Prothomalo:
2025-08-07@06:47:06 GMT

চট্টগ্রামে সেতু ভেঙে দুই ভাগ

Published: 7th, August 2025 GMT

চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকায় সেতু ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের এ অংশে এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। এখন অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। এতে সড়কে গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে।

নগরের অক্সিজেনের স্টার শিপ গলি এলাকায় শীতল ঝরনার খালের ওপর এ সেতুর অবস্থান। সেতুটি দিয়ে নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন যাতায়াত করেন লোকজন। নগরের অন্যতম প্রধান ও ব্যস্ততম সড়ক বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের ওপর অবস্থিত। নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী সড়কের ওপর থাকা সেতুর অংশ ভেঙে যায়।

সিটি করপোরেশন দুই প্রকৌশলী জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খাল প্রশস্ত করা হয়। এর পর থেকে খালে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। খাল প্রশস্ত হলেও ইটের তৈরি সেতু আগের মতো ছিল। এতে পানিপ্রবাহের কারণে ধীরে ধীরে সেতুর দুই পাশ থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। দেয়ালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর আজ ভোর থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। পানির চাপে সেতুটি দুই ভাগ হয়ে গেছে।

নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের অক্সিজেন অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এ এলাকায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। এ জন্য সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন লোকজন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শীতল ঝরনা খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয় ১৯৮০ সালের দিকে। ওই সময়ের নকশায় করা সেতুটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খাল প্রশস্ত করার পর আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হয়। কেননা, ওই সময় খালের প্রশস্ততা বেড়ে গিয়েছিল।

প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেতু সংস্কারের জন্য পাঁচ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হয়েছে। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করবেন তাঁরা।

এদিকে ব্যস্ততম সড়কের ওপর সেতু ভেঙে যাওয়ায় সড়কে গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে। এখন এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।

মোটরসাইকেল আরোহী বেলায়েত হোসেন বলেন, জরুরি কাজে তাঁরা এ সড়ক দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথে এসে দেখেন সেতু ভেঙে গেছে। এতে ওই পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন অন্য পাশ ব্যবহার করে গন্তব্যে যান। এ সেতু দ্রুত সংস্কার না করলে সড়কে আরও বেশি যানজট হবে।

ঘটনাস্থল থাকা বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সেতুটি আজ সকাল ছয়টায় ভেঙে যায়। এ জন্য এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। আরেক পাশ দিয়ে সীমিত পরিসরে গাড়ি চলাচল করছে। তবে ওই অংশটি ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রশস ত ন প রক সড়ক র নগর র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক দপ্তর চালু হচ্ছে চট্টগ্রামে

নাগরিকদের দোরগোড়ায় কনস্যুলার সেবা পৌঁছে দিতে সরকার এবার বিভাগীয় পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার দপ্তর চালু করতে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে একটি কনস্যুলার দপ্তর পরিচালনা করতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আঞ্চলিক দপ্তরটি চালু হলে প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আর নানা ধরনের অপরিহার্য নথিপত্র সত্যায়নের জন্য ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেতে হবে না। এতে তাঁদের সময় ও খরচের সাশ্রয় হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গত মাসে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চট্টগ্রামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার দপ্তর চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাগরিকদের কনস্যুলার সেবা দিতে আঞ্চলিক দপ্তর রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক শাখা রয়েছে কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই ও গুয়াহাটিতে। আর পাকিস্তানের করাচি, লাহোর, কোয়েটা ও পেশোয়ারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যাম্প দপ্তর রয়েছে। এসব অফিস কনস্যুলার সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড সমন্বয়ের কাজও করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গত মাসে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চট্টগ্রামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার দপ্তর চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবার চট্টগ্রামে আঞ্চলিক অফিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রবাসী ও সাধারণ নাগরিকদের কনস্যুলার সেবা দিতে এই দপ্তর চালু করা হবে। একজন পরিচালকের নেতৃত্বে কয়েকজন স্টাফ নিয়ে প্রাথমিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে। দপ্তরটি চালুর বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি চলছে।

দপ্তরটি চালু হলে প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেতে হবে না।

সচিব জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তর চালু হলে শুধু কনস্যুলার সেবা নয়, চট্টগ্রামে সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনারের অফিসের সঙ্গে কূটনৈতিক কার্যক্রম সমন্বয়ের কাজও করা যাবে। পাশাপাশি দপ্তরটি আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সফর, প্রতিনিধিদলের সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামে মন্ত্রণালয়ের দপ্তর চালু হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের লোকজন সরাসরি কনস্যুলার সেবা পাবেন। বর্তমানে নথিপত্র সত্যায়নের জন্য তাঁদের ঢাকায় যেতে হয়। নতুন এই আঞ্চলিক অফিস চালু হলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলের জনগণ স্থানীয়ভাবে এসব সেবা পাবেন। এতে সময় বাঁচবে, সেবার মানও উন্নত হবে।

সেবার মধ্যে রয়েছে শিক্ষাসনদ, বিয়ে ও আইনি নানা ধরনের সনদ, জন্মসনদসহ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পরিসরে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সত্যায়ন, পাসপোর্ট ও ভিসাসংক্রান্ত সহায়তা, প্রবাসী নাগরিকদের ও তাঁদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় জরুরি সেবা ইত্যাদি।

যেসব সেবা পাবেন নাগরিকেরা

চট্টগ্রামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত আঞ্চলিক দপ্তরটিতে বিদেশে কর্মরত ও বিদেশগামী নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব কনস্যুলার সেবা দেওয়া হবে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে শিক্ষাসনদ, বিয়ে ও আইনি নানা ধরনের সনদ, জন্মসনদসহ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পরিসরে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সত্যায়ন, পাসপোর্ট ও ভিসাসংক্রান্ত সহায়তা, প্রবাসী নাগরিকদের ও তাঁদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় জরুরি সেবা ইত্যাদি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ