জেলার দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সমন্বয় সভার অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) মোজাহিদুল ইসলাম শাহীন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প এনস প র

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চীনের সহযোগিতা চাইলো দক্ষিণ কোরিয়া

পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে এশিয়া-প্যাসিফিক নেতাদের ফোরামের পর এক রাষ্ট্রীয় শীর্ষ সম্মেলন এবং নৈশভোজে চীনা প্রেসিডেন্টের কাছে এই অনুরোধ করেছেন তিনি।

জবাবে শি লিকে জানিয়েছেন, তিনি সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করতে এবং তাদের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবেলা করতে ইচ্ছুক।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের আগে শি বলেছেন, বেইজিং সিউলের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি অবিচ্ছেদ্য সহযোগী অংশীদার হিসেবে দেখে।

জুন মাসে আকস্মিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত লি চীনকে না চটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছেন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে উত্তেজনা কমাতে চাইছেন।

চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের উল্লেখ করে লি বলেন, “উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের জন্য যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সে সম্পর্কে আমি খুবই ইতিবাচক।”

তিনি বলেছেন, “আমি আশা করি দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন এই অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করবে এবং সংলাপ পুনরায় শুরু করবে।”

লি উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যার শুরুতে পারমাণবিক অস্ত্রের আরো উন্নয়ন স্থগিত করার বিষয়টি রয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ