2025-12-01@06:37:24 GMT
إجمالي نتائج البحث: 11
«ড জঅর ড র র»:
বাঁধন নিজের যে ব্যাধির কথা বলেছেন, তার একটা কেতাবি নাম আছে—বিঞ্জ-ইটিং ডিজঅর্ডার। এটি একটি গুরুতর অবস্থা, যা মানুষের অনুভূতি ও চিন্তাভাবনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।কোনটাকে বলবেন বিঞ্জ-ইটিং ডিজঅর্ডারআমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি। যেমন কোনো উৎসবের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার আমরা চেয়ে নিই। ফলে একে আপনি বিঞ্জ-ইটিং ডিজঅর্ডার বলতে পারবেন না। তাহলে? অতিরিক্তি খাওয়াকে তখনই বিঞ্জ-ইটিং ডিজঅর্ডারের লক্ষণ বলে চিহ্নিত করা হবে, যখন আপনার মনে হবে, খাওয়াদাওয়া নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং অস্বাভাবিকভাবে বেশি খাবার খাচ্ছেন।যাঁরা এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা প্রায়ই লজ্জা বা বিব্রত বোধ করেন। তাঁরা অনেক সময় খাবার খাওয়া সীমিত করতে বা খুব কম খেতে চেষ্টা করেন। এতে বরং খাওয়ার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা বাড়তে পারে এবং বিঞ্জ-ইটিংয়ের একটি সাইকেল বা চক্র তৈরি হতে...
কখনো কখনো কেন মল পানিতে ভাসেসাধারণত মল পানির চেয়ে ভারী হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাই মল পানিতে ডুবে যায়। তবে মলের ভেতর যদি বাতাসের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে মল পানির চেয়ে হালকা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে মল পানিতে ভেসে থাকে। আবার মলে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলেও ঘটে একই ঘটনা।কেন এমন হয়ইউরোপিয়ান জার্নাল অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বিষয়টি উঠে এসেছে। ১ হাজার ২৫২ জন রোগীর ওপর করা সেই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ফাংশনাল বাওয়েল ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীদের ২৬ শতাংশই জানিয়েছেন, মলত্যাগের পর তাঁদের মল পানিতে ভাসে। এখানে ফাংশনাল বাওয়েল ডিজঅর্ডার সম্পর্কে একটু বলে রাখা প্রয়োজন।গঠনগত বা অন্য কোনো বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও যখন একজন ব্যক্তির অন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না, তখন ধরে নেওয়া হয় তিনি ফাংশনাল বাওয়েল ডিজঅর্ডারে...
কেন হাত কাঁপে হাত কাঁপার অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে রয়েছে শারীরিক বা ফিজিওলজিক্যাল, এসেনশিয়াল ট্রেমর, পারকিনসন, মস্তিষ্কে সেরিবেলামের রোগ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক ও হরমোনজনিত সমস্যা ইত্যাদি।অনেক সময় মানসিক বা শারীরিক চাপ থেকেও হাত কাঁপতে পারে। ঘন ঘন চা ও কফি খাওয়ার কারণেও হতে পারে। এসেনশিয়াল ট্রেমর বংশগত কারণে হতে পারে। হাত দিয়ে কিছু ধরতে গেলে বা কাজ করতে গেলে বেড়ে যায়। এটি দুই হাতেই একসঙ্গে হতে পারে।পারকিনসন একটি বয়সজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত কাঁপার পাশাপাশি চলাচল ধীরগতির হয়ে যায়। হাতে–পায়ে একটি আড়ষ্ট ভাব আসে। মস্তিষ্কে সেরিবেলাম নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে, যা আমাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মস্তিষ্কে সেরিবেলামের সমস্যার একটি লক্ষণ হচ্ছে হাত কাঁপা। তবে কোনো কিছুকে লক্ষ্য করে এগোতে গেলে এ ধরনের...
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মানসিকভাবে পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিকট শব্দ, আতঙ্কে ছোটাছুটি, কান্না আর চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ দৃশ্য—এসব শিশুদের মনে এক গভীর মানসিক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।ঘটনার পরপরই যেটা ঘটে, সেটিকে বলে অ্যাকিউট স্ট্রেস রিঅ্যাকশন বা এএসআর। এটি দুর্বলতা নয়; বরং মস্তিষ্কের স্বাভাবিক একটি প্রতিক্রিয়া। এমন দুর্ঘটনায় অনেকে স্তব্ধ হয়ে যায়, কেউ অস্বাভাবিক চুপচাপ হয়ে পড়ে, কেউবা বারবার আতঙ্কে কেঁদে ফেলে। ঘুম না হওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা, রুচি কমে যাওয়া কিংবা আচরণে হঠাৎ রাগ বা ভয়—এসবই এই প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ।যেসব লক্ষণ দেখা যায় আতঙ্ক বা স্তব্ধতা।হঠাৎ নীরব হয়ে যাওয়া।কান্না বেড়ে যাওয়া বা ঘন ঘন কান্না।ঘুমের সমস্যা ও দুঃস্বপ্ন দেখা।স্কুলে যেতে অনীহা।পেটব্যথা, মাথাব্যথা বা ক্ষুধা কমে যাওয়া।বারবার একই ঘটনা বলা বা আঁকা।আচরণে রাগ, বিরক্তি বা...
২১ জুলাই ২০২৫। বেলা ১টা বাজার কিছুক্ষণ পরই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের শিক্ষার্থীদের ওপর আক্ষরিক অর্থেই যেন আকাশ ভেঙে পড়ে! দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়ে স্কুল ভবনে ঢুকে পড়ে একটি প্রশিক্ষণ বিমান। দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মারা গেছেন ৩১ জন, আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। হতাহতের একটা বড় অংশই শিশু–কিশোর। অনেক শিশু শারীরিকভাবে আহত না হলেও তাদের দেখতে হয়েছে সহপাঠীদের নিথর পোড়া দেহ, শুনতে হয়েছে তাদের আর্তচিৎকার।সামনাসামনি যে কিছুই দেখেনি, হয়তো ওই দিন সে স্কুলেই যায়নি, সেই শিশুও কিন্তু আজ শোকে স্তব্ধ। তার অনেক সহপাঠী আর কোনো দিন তার সঙ্গে এক ক্লাসে বসবে না। কেবল উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের শিশুরাই নয়, সংবাদমাধ্যমে এই দুর্ঘটনার খবর আর চিত্র দেখে বড়দের পাশাপাশি দেশের প্রায় সব শিশু–কিশোর শোকে বিহ্বল। এই ট্রমা প্রত্যক্ষ...
আমার বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার আছে। আমি যখন ইতিবাচক থাকি, মনে হয় যে আমি একাই বিশ্বটা ঠিক করে ফেলতে পারব। আবার কিছুক্ষণ পরেই মনে হয়, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। ডুবে যাচ্ছি, সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হলো, ৯ মাস ধরে আমি এই অবস্থার ভেতর দিয়েই যাচ্ছি। জুলাই আন্দোলনে আমি ঘরে, বাইরে, রাস্তায় সবখান থেকে ছাত্রদের সমর্থন করেছি। ছাত্র-জনতার সঙ্গেই ছিলাম। দেশটাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে। ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড অস্থিরতা কাজ করে। ঘর থেকে বের হই না। কারও সঙ্গে কথা বলি না। প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা হয়। সবকিছু নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করে। হাত-পা কাঁপে, রাতে ঘুম হয় না। ইটিং ডিজঅর্ডারে গত ৯ মাসে আমার ১৭ কেজি ওজন বেড়েছে।তবে একটু একটু করে আমি সেরেও উঠছি, ফিরছি। এই যাত্রায়...
‘আট মাস ধরে ছেলেটারে নিয়া হাসপাতাল হাসপাতালে দৌড়াইছি। ছেলেটার চোখটা ফালায় দিতে হইলো। ও এত মন খারাপ করে! এখন আর হাসপাতালে যাইতে চায় না, জিদ করে।’ কথাগুলো বলছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত স্কুলছাত্র সাকিব হাসানের (১২) মা সাবিনা ইয়াসমিন। ২১ মে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমবার হাসপাতালে থাকার সময় ১৫ দিন কোনো কথাই বলেনি সাকিব। মন খারাপ করে বসে থাকত সব সময়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ঠোঁট, মাড়ি, তালু, নাক, বাঁ চোখ হারানো খোকন চন্দ্র বর্মণ (২৩) এখনো নিজেকে আয়নায় দেখে ভয় পান। শুরুতে কান্নাকাটি করতেন। পেশায় গাড়িচালক খোকন গত বছরের অক্টোবরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমার চেহারা দেখে এখন আমি নিজেই ভয় পাই। এর চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো ছিল।’ এখনো বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পাননি খোকন। ২১ মে প্রথম আলোকে তিনি বলেন,...
আজ বিশ্ব পারকিনসনস দিবস। প্রতিবছর ১১ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউনাইট ফর পারকিনসনস’। এবার দিবসটি উপলক্ষে ভিন্নধর্মী এক আয়োজন করেছিল স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের নিউরোসায়েন্স সেন্টার। হাসপাতালের মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার পারকিনসনস আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য জীবনঘনিষ্ঠ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পারকিনসনসকে সাধারণভাবে একধরনের ‘মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার’, যা রোগীর স্বাভাবিক চলন শক্তিকে বাধাগ্রস্ত করে। রোগীর পেশি কাঁপতে থাকে, তাঁর স্বাভাবিক গতি ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে। বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় পেশির জড়তায়। একপর্যায়ে ছোট ছোট পদক্ষেপে হাঁটেন তিনি। হাঁটাচলার সময় ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়।অনুষ্ঠানের শুরুতে চিকিৎসকদের জন্য ছিল বৈজ্ঞানিক সভা। হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ছাড়াও সেখানে বক্তব্য দেন জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমী।পারকিনসনস রোগের চিকিৎসায় ওষুধ এবং...
অনেক শিশুই মুখে খাবার দেওয়ামাত্র বের করে দেয় বা উগরে দেয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে একে ‘রুমিনেশন ডিজঅর্ডার’ বলা হয়। সচরাচর শিশুর ৩ থেকে ১২ মাস বয়সের মধ্যে এ জটিল রোগ প্রকাশ পায়। খাবার ওগরানো প্রায় প্রতিদিন ঘটে। মাঝখানে সুস্থ থেকে একনাগাড়ে কমপক্ষে এক মাস ধরে এমন উপসর্গ চলতে থাকে। তবে ঘুমানো অবস্থায় তা হয় না।লক্ষণএ রোগে আক্রান্ত শিশুর না থাকে কোনো পেটের অসুবিধা, না কোনো বমিভাব। প্রধান বৈশিষ্ট্য, অনবরত খাবার গ্রহণের পর জাবর কাটার মতো প্রক্রিয়ায় উগরে দেওয়া খাদ্যাংশ আবার চিবোতে থাকা। আক্রান্ত শিশুর ওজন কমে যায়। তার বৃদ্ধি-বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। কখনো মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগে।কার্যকারণএ অসুখে দুই ধরনের আক্রান্ত শিশু দেখা যায়। প্রথমটা ‘সাইকোজেনিক’। এ শ্রেণিতে যাদের অবস্থান, তারা বাকি সব দিকে ভালো থাকে, যেমন তাদের দৈহিক বৃদ্ধি-মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক থাকে। এখানে...
১. ওই তারকার খুঁটিনাটি কোনো কিছুই আপনার নজর এড়ায় নাযাঁরা সিওডিতে ভুগছেন, তাঁরা প্রতিনিয়ত ওই তারকার সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে উদ্গ্রীব থাকেন। তাঁর জীবনযাপন, সম্পর্ক, অভ্যাস, ফ্যাশনসহ সবকিছুই অনুসরণ করেন।২. তারকার সঙ্গে শক্তিশালী আবেগীয় সম্পর্কআর এই সম্পর্ক অবশ্যই একপক্ষীয়। তারকার সাফল্যে ব্যক্তি খুশি হন। তারকার ব্যর্থতাকে ব্যক্তি নিজের ব্যর্থতা মনে করেন। তারকাকে তিনি নিজের হৃদয়ের অত্যন্ত কাছের মনে করেন। তারকার জন্য প্রার্থনা করেন। সবার আগে তারকার পোস্টে লাইক, কমেন্ট করার জন্য মুখিয়ে থাকেন।৩. তারকাকে কেন্দ্র করে উদ্ভট কর্মকাণ্ডএই তালিকার শেষ নেই। কেউ কেউ তারকাকে নিয়ে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কেউ তারকার বাসার সামনেই কাটিয়ে দেন দিন-রাত। তারকার ছবি দিয়ে ঘর ভরে ফেলা, টি-শার্ট বানিয়ে পরা, এসব তো আছেই। অনেক সময় তাঁরা এতটাই বুঁদ হয়ে নির্দিষ্ট তারকাকে...
বলিউডের জনপ্রিয় র্যাপার হানি সিং। তরুণ প্রজন্মের কাছে ‘ইয়ো ইয়ো’ হানি সিং নামেই অধিক পরিচিত। মাঝে সংগীতাঙ্গন থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। গত বছর এ গায়ক জানান, অর্থ-খ্যাতি তাকে মাদক ও নারীতে ডুবিয়ে রেখেছিল। এবার জানালেন, বাইপোলার ডিজঅর্ডার রোগেও ভুগেছেন তিনি। বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ‘চ্যাপ্টার টু’ নামে একটি পডকাস্ট সঞ্চালনা করেন। এতে অতিথি হিসেবে হাজির হন গায়ক হানি সিং। নতুন এপিসোডের প্রোমো নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাতে নিজের অসুস্থতার কথা বলতে শোনা যায় হানিকে। প্রোমোতে রিয়া চক্রবর্তী জানান, হানি সিংয়ের ডকুমেন্টারি ‘ফেমাস’ নেটফ্লিক্সে দেখেছেন তিনি। এটি দেখে তার আনন্দ যেমন হয়েছে, তেমনি দুঃখও পেয়েছেন। হানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রিয়া চক্রবর্তী বলেন, “বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।” জবাবে হানি সিং বলেন, “আকবর দ্য গ্রেট মিটিং করেছেন আলেকজান্ডার...
