‘সমবায় আন্দোলন অর্থনৈতিক মুক্তির শক্তিশালী হাতিয়ার’
Published: 1st, November 2025 GMT
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. ইসমাইল হোসেন বলেছেন, সমবায় আন্দোলন হলো অর্থনৈতিক মুক্তির এক শক্তিশালী হাতিয়ার। ‘সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে সমবায়ের সুফল পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে সমবায় অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সচিব মো.
সচিব তার বক্তব্যে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায়ীদের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমবায় আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে হবে।
সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুনিমা হাফিজ বলেন, সমবায় সমিতিগুলো দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সমবায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমবায় নীতি ও আদর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন সমবায় সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চীনের সহযোগিতা চাইলো দক্ষিণ কোরিয়া
পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে এশিয়া-প্যাসিফিক নেতাদের ফোরামের পর এক রাষ্ট্রীয় শীর্ষ সম্মেলন এবং নৈশভোজে চীনা প্রেসিডেন্টের কাছে এই অনুরোধ করেছেন তিনি।
জবাবে শি লিকে জানিয়েছেন, তিনি সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করতে এবং তাদের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবেলা করতে ইচ্ছুক।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের আগে শি বলেছেন, বেইজিং সিউলের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি অবিচ্ছেদ্য সহযোগী অংশীদার হিসেবে দেখে।
জুন মাসে আকস্মিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত লি চীনকে না চটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছেন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে উত্তেজনা কমাতে চাইছেন।
চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের উল্লেখ করে লি বলেন, “উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের জন্য যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সে সম্পর্কে আমি খুবই ইতিবাচক।”
তিনি বলেছেন, “আমি আশা করি দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন এই অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করবে এবং সংলাপ পুনরায় শুরু করবে।”
লি উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যার শুরুতে পারমাণবিক অস্ত্রের আরো উন্নয়ন স্থগিত করার বিষয়টি রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ