বিপিএলে ফিক্সিং রোধে প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবেন দুজন সিআইডি সদস্য
Published: 1st, December 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলামের আগেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ফিক্সিং বিতর্ক। আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও অভিযুক্ত ৯ স্থানীয় ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে শুধু নিলামেই নয়, বিপিএলের আয়োজনজুড়ে ফিক্সিং নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে যাচ্ছে বিসিবি।
দ্বাদশ বিপিএলে কেউ যেন ফিক্সিংয়ে জড়াতে না পারেন কিংবা জড়ালেও বিসিবির জালে ধরা পড়েন, সে জন্য প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদস্য নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।
এ নিয়ে সিআইডির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল রোববার ঢাকার একটি হোটেলে নিলাম শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান সাখাওয়াত।
আরও পড়ুনবিপিএল নিলাম থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের রিট খারিজ১৯ ঘণ্টা আগেবিপিএলের দলগুলোতার সঙ্গে সিআইডি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাখাওয়াত বলেছেন, ‘খেলার ইন্টিগ্রিটির জন্য আমরা নতুন একটা উদ্যোগ দিয়েছি। আমাদের ইন্টিগ্রিটি দল তো থাকবেই, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি যে বিভাগ আছে, সেই সিআইডির সঙ্গে একটা এমওইউ করছি। সিআইডির দুজন অফিসার, একজন পোশাকধারী, অন্যজন সাদাপোশাকে প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবে।’
আরও পড়ুনবিপিএল নিলাম: কোন দল কত টাকা খরচ করল, কোন দলে কারা খেলবেন ১৪ ঘণ্টা আগেসিআইডি নিয়োগের কারণ ব্যাখ্যায় বিসিবির এই সহসভাপতি বলেন, ‘সিআইডি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে (ভালো) ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। তাদের কাছে আধুনিক সব প্রযুক্তি আছে। এমনকি হোয়াটস্যাপের কথাও তারা দেখতে পারে। তাদের সব ধরনের যন্ত্রপাতি মজুত আছে। ফলে আমরা সরকারের সঙ্গে (কাজ করতে) যাচ্ছি। আর এখানে আমাদের স্বচ্ছতা ও খেলার স্বচ্ছতা (দেখানোর বিষয়ও আছে)। পাশাপাশি আপনাদের এটাও বোঝানো যে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’
২৬ ডিসেম্বর বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সভাপতি জামায়াতের, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ পদে বিএনপি জয়ী
জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত ইসলামী–সমর্থিত বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেলের আবদুল মোমিন ফকির। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পেয়েছে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল।
গতকাল শনিবার সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত জেলা আইনজীবী ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান ভোটের ফলাফলের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১টি পদের বিপরীতে ১৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গ্রন্থাগার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, নিরীক্ষা সম্পাদক এবং তিনটি সদস্য পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়টি পদের জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত–সমর্থিত প্যানেল থেকে কেবল সভাপতি পদে আবদুল মোমিন ফকির নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদেই জয় পেয়েছে। খায়রুল আহসান সাখিদার সহসভাপতি ও শহিদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।