Prothomalo:
2025-07-31@12:45:19 GMT

পাহাড়ের কোলে স্নিগ্ধ রিসাং

Published: 10th, June 2025 GMT

খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে রিসাং ঝরনা। মূল সড়ক থেকে আরও এক কিলোমিটার দক্ষিণে গেলেই কানে আসে ঝরনার কলতান। এর আগে অবশ্য অপেক্ষা করছে এক চমৎকার পথচলা।

পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই পাশে জুমঘর, বুনো ঝোপ আর নাম না জানা পাহাড়ি ফুলের মেলা। চারপাশজুড়ে শুধু সবুজের সমারোহ। পাখির কলকাকলিতে তৈরি হয় অনন্য এক পরিবেশ।

গাড়ি থেকে নেমে ঝরনার কাছে যেতে হলে নামতে হবে পাহাড় বেয়ে। তারপর বিশাল সিঁড়ি—২৫০ ধাপ। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে কানে আসে ঝরনার কলতান। সিঁড়ি শেষ না হতেই চোখের সামনে ধরা দেয় ঝরনা। ১২০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে সাদা জলের ধারা। কাছে গেলেই জলের ছাঁটে ভিজে ওঠে শরীর, মন ভরে যায় স্নিগ্ধতায়।

রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ঝরনার স্বচ্ছ জলে হইহুল্লোড় করছেন অনেক পর্যটক।

চট্টগ্রাম থেকে সপরিবার এসেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী বেলাল আহমদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে অনেক আগে থেকেই খাগড়াছড়ি ঘুরতে আসার পরিকল্পনা ছিল। পাহাড় আর ঝরনা দেখতে এসেছি। গরমে এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। যদিও সিঁড়ি দিয়ে নামাটা বেশ কষ্টকর ছিল।’

বেলালের মতো আরও অনেকে ভিড় জমিয়েছেন ঝরনা ঘিরে। তাঁরা রিসাংয়ের পাশাপাশি ঘুরে দেখছেন আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র, গুহা, তারেং আর জেলা পরিষদ পার্ক।

রামগড় থেকে ঈদ উপলক্ষে এসেছেন সাব্বির মাহমুদ, আরমান হোসেনসহ এক দল তরুণ। তাঁরা জানালেন, নানা জায়গায় ঘোরার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে শেষ পর্যন্ত ঝরনায় এসেছেন। এখানে এসে ঝরনার পানিতে গোসল আর খেলাধুলা করতে বেশ মজা লাগছে।

রিসাং ঝরনার তত্ত্বাবধান করে জেলা প্রশাসন। ঝরনায় ঢুকতে জনপ্রতি নেওয়া হয় ৫০ টাকা। ঝরনার ব্যবস্থাপক নিপুণ জয় ত্রিপুরা বলেন, ‘ঈদের দিন থেকেই পর্যটকদের আসা শুরু হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিনেই এক হাজারের বেশি মানুষ এসেছেন। সামনে আরও ভিড় বাড়বে।’

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ঈদ উপলক্ষে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে পর্যটক ও স্থানীয় মানুষেরা নিশ্চিন্তে ঘুরতে পারেন।

২০০২ সালের দিকে রিসাং ঝরনা পর্যটকদের নজরে আসে। ‘রিসাং’ শব্দটি মারমা ভাষার। ‘রি’ মানে পানি আর ‘সাং’ মানে লাফিয়ে পড়া; অর্থাৎ উঁচু স্থান থেকে জলরাশির লাফিয়ে পড়া। স্থানীয় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ঝরনাটিকে ‘তেরাং তৈকালাই’ নামে চেনে। তাঁদের ভাষায় ‘তেরাং’ মানে পানি আর ‘তৈকালাই’ মানে ওপর থেকে পড়া।

কীভাবে যাবেন

চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন ও কদমতলী বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি বাসে করে খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। ঢাকা থেকেও সেন্ট মার্টিন, এস আলম, শ্যামলী, শান্তিসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস যায় রাত ও সকালে।

খাগড়াছড়ি শহরের বাস টার্মিনাল থেকে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস কিংবা জিপে করে যেতে হবে ঝরনার কাছে। খাগড়াছড়ি-মাটিরাঙ্গা সড়কের ঝরনার মুখ রাস্তায় নেমে আরও এক কিলোমিটার দক্ষিণে গেলেই রিসাং ঝরনা। চাইলে চট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে আসার সময় মাটিরাঙ্গা পেরিয়েও ঝরনার মুখে নামা যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঝরন র ক এস ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • সেন্ট মার্টিন ভালো নেই, সেন্ট মার্টিনের মানুষ ভালো নেই
  • কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৩ জন পেহেলগামের হামলাকারী: পার্লামেন্টে অমিত শাহ
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
  • দেশে ১৫ লাখ পরিবারে হেপাটাইটিস, রয়েছে এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার ঘাটতি