ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত বেড়ে ৪৪২, খাবার-পানির জন্য হাহাকার
Published: 1st, December 2025 GMT
ইন্দোনেশিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এই বিপর্যয়ের ফলে সুমাত্রার তাপানুলি অঞ্চলে খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে, যার কারণে বাসিন্দারা লুটপাটসহ চুরি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়: বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় এক সপ্তাহ আগে আঘাত হানা বিরল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ প্রভাবে আচেহ, উত্তর সুমাত্রা ও পশ্চিম সুমাত্রায় টানা বর্ষণে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে, ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং হাজার হাজার ভবন ডুবে গেছে। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্বীপের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈরি আবহাওয়া ও ভারী যন্ত্রপাতির ঘাটতির কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হয়েছে। উত্তর সুমাত্রার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর সিবোলগা এবং মধ্য তাপানুলি জেলায় ধীরগতিতে ত্রাণ পৌঁছচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ ভাঙা ব্যারিকেড, পানিতে ডুবে থাকা রাস্তা ও ভাঙা কাচ মাড়িয়ে খাবার, ওষুধ ও গ্যাস সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
কেউ কেউ হাঁটুপানির সমান বন্যার পানির ভেতর দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কনভিনিয়েন্স স্টোরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে।
পুলিশের মুখপাত্র ফেরি ওয়ালিনতুকান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় দোকানে লুটপাটের খবর তারা পেয়েছেন এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে আঞ্চলিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছনোর আগেই লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বাসিন্দারা জানতেন না যে সহায়তা আসবে এবং তারা না খেয়ে থাকার আশঙ্কায় ছিলেন।”
ক্যাবিনেট সচিব টেডি ইন্দ্রা উইজায়া রবিবার বলেন, দুর্যোগের পরদিনই জাকার্তা থেকে ১১টি হেলিকপ্টার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয় চলমান ত্রাণ ও সরবরাহ বিতরণ কার্যক্রমের জন্য- বিশেষ করে যেখানে স্থলপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে তিনি যোগ করেন, ‘অনিশ্চিত আবহাওয়া প্রায়ই ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত করছে।’
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করছেন। প্রেসিডেন্টের প্রেস অফিসের এক বিবৃতি অনুসারে, প্রেসিডেন্ট আজ সোমবার সকালে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের মধ্য তাপানুলি জেলায় পৌঁছেছেন এবং বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের জন্য একটি পাবলিক রান্নাঘর ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘ র ণ ঝড় ইন দ ন শ য়
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে করলেন জাদুকর-কন্যা মৌবনী
ভারতীয় বাংলা শোবিজ অঙ্গনের দিকে নজর দিলে পরিষ্কার বোঝা যায়, বিয়ের মৌসুম ঝেঁকে বসেছে। কমেডিয়ান খরাজ তার ছেলের বিয়ে ধুমধাম করে দিলেন। এরপর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ‘কৃষ্ণকলি’খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা হালদার। গতকাল ঘটা করেই মালা বদল করেছেন টলিউড অভিনেত্রী মৌবনী সরকার। তার আরেক পরিচয় প্রখ্যাত জাদুশিল্পী পিসি সরকার জুনিয়রের মেজ কন্যা তিনি।
আজতাক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রবিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পিসি সরকারের বাড়িতে বাড়ির মেজ কন্যা মৌবনী সরকারের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্র খুঁজে, সেই পাত্রের গলায় মালা পরান পি সি সরকার জুনিয়রের-কন্যা। তার বরের নাম সৌম্য। মৌবনীর বিয়ের একাধিক ছবি ও ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
আরো পড়ুন:
বিয়ে করলেন প্রিয়াঙ্কা
লোকজন বিয়ে করছে, আমি প্রেমও করতে পারছি না: শ্রীলেখা
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কনের সাজে মৌবনীকে একেবারে লক্ষ্মীর মতো লাগছে। বারাণসী থেকে আনা বেগুনি রঙের বেনারসি, সোনার গহনা, শোলার মুকুট, কপালে চন্দন ও মাথায় ভেল পরে মিষ্টি দেখাচ্ছিল মৌবনীকে। বাঙালি বিয়ের সব রীতিনীতি মেনেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। আশীর্বাদ পর্ব, মালা বদল থেকে সিঁদুর দান সবটাই করেছেন তারা। জামাই সৌম্যকে বরণ করতে গিয়ে চোখের জল আটকাতে পারেননি জাদুসম্রাটের স্ত্রী।
কন্যাদানের সময়ও চোখে জল দেখা যায় পি সি সরকার জুনিয়র ও তার স্ত্রীর। বোনের বিয়ে বলে কথা, বরকর্তা হিসেবে বিয়ের সবকিছু খুঁটিয়ে দেখছিলেন মুমতাজ ও মানেকা। সৌম্যর পরনে ছিল প্রিন্টেট পাঞ্জাবি, গলায় হার, লাল ধুতি, মাথায় মুকুট। জামাইকে জাদুসম্রাট হীরার বোতাম দিয়ে আশীর্বাদ করেন। পি সি সরকারকে লাল রঙের পাঞ্জাবি, সাদা ধুতি এবং গলায় সাদা উত্তরীয়তে দেখা যায়।
টলিপাড়ার অনেক তারকা এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। চন্দননগর বাসিন্দা মৌবনীর বর সৌম্য রায়। তিনি পেশায় রিসার্চ অ্যানালিস্ট।
২০০৯ সালে ‘বাদলা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন মৌবনী। প্রসেনজিতের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। তারপর ‘কলির অর্জুন’, ‘লজ্জা’, ‘সেভেন ডেস’, ‘অন্তরে বাহিরে’, ‘নদী রে তুই’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত