চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকায় সেতু ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের এ অংশে এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। এখন অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। এতে সড়কে গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে।
নগরের অক্সিজেনের স্টার শিপ গলি এলাকায় শীতল ঝরনার খালের ওপর এ সেতুর অবস্থান। সেতুটি দিয়ে নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন যাতায়াত করেন লোকজন। নগরের অন্যতম প্রধান ও ব্যস্ততম সড়ক বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের ওপর অবস্থিত। নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী সড়কের ওপর থাকা সেতুর অংশ ভেঙে যায়।
সিটি করপোরেশন দুই প্রকৌশলী জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খাল প্রশস্ত করা হয়। এর পর থেকে খালে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। খাল প্রশস্ত হলেও ইটের তৈরি সেতু আগের মতো ছিল। এতে পানিপ্রবাহের কারণে ধীরে ধীরে সেতুর দুই পাশ থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। দেয়ালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর আজ ভোর থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। পানির চাপে সেতুটি দুই ভাগ হয়ে গেছে।
নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের অক্সিজেন অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এ এলাকায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। এ জন্য সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন লোকজন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শীতল ঝরনা খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয় ১৯৮০ সালের দিকে। ওই সময়ের নকশায় করা সেতুটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খাল প্রশস্ত করার পর আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হয়। কেননা, ওই সময় খালের প্রশস্ততা বেড়ে গিয়েছিল।
প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেতু সংস্কারের জন্য পাঁচ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হয়েছে। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করবেন তাঁরা।
এদিকে ব্যস্ততম সড়কের ওপর সেতু ভেঙে যাওয়ায় সড়কে গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে। এখন এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।
মোটরসাইকেল আরোহী বেলায়েত হোসেন বলেন, জরুরি কাজে তাঁরা এ সড়ক দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথে এসে দেখেন সেতু ভেঙে গেছে। এতে ওই পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন অন্য পাশ ব্যবহার করে গন্তব্যে যান। এ সেতু দ্রুত সংস্কার না করলে সড়কে আরও বেশি যানজট হবে।
ঘটনাস্থল থাকা বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সেতুটি আজ সকাল ছয়টায় ভেঙে যায়। এ জন্য এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। আরেক পাশ দিয়ে সীমিত পরিসরে গাড়ি চলাচল করছে। তবে ওই অংশটি ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রশস ত ন প রক সড়ক র নগর র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দাবিতে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে ৮ দল
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আট দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় আট দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে দলগুলো পল্টন মোড়ে পৃথক মিছিল নিয়ে জড়ো হয়।
শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের দুই অংশসহ অন্যদলগুলোর নেতাকর্মীরা আগ থেকেই পল্টন মোড়ে অবস্থান নেন।
পদযাত্রা শুরুর আগে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা গণভোট, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তথা নির্বাচনি পরিবেশ তৈরিসহ নানা বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা