2025-06-11@01:38:35 GMT
إجمالي نتائج البحث: 25
«ঝরন র ক»:
পাহাড়ের পাদদেশে অন্ধকার গুহা। মশাল জ্বালিয়ে যেতে হয় ভেতরে। গুহায় প্রবেশ করতেই তৈরি হয় গা ছমছম করা অনুভূতি। দেখা যায়, মানুষের অস্তিত্ব টের পেয়ে উড়ছে বাদুড়। হিমশীতল পাহাড়ি ঝরনার জলধারা আর পাথর মাড়িয়ে যেতে যেতে একসময় অন্ধকার শেষ হয়ে আসে। দেখা মেলে সবুজ গাছপালায় ঘেরা সুন্দর পাহাড়। রোমাঞ্চকর যাত্রার এমন অভিজ্ঞতা নেওয়া যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহায়।খাগড়াছড়ি শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে আলুটিলা পাহাড়ে এ প্রাকৃতিক গুহার অবস্থান। স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কাছে এটি ‘মাতাই হাকর’ বা ‘দেবতার গুহা’ নামে পরিচিত। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা সড়কের পাশে ‘আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র’। এটির অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০ ফুট ওপরে। গুহায় যেতে হলে ২৬৬টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হয়। সিঁড়ি দিয়ে নামার পর দেখা মেলে একটি বড় বটগাছ। এর পাশেই গুহার প্রবেশমুখ।গুহার বাইরে লতাপাতায় ঘেরা। ভেতরে...
খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে রিসাং ঝরনা। মূল সড়ক থেকে আরও এক কিলোমিটার দক্ষিণে গেলেই কানে আসে ঝরনার কলতান। এর আগে অবশ্য অপেক্ষা করছে এক চমৎকার পথচলা।পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই পাশে জুমঘর, বুনো ঝোপ আর নাম না জানা পাহাড়ি ফুলের মেলা। চারপাশজুড়ে শুধু সবুজের সমারোহ। পাখির কলকাকলিতে তৈরি হয় অনন্য এক পরিবেশ।গাড়ি থেকে নেমে ঝরনার কাছে যেতে হলে নামতে হবে পাহাড় বেয়ে। তারপর বিশাল সিঁড়ি—২৫০ ধাপ। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে কানে আসে ঝরনার কলতান। সিঁড়ি শেষ না হতেই চোখের সামনে ধরা দেয় ঝরনা। ১২০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে সাদা জলের ধারা। কাছে গেলেই জলের ছাঁটে ভিজে ওঠে শরীর, মন ভরে যায় স্নিগ্ধতায়।রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ঝরনার স্বচ্ছ জলে হইহুল্লোড় করছেন অনেক পর্যটক।চট্টগ্রাম থেকে...
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অচেনা পাখির কলতান আর সবুজের ছায়ায় মিশেছে মানুষের কোলাহল। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে শেরপুরের গজনী অবকাশকেন্দ্রে ঢল নেমেছে তাঁদের। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে ভিড় করেছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঈদ উদ্যাপনে। পর্যটকদের এই আনন্দ-উদ্যাপনে বাধা হতে পারেনি ভ্যাপসা গরম, তপ্ত রোদ।ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে আজ সোমবার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশকেন্দ্র হয়ে ওঠে ভ্রমণপিপাসুদের মিলনমেলা। ঈদের বিকেল থেকেই দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ে।গজনী অবকাশকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয় এ পর্যটনকেন্দ্রের যাত্রা। শেরপুর শহর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ একর পাহাড়ি এলাকাজুড়ে এর অবস্থান।আজ বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, অবকাশকেন্দ্রটি জুড়ে লাল মাটির উঁচু-নিচু পাহাড়, টিলা, ঝরনা ও গহিন বন। পাহাড়ি ঝরনা ও লেকের সঙ্গে নানা কৃত্রিম স্থাপনা ও ভাস্কর্যের...
খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে রিসাং ঝরনা। মূল সড়ক থেকে আরও এক কিলোমিটার দক্ষিণে গেলেই কানে আসে ঝরনার কলতান। তার আগে অবশ্য অপেক্ষা করছে এক চমৎকার পথচলা।পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই পাশে জুমঘর, বুনো ঝোপ আর নাম না জানা পাহাড়ি ফুলের মেলা। চারপাশজুড়ে শুধু সবুজের সমারোহ। পাখির কলকাকলিতে তৈরি হয় অনন্য এক পরিবেশ।গাড়ি থেকে নেমে ঝরনার কাছে যেতে হলে নামতে হবে পাহাড় বেয়ে। তারপর বিশাল সিঁড়ি—২৫০ ধাপ। সিঁড়ি দিয়ে নামতেই নামতেই কানে আসে ঝরনার কলতান। সিঁড়ি শেষ না হতেই চোখের সামনে ধরা দেয় ঝরনা। ১২০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে সাদা জলের ধারা। কাছে গেলেই জলের ছাঁটে ভিজে ওঠে শরীর, মন ভরে যায় স্নিগ্ধতায়।গতকাল রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ঝরনার স্বচ্ছ জলে হইহুল্লোড় করছেন অনেক পর্যটক।চট্টগ্রাম...
ঈদের টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে দর্শনাথী সংখ্যা। তারা আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিচাং ঝরনা, খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার পার্ক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যারা ঘুরতে এসেছেন তাদের অধিকাংশ স্থানীয়। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলেছে, যেহেতু ঈদের ছুটি শেষ হতে এখনো কিছুদিন বাকি, ফলে অন্য জেলাগুলো থেকে পর্যটকরা আসতে পারেন। ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, “এই প্রথম দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে খাগড়াছড়িতে ঘুরতে এসেছি। রিচাং ঝরনা ও হর্টিকালচার পার্ক ঘুরে আলুটিলা ঘুরে দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। আলুটিলা থেকে শহর ও জেঙ্গী নদী সবকিছু দেখা যায়।” আরো পড়ুন: পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি তিন শর্তে খুলল রুমা ও থানচির পর্যটন চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা নির্মল দে জানান, তিনি পরিবার নিয়ে প্রথমবার খাগড়াছড়ি ঘুরতে আসা। তারা খাগড়াছড়ির অনেকগুলো পর্যটন...
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের লম্বা ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ছুটি উপভোগ করতে এ সময় অনেকেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। পর্যটকদের সেই পরিকল্পনা সার্থক এবং আনন্দময় করতে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ করেছেন রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারনা, টানা ছুটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়বে। পাহাড় ও হ্রদঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙামাটি বরাবরই পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটকদের। ভ্রমণপিপাসুরা যান্ত্রিক শহরের ক্লান্তি দূর করতে এখানে ছুটে আসেন। জেলার সাজেক ভ্যালি, ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক ও সুবলং ঝরনাসহ মনোমুগ্ধকর সব পর্যটন স্পটগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে পর্যটদের উপস্থিতিতে। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঝরনাগুলো তাদের যৌবন ফিরে পেয়েছে। বর্তমানে যেসব পর্যটক রাঙামাটিতে অবস্থান করছেন তাদের অনেকেই ঝরনা দেখতে যাচ্ছেন। আরো পড়ুন: তিন শর্তে খুলল রুমা ও থানচির পর্যটন এভারেস্ট...
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় আরেক পক্ষের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।নিহত ব্যক্তির নাম কলিম উদ্দিন। তিনি উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগাহাট বাজারের বাসিন্দা ও স্থানীয়ভাবে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।আহত দুজন হলেন সাদ্দাম হোসেন ও সেলিম উদ্দিন। তাঁরাও স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।এর আগে গতকাল রাত ৯টার দিকে ছোট দারোগাহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দুই রকম ভাষ্য পাওয়া গেছে।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাদকদ্রব্য বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এ হামলা হতে পারে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, সহস্রধারা ঝরনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। চলতি...
‘তোমরা যখন বড়ি খাইয়া মরবাই তখন আমাদেরও দুইটা বড়ি খাওয়াইয়া দিতা। একসঙ্গে মরে যাইতাম। এখন আমাদের কী হবে? আমরা কার কাছে থাকব, কোথায় থাকব?’ বাবা-মা একসঙ্গে আত্মহত্যা করার পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের সামনে এসব কথা বলে কাঁদতে কাঁদতে বুক ভাসাচ্ছিল আট বছরের ছোট্ট জেরিন। জেরিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকার মৃত আল আমিন ও ঝরনা বেগম দম্পতির রেখে যাওয়া দ্বিতীয় সন্তান। অভাব-অনটন ও দাম্পত্য কলহের জেরে এ দম্পতি গত রোববার রাতে চালের পোকা মারার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। আবির ও জেরিন এখন একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় তাদের নানার বাড়িতে রয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, জেরিনের দুই বছরের বড় শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাই আবির এখনও মা-বাবা হারানোর বিষয়টি বুঝতে পারছে না। সে প্রায় স্বাভাবিকভাবে হাঁটছে,...
সাগরের পাশে বিশাল পাহাড়। সেই পাহাড়ের বুক চিরে বেরিয়েছে শীতল পানির ঝরনা। পাহাড়-ঝরনার নাম—হিমছড়ি। তবে পাহাড়টি আগে পরিচিত ছিল ‘হিমপরির পাহাড়’ নামে। স্থানীয় মানুষের কাছে প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, একসময় উঁচু পাহাড়টির চূড়ায় সময় কাটাতেন সাগর থেকে উঠে আসা পরিরা। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে টেকনাফের দিকে ১২ কিলোমিটার এগোলোই দেখা মেলে এই পাহাড়ের। এলাকাটির নামই এখন হিমছড়ি। এলাকায় অবস্থিত সমুদ্রসৈকতও পরিচিত হিমছড়ি সৈকত নামে।প্রায় ২৮০ ফুট উঁচু হিমছড়ি পাহাড়ের চূড়ায় বসে দেখা যায় চারপাশের নয়নাভিরাম দৃশ্য। উপভোগ করা যায় সমুদ্রের গর্জন। ঝরনার শীতল জলে শরীর ভিজিয়ে নেওয়ার সুযোগ তো আছেই।সড়কপথে হিমছড়ি পৌঁছানোর পরই চোখে পড়ে দুপাশে শতাধিক দোকানপাট। সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, জিপ-মাইক্রোবাসসহ নানা যানবাহনের ভিড়। অনেক পর্যটকের কাছে অস্বস্তিকর ঠেকে এই দৃশ্য। তবে হিমছড়িতে পাহাড়-সাগর আর ঝরনার দৃশ্য...
উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী কিংবা ঝালকাঠির কোনো গ্রাম্য পথ ধরে হেঁটে গেলে হঠাৎ চোখে পড়তে পারে ঝুলন্ত একঝাঁক হলুদ ফুল। যেন সোনা ঝরছে গাছ থেকে। ফুলের ঘনত্ব, রঙের উজ্জ্বলতা আর বাতাসে দোল খাওয়া সৌন্দর্যে এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে না থেকে পারা যায় না। এটিই সোনালু–সোনাঝরা এক অপরূপ ফুল, যার পেছনে আছে ইতিহাস, নামের বাহার ও ঔষধি গুণের সমাহার। গ্রীষ্মের প্রখরতা যখন প্রকৃতিকে ক্লান্ত করে তোলে, তখনই সোনালুর আবির্ভাব ঘটে প্রকৃতির নিজস্ব এক পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে। গাছে গাছে দুলতে থাকে ঝাড়বাতির মতো হলুদ ফুলের থোকা। নাম চমকপ্রদ–সোনালু, সোনারু, সোনাইল, বাঁদরলাঠি, রাখালনড়ী, কানাইনড়ী প্রভৃতি। সংস্কৃত নামগুলো যেন আরও কাব্যময়–আরগ্বধ, অমলতাস, রাজবৃক্ষ, স্বর্ণাঙ্গ, হেমপুষ্প। ইংরেজি নাম গোল্ডেন সাওয়ার ট্রি। বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাশিয়া ফিস্টুলা। এটি ক্যাসিয়ালপিনিছেচ পরিবারের সদস্য। গাছটির আদিনিবাস পূর্ব এশিয়া। তবে হাজার বছর...
পাহাড়, হ্রদ, ঝরনা—সবই আছে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন দূর-দূরান্তের অসংখ্য পর্যটক। তবে অপ্রতুল পর্যটকদের আবাসনের ব্যবস্থা। রয়েছে নিরাপত্তাসংকটও, যা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটনের বিকাশে। এমনই অবস্থা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার। উপজেলাটিতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা সত্ত্বেও পর্যটনবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তুলতে মনোযোগ নেই সরকারি সংস্থাগুলোর।মিরসরাইয়ের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ মহামায়া; খৈয়াছড়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, সোনাইছড়ি হ্রদ ও ঝরনা, রূপসী ঝরনা, বাউয়াছড়া হ্রদ, মেলকুম ট্রেইল, সোনাপাহাড়, হিলসডেল মাল্টি ফার্ম ও মধুরিমা রিসোর্ট, মিরসরাই-নারায়ণহাট সড়ক, আরশিনগর ফিউচার পার্ক, মুহুরী প্রকল্প, ডোমখালি সৈকত ও মিরসরাই জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল।চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খইয়াছড়া ঝরনার ট্রেইল
বাইরে থেকে গুহায় প্রবেশের মুখ দেখলেই গা ছমছম করে। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মনে হবে যেন অচিন কোনো এক রাজ্য। মশাল জ্বালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। সামনে যতই পা চালাবেন, ততই গা শিউরে উঠবে। তবে মন চাইবে আরও ভেতরে যেতে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে রথীচন্দ্র কারবারিপাড়া এলাকায় অবস্থিত এই গুহার নাম বাদুড়গুহা।স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কাছে এই গুহার নাম ‘তকবাক হাকর’, অর্থাৎ বাদুড়গুহা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে একে দেবতার গুহাও বলেন। গুহার পাশে রয়েছে ছোট–বড় বেশ কয়েকটি ঝরনা। তবে এসব ঝরনার সৌন্দর্য দেখতে হলে যেতে হবে বর্ষার সময়। যাওয়ার পথে পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ, আছে ঝুঁকিও। এসব ঝুঁকি পেরিয়ে যেতে পারলেই বাদুড়গুহা দর্শন করা সম্ভব। এই গুহায় সারা বছরই ভিড় করেন পর্যটকেরা।দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের আটমাইল এলাকা হয়ে যেতে হয়...
রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ির দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। সুপেয় পানি থেকে নিত্য ব্যবহার্য পানিও মিলছে না। গ্রীষ্মের তাপদাহে শুকিয়ে গেছে পাহাড়ি ছড়া ও ঝরনা। লোকজনের একমাত্র ভরসা ছিল কুয়ার পানি। সেখানেও স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এখন ঝিরি থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি সংগ্রহের চেষ্টা করছেন পাহাড়ি মানুষ। সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুকিছড়া, ত্রিপুরাপাড়া, জনতাপাড়া, বারুদগলা, সোহেল পাড়ায় সবচেয়ে বেশি পানি সংকট চলছে। এসব গ্রামে ২৪৭ পরিবারের বাস। তাদের পেশা কৃষি (জুম চাষ)। এসব পাড়ায় নেই বিদ্যুৎ। চিকিৎসা সেবার জন্য নেই কমিউনিটি ক্লিনিক। এই ওয়ার্ডে নেই নিরাপদ পানির কোনো নলকূপ। এসব গ্রামের পাদদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে পানছড়ি ছড়া। এই ছড়ার রয়েছে ছোট প্রশাখা ছড়া। কিন্তু বর্তমানে...
পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চাকমা সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী বিজু উৎসব আজ শনিবার শুরু হয়েছে; পাশাপাশি শুরু হয়েছে তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু উৎসব। উৎসবের প্রথম দিনে নদী, ছড়া, ঝরনাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুল ভাসিয়ে সুন্দর পৃথিবীর জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন নারী, পুরুষ আর শিশুরা। পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা আগামী কয়েক দিন নানা নামে বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের উৎসব উদ্যাপন করবেন।খাগড়াছড়িআজ ভোর থেকে জেলার নদী, ছড়া, ঝরনাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে ‘ফুল বিজু’ শুরু হয়। ফুল ভাসিয়ে সুন্দর পৃথিবীর জন্য প্রার্থনা করেন চাকমা নারী-পুরুষ ও শিশুরা। নারীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পিনন-হাদি ও পুরুষেরা ধুতি পরে উৎসবে যোগ দেন।ভোরে পানছড়ি উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায় চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসাতে ভিড় করেন স্থানীয় চাকমা জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা। তাঁদেরই একজন প্রবীণ মালতী দেবী চাকমা।...
রমজান মাসে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রায় সুনসান নীরবতা। ঈদের দিন থেকে সেই নীরবতা ভাঙছে। গতকাল ছিল উপচে পড়া ভিড়। সমুদ্রসৈকত, পাহাড়, চা বাগান ও ঝরনার মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য। দীর্ঘ ছুটি থাকায় পর্যটন ব্যবসা জমে উঠেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সমুদ্রের নোনাজলে গা ভাসিয়ে পর্যটকদের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেছে। কেউ গোসল করছেন। কেউ ছবি তুলছেন। কেউ ছাতার নিচে বসে ঢেউ উপভোগ করছেন। আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে সৈকত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঈদের তৃতীয় দিন গতকাল বুধবার কক্সবাজার সৈকতে দেড় লক্ষাধিক পর্যটক গেছেন। ছিল স্থানীয় আরও ৩০-৩৫ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে সাগরে ঝাঁপাঝাঁপি করেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। সৈকতে ঘোরাঘুরি শেষে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ছোটেন মেরিন ড্রাইভ, দরিয়ানগর, হিমছড়ি,...
পাহাড়, নদী ও ঝরনার কারণে খাগড়াছড়ি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। সারা বছরই জেলাটি ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ থাকে। আর বড় কোনো উৎসবের ছুটি হলে তো কথাই নেই! এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থানে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, খালি নেই হোটেল-মোটেল।গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলার আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র, গুহা, হর্টিকালচার পার্ক, দেবতা পুকুর, মায়াবিনী লেক, পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরসহ সব পর্যটনকেন্দ্র ছিল লোকে লোকারণ্য। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এসব জায়গা বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে। রেস্তোরাঁগুলোয় লেগে ছিল ভিড়। এ ছাড়া পিকআপ (চান্দের গাড়ি), জিপসহ ভ্রমণের অন্য যানবাহনগুলোতে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বুকিং দেওয়া আছে।খাগড়াছড়ি জেলার পিকআপের (চান্দের গাড়ি) লাইনম্যান সৈকত চাকমা বলেন, ঈদের দিন ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁদের ১০০টি গাড়ি বুকিং আছে। অনেক পর্যটক গাড়ি...
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোতে। গতকাল (সোমবার) ঈদের দিন খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোতেও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে জেলার বাইরের পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা ছিল বেশি। আশা করা যাচ্ছে, আজ থেকে জেলার বাইরের পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। ঈদের দিন খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য। আলুটিলা, রহস্যময় গুহা, জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কসহ সব জায়গায় পর্যটকের ভিড় ছিল। জেলায় অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ থাকে আলুটিলা ও আলুটিলার ব্যতিক্রমী ব্রিজ। এ ছাড়াও রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝরনায় প্রাণ জুড়ান পর্যটকরা। শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়াভিরাম লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এ ছাড়াও খাগড়াছড়িতে দেখার মতো রয়েছে মায়াবিনী লেক, হাতি মাথা পাহাড়,...
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। গত বছরের মার্চ মাসে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার মা। আজ এই অভিনেত্রীর মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। মায়ের মৃত্যুর এক বছর পরও সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি পূজা। রবিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে মা ঝরনা রায়ের সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। পূজা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “মা ও মা! কেমন আছো তুমি? তোমাকে দেখি না ৩৬৫টা দিন হয়ে গেল। কীভাবে চলে গেল সময়টা। গত বছর এই সময়টা আমার কাছে ছিল নরকের আগুনের মতো ভয়ংকর।” আরো পড়ুন: ভুল সবসময়ই ভুল: নুসরাত ফারিয়া সুশান্তর মৃত্যু: নতুন প্রতিবেদনে রিয়ার স্বস্তি মা ঝরনাকে উদ্দেশ্য করে পূজা লেখেন, “বুকে কি যেন আটকে থাকে সবসময় মামুনি। মনে করি, কাঁদলে সব...
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বুধবার রাতে অবসর নিয়েছেন। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ছাড়ার পর তিন বছরের ব্যবধানে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে সরে গেলেন মুশফিকুর। ওয়ানডেতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন। ধারাবাহিক সাফল্যের স্রোতে না ভাসালেও লাল-সবুজের বাংলাদেশকে বেশ কয়েকবার উল্লাসের সুযোগ দিয়েছেন, বুক ফুলিয়ে গর্বের সুযোগ করে দিয়েছেন। ২২ গজে শুধু ব্যাটিং নয়, মাঠের বাইরে তার সংকল্পবদ্ধ, লড়াইয়ের মানসিকতা, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায় তাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। তাইতো তার বিদায়ের ঘোষণার দিনে আবেগের বিচ্ছুরণ হলো সতীর্থদের। তারা খুঁজে পাচ্ছেন গর্ব। তামিম ইকবাল আরো পড়ুন: মুশফিকুরের থেকে তামিমের চাওয়া ‘অন্তত ১০০ টেস্ট’ বিষন্ন মুশফিকুরের ওয়ানডে ছাড়ার ঘোষণা ‘‘মুশফিককে আমি এতোটুকুই বলতে চাই, দোস্ত তোর সাথে...
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ঝরনা বেগম (১৯) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ছাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত ঝরনা বেগম রামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং ছাউনিয়া গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে আশিকের স্ত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই আশিক ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য ঝরনাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন। মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা ঝরনার মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান, যা সন্দেহ আরও ঘনীভূত করে। এ ঘটনায় নিহত ঝরনার বাবা শহিদুল ইসলাম চারজনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় হত্যা মামলা...
শ্রীমঙ্গল ট্যুর নির্ধারিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় ছিল হামহাম ঝরনা। এটি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় হলেও অধিকাংশ পর্যটক সাধারণত শ্রীমঙ্গল থেকে ঝরনাটি দেখতে যান। অবশ্য মৌলভীবাজার থেকেও যেতে পারেন। যাহোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট-বড় ভাইদের সঙ্গে ছিল এ ট্যুর। দুর্গম ও দূরত্বের জন্য বড় ভাইদের কারও কারও হামহাম ঝরনা বিষয়ে অনীহা দেখা গেল। তাদের অবশ্য যুক্তি আছে, দু’দিনের মধ্যে যেদিন হামহাম ঝরনা দেখতে যাবে, সেদিন এর বাইরে আর কোনো পর্যটনকেন্দ্র দেখার সুযোগ থাকবে না। ছোট ভাইরা দেখলাম ঝরনা দেখার জন্য এক পায়ে খাড়া। এমনকি ট্যুরের গ্রুপে একজন হয়তো মজা করেই লিখেছে: ‘হামহাম অথবা মৃত্যু’। যাহোক, হামহাম ঝরনা দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো। তারপরও কিছুটা সংশয় যেন থেকেই গেল। কারণ একজন বলছে, ১০ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। আসা-যাওয়া মিলে ২০ কিলোমিটার। পাহাড়ি পথে সহজ...
একটু একটু করে আবার চলতে শুরু করেছে লাইমিপাড়ার কোমরতাঁত। নতুন সুতা কেনা হচ্ছে। চাদর বুনছেন বম নারীরা। ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে। বহুদিন পর আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে পুরোনো জীবিকার ছন্দ। দুই বছর ধরে পর্যটনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর বান্দরবানের শৈলপ্রপাতের ঝরনার পাশে বম নারীদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে আবার।বান্দরবান জেলার শহরতলির পর্যটনকেন্দ্র শৈলপ্রপাতে আসা পর্যটকদের কাছে কোমরতাঁতের কাপড় বিক্রি করেন বম তরুণী ত্লাওয়াংপুই ওরফে নিক্কি বম। বছর দুয়েক আগেও তাঁর জীবনযাপনে বেশ সচ্ছলতা ছিল। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় হারানো জীবিকায় আবারও ফিরতে পেরেছি। আশা নিয়ে বাঁচা আর কি! সব গুছিয়ে নিতে পারলে আবার হয়তো একটু ভালো থাকতে পারব।’কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী তৎপরতার পরিস্থিতিতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে বান্দরবানের পর্যটন। ফলে গত প্রায় দুই বছর...
হাইওয়ের রাস্তা ধরে মিনিট বিশেকের পথ সীতাপুর। সীতাপুর বাস স্টপেজ। বাস স্টপেজে নেমে সোজা পশ্চিমের লাল ইটের পথ। ইটের ফাঁকে ফাঁকে দূর্বাদল চোখ মেলে তাকায় সূর্যের দিকে। আরও একটু পথ এগিয়ে যেতেই উত্তাল সমুদ্র। ম্যানগ্রোভ আর হিজলের ভিড়ে সমুদ্রের নীল জল দৃশ্যমান। শোনা যায় গাঙচিলের উৎসব। মনে হয় ওরা ডাকছে, বলছে আরও আরও কাছে এগিয়ে যেতে। ছুঁয়ে দেখতে বলছে জলরাশি। সাগরতীরে জেলেদের আবাস। জোয়ারের তোড়ে জেলেদের ঝুপড়িতে হুহু করে জল ঢোকে। জলের তাণ্ডবে বাঁশের মাচায় বাঁধে ওরা রাতের সংসার। কেরোসিনের গন্ধে আলোরা মিশে যায় অন্ধকারে। হরিহর দাস হরি নাম করতে করতে রাত কাবার করে। জোয়ারের জল কমে আসতেই হরিহর চিৎকার করে জানান দেয়, ‘ওরে বেণু, দেখ সমুদ্রের জল কমছে। চল মাছ ধরতে যাই।’ ওরা সবাই জানে ভাটার টানে ইলিশের মহোৎসব...
বন্দরে আল-আমিন হোসেন পাপ্পু (২২) নামে এক যুবক নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত বুধবার (২৯ জানুয়ারী) রাতে বন্দর থানার সোনাচড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আত্মহত্যাকারী যুবক আল আমিন হোসেন পাপ্পু উল্লেখিত এলাকার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে। আত্মহত্যা ঘটনার খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে আত্মহত্যাকারী যুবকের বড় ভাই হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। যার অপমৃত্যু মামলা -৩ তাং- ২৯-১-২৫ইং। মামলার তথ্য মতে, বন্দর থানাধীন সোনাচড়া এলাকার বাসিন্দা অপমৃত্যু মামলার বাদী হৃদয় হোসেনের মা ঝরনা বেগম গত বুধবার (২৯ জানুয়ারী) রাত ৮টায় রাতের খাবার খাওয়ার জন্য নিজ বাড়ীর দক্ষিন ভিটি চৌচালা...
এক পাশে কালো পাথরের দেয়াল অন্য পাশে ঘন ঝোপ। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে যাচ্ছে ঝরনা থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির স্রোত। বর্ষার খরস্রোতা পাহাড়ি ঝরনার পানির আঘাতে পাথরের বুকে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। সেখানে পানি জমে তৈরি হয়েছে স্বচ্ছ জলাধার। নাম তার বড় কুম্ব। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বড় ত্রিপুরাপাড়া থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এই বড় কুম্বের অবস্থান। বড় ত্রিপুরাপাড়ার বাসিন্দা শেফালিকা ত্রিপুরার মতে, বড় কুম্বের পানি কখনো শুকায় না। আর এর গভীরতাও কেউ কখনো জানতে পারেননি। এলাকার সবাই মিলে একবার ১০টি মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচ দেওয়ার পরও এই বড় কুম্বের পানি শেষ করতে পারেননি বলে জানান। বড় কুম্বের পাশে রয়েছে একটা প্রাচীন শিবমন্দির। জুমচাষিরা এখানে পূজা দিয়ে জুম চাষ শুরু করেন। অনেকে জুমের ফসল ঘরে তোলার পর পূজা দিতে আসেন।...