ভোক্তা ঋণ উৎপাদনশীল খাতকে শক্তিশালী করছে
Published: 1st, December 2025 GMT
ভোক্তা ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত হয়। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পায় এবং কর্মসংস্থানেও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি ভোক্তা ঋণ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকেও আরও শক্তিশালী করছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সহজ শর্ত, ছোট আকারের ঋণ এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজলভ্য ঋণের মাধ্যমে নিম্ন-আয় ও গ্রামীণ গ্রাহকেরা এখন আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার আওতায় আসছেন এবং তাঁদের জীবনমান উন্নত করতে পারছেন।
গ্রাহকের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে প্রচলিত ঋণের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন ঋণ পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে সিটি ব্যাংক। নিম্ন আয় এবং গ্রামীণ পরিবারের চাহিদা বিবেচনায় সিটি ব্যাংক নিয়ে এসেছে অ্যাফোর্ডেবল আবাসন ঋণ। যেখানে ন্যূনতম কাগজপত্র ও সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে এমন গ্রাহকেরাও এখন আবাসন ঋণ পাচ্ছেন, যাঁরা আগে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এর ফলে অনেক পরিবার নিজের ঘর তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পারছে। আমাদের গ্রিন অটো লোন হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে, যা পরিবেশবান্ধব যাতায়াতকে সাধারণ মানুষের জন্য আরও সহজলভ্য করছে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিচ্ছে। বিকাশের সঙ্গে মিলে ডিজিটাল ন্যানো ঋণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে একটা ভিন্ন মাত্রায় নেওয়া হচ্ছে। ভোক্তা ঋণ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হলেও, বহু নিম্ন-আয় গ্রাহক এই ঋণ ব্যবহার করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিনিয়োগে, যা তৃণমূল অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করছে। নারীর অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—ন্যানো ঋণ গ্রাহকের ২৮ শতাংশ নারী, যা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নেও ভূমিকা রাখছে। এ বছর আমরা প্রায় ১ কোটি ন্যানো ঋণ বিতরণ করেছি, যা টাকার হিসাবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি। এই ঋণগ্রহীতাদের অর্ধেকই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ঋণনীতির ফলে ভোক্তা ঋণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হচ্ছে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
অরূপ হায়দার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিটি ব্যাংক
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভোক্তা ঋণ উৎপাদনশীল খাতকে শক্তিশালী করছে
ভোক্তা ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত হয়। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পায় এবং কর্মসংস্থানেও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি ভোক্তা ঋণ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকেও আরও শক্তিশালী করছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সহজ শর্ত, ছোট আকারের ঋণ এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজলভ্য ঋণের মাধ্যমে নিম্ন-আয় ও গ্রামীণ গ্রাহকেরা এখন আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার আওতায় আসছেন এবং তাঁদের জীবনমান উন্নত করতে পারছেন।
গ্রাহকের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে প্রচলিত ঋণের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন ঋণ পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে সিটি ব্যাংক। নিম্ন আয় এবং গ্রামীণ পরিবারের চাহিদা বিবেচনায় সিটি ব্যাংক নিয়ে এসেছে অ্যাফোর্ডেবল আবাসন ঋণ। যেখানে ন্যূনতম কাগজপত্র ও সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে এমন গ্রাহকেরাও এখন আবাসন ঋণ পাচ্ছেন, যাঁরা আগে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এর ফলে অনেক পরিবার নিজের ঘর তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পারছে। আমাদের গ্রিন অটো লোন হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে, যা পরিবেশবান্ধব যাতায়াতকে সাধারণ মানুষের জন্য আরও সহজলভ্য করছে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিচ্ছে। বিকাশের সঙ্গে মিলে ডিজিটাল ন্যানো ঋণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে একটা ভিন্ন মাত্রায় নেওয়া হচ্ছে। ভোক্তা ঋণ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হলেও, বহু নিম্ন-আয় গ্রাহক এই ঋণ ব্যবহার করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিনিয়োগে, যা তৃণমূল অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করছে। নারীর অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—ন্যানো ঋণ গ্রাহকের ২৮ শতাংশ নারী, যা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নেও ভূমিকা রাখছে। এ বছর আমরা প্রায় ১ কোটি ন্যানো ঋণ বিতরণ করেছি, যা টাকার হিসাবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি। এই ঋণগ্রহীতাদের অর্ধেকই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ঋণনীতির ফলে ভোক্তা ঋণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হচ্ছে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
অরূপ হায়দার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিটি ব্যাংক