ছাগলের ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধ, গুলিতে কৃষক নিহত
Published: 1st, December 2025 GMT
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নে গুলি করে এক কৃষককে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছনখোলা গ্রামে তাঁকে গুলি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার ভোরে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত কৃষকের নাম মোহাম্মদ শরিফ (৪৫)। তিনি ছনখোলা গ্রামের ফরিদ আলমের ছেলে। ছাগলের ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ নিহত ব্যক্তির পরিবারের।
নিহত শরিফের স্ত্রী শফিকা বেগম (৩৮) বলেন, পাঁচ দিন আগে তাঁদের ধানখেতে প্রতিবেশী আবদুল করিমের ছাগল প্রবেশ করে। ছাগলটি ধান খাওয়া শুরু করায় তাঁর স্বামী শরিফ ছাগলটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন আবদুল করিমের সঙ্গে শরিফের কথা-কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জেরে গতকাল বিকেলে শরিফের পায়ে গুলি করেছেন আবদুল করিম।
নিহত শরিফের ছেলে মোহাম্মদ শেফায়ত বলেন, ‘ছাগলে ধান খাওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনায় আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ওসি মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল কর ম ছ গল র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু, গাড়িতে আগুন জনতার
মাদারীপুরের সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের হবিগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সুরাইয়া কাজী নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো একটি শিশু।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুরাইয়া কাজী (১০) দেলোয়ার কাজীর মেয়ে। গুরুতর আহত অপর শিশু মিম কাজী (১২) একই এলাকার মামুন কাজীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুলপড়ুয়া দুই শিশু রাস্তা পার হচ্ছিলো। সেসময় বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেটকার তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সুরাইয়া মারা যায় এবং মিম গুরুতর আহত হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রাইভেটকারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় গাড়িতে থাকা একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। তবে গাড়িতে থাকা আরো তিনজন দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গাড়িচালকসহ প্রাইভেটকারে থাকা যাত্রীরা সবাই মাতাল ছিল এবং তাদের সবার বয়স ১৫–১৬ বছর। বেপরোয়া গতি ও অভিজ্ঞতার অভাবেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। স্থানীয়রা গাড়িচালকসহ একজনকে আটক করে আমাদের হাতে দিয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশ আরো জানায়, প্রাইভেটকারটির মালিকানা, চালকের পরিচয় এবং পালিয়ে যাওয়া যাত্রীদের শনাক্ত করার করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেও ঘটনার বিস্তারিত নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/বেলাল/এস